প্রসঙ্গ ইসলাম ॥ ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ by অধ্যাপক হাসান আবদুল কাইয়ূম

ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১৩ জুলাই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৯ নম্বর কেবিনে ইন্তেকাল করেন। ক্রণিক থ্রম্বসিসে আক্রান্ত হয়ে তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর ইন্তেকালে সারাদেশে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে।


ঢাকার কার্জন হলের সন্নিকটে অবস্থিত ঐতিহাসিক মূসা মসজিদের পশ্চিম-উত্তর পাশে তাঁকে দাফন করা হয়।
ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সত্যিকার অর্থে মহামনীষী ছিলেন। জ্ঞানতাপস বহুভাষাবিদ ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহকে বলা হয় চলিষ্ণু বিদ্যাকল্প দ্রুম অর্থাৎ চলন্ত বিশ্বকোষ। তিনি যেমন ছিলেন জ্ঞানতাপস বহুভাষাবিদ তেমনি ছিলেন একজন মহান সূফী সাধক। তাঁর সম্পর্কে বলতে যেয়ে ডক্টর সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় বলেছেন : শহীদুল্লাহ সাহেব ঐঁসধহরঃরবং বা মানবিকী বিদ্যায় অর্থাৎ ভাষা, সাহিত্য, ইতিহাস, ধর্ম-দর্শন, আধ্যাত্মিকতার সাধন এবং রস অর্থাৎ শাশ্বত সত্তার মধ্যে নিহিত যে আনন্দের অনুভূতি এসব বিষয়ে একজন আচার্যের পর্যায়ে উন্নীত হয়েছেন। তিনি আজীবন জ্ঞানের সাধনা করে এসেছেন এবং ইসলামের সূফী সাধকগণের নির্দিষ্ট সাধনমার্গে আত্মিকতার উপলব্ধিও তাঁর জীবনের অন্যতম প্রধান কাম্য হয়ে আছে। তিনি একজন সংস্কারপূত চিত্তের মানুষ এবং এবং এরূপ মানুষই ঋঁষষ সধহÑপূর্ণ মানব অথবা ইস্নান-আল কামিল পদবিতে পৌঁছবার পথে জয়যাত্রা করবার যোগ্য।
ডক্টর সুনীতি কুমার চট্টোপধ্যায়ের কথাগুলোর মধ্যে ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহর পরিচয় অনেকটাই ফুটে উঠেছে। সত্যিকার অর্থেই ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ উচ্চতর মানবীয় যোগ্যতার স্তরে উন্নীত হতে পেরেছিলেন যা ইলমে তাসাওউফ চর্চার মাধ্যমে অর্জন করা যায়। লা মাওজুদা ইল্লাল্লাহ্Ñ আল্লাহ্ ছাড়া কোনো অস্তিত্ব নেই এই সত্য যে আল্লাহ প্রেমিক নিজের অন্তরে বদ্ধমূল করতে সক্ষম হন, তিনিই আল ইনসানুল কামিল বা পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে সাব্যস্ত হতে পারেন।
ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এক সূফী ঐতিহ্য ধারণকারী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পূর্বপুরুষ শায়খ দারা মালিকী এদেশে ইসলাম প্রচার করতে আসেন তাঁর পীর সৈয়দ আব্বাস আলী মক্কী ওরফে পীর গোরাচাঁদের সফর সঙ্গী হয়ে। পীর গোরাচাঁদ চব্বিশ পরগনা অঞ্চলে খানকাহ্ স্থাপন করেন। তাঁর নেতৃত্বে সুন্দরবন অঞ্চলে ইসলামের ব্যাপক প্রসার ঘটে। কিন্তু তিনি ইসলামবিরোধী শক্তির ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে শহীদ হন। চব্বিশ পরগনার বশিরহাট মহকুমার হাড়োয়া গ্রামে তাঁকে দাফন করা হয়। পীর গোরাচাঁদের প্রধান খলীফা শায়খ দারা মালিকী পীর গোরাচাঁদের মাজার শরীফের খাদেম হন। তারপর থেকে পীরের দরগাহ্র খাদেম হিসেবে এবং পীর গোরাচাঁদের খলীফা হিসেবে শায়খ দারা মালিকীর বংশধারায় পরম্পরাগতভাবে তাসাওউফ চর্চা চলমান থাকে।
এই পরিবারে পীর-মুরিদী বর্তমান থাকে।
ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহর আব্বা মুন্সী মফিজুদ্দীন আহমদ সূফী মননের অধিকারী ছিলেন। তাঁর আম্মা হুরুন্নেসাও ছিলেন দ্বীনদার ও আবিদা মহিলা। মুন্সী মফিজুদ্দীন আহমদ চাকরি হওয়া সত্ত্বেও তাসাওউফ চর্চায় নিষ্ঠাবান ছিলেন। তিনি যুগ শ্রেষ্ঠপীর ফুরফুরা শরীফের মুজাদ্দিদে যামান হযরত মওলানা শাহ্ সূফী আবু বকর সিদ্দিকী রহমাতুল্লাহি আলায়হির খাস মুরীদ ছিলেন। স্বভাবতই আব্বার পীরের প্রভাব ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহর জীবন গঠনে পড়েছিল। বাল্যকাল থেকেই ফুরফুরা শরীফের পীরের প্রতি আকৃষ্ট হন। তিনি লিখেছেন : হুযূর কিবলার সহিত আমার সাক্ষাত পরিচয়ের সৌভাগ্য ১৯০৬-৮ হুগলী মুহসিনিয়া বোডিংয়ে আমার অবস্থিতির সময় ঘটে। তখন আমি হুগলী কলেজের বিএ ক্লাসের ছাত্র। ...
১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে প্যারিসের সোরবোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন। এর তিন বছর পর তিনি ফুরফুরা শরীফের নিকট মুরীদ হন। মুরীদ হবার বহু পূর্ব থেকেই তিনি পীর সাহেব কিবলার সান্নিধ্যে মাঝে মধ্যেই যেতেন। পীর সাহেব কিবলা জমিয়তে ওলামা বাংলা-আসাম গঠন করেন। এই সংগঠনটির সহকারী সেক্রেটারি তাঁকে করা হয়েছিল। এর সভাপতি ছিলেন পীর সাহেব নিজে এবং সেক্রেটারি ছিলেন মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ।
ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ পীর সাহেব কিবলার কাছে মুরীদ হবার পর থেকে তরিকতের তালীম প্রত্যক্ষভাবে নিয়মিত গ্রহণ করতে থাকেন। পীর সাহেব কিবলার সঙ্গে তিনি বহু ওয়াজ ও যিক্র মহফিলে শরীক হয়েছেন। পীর সাহেব তাঁকে মওলানা শহীদুল্লাহ্ বলতেন। পীরের কাছ থেকে তরিকতের সবক গ্রহণ করে তা নিষ্ঠার সঙ্গে অনুশীলন করতেন। এমনিভাবে কামালিয়ত প্রাপ্ত হন। পীর সাহেব কিবলা তাঁকে লিখিত খিলাফতনামা প্রদান করেন। এই খিলাফতনামা প্রাপ্তির পর থেকে তিনি অনেক সময় নামের সঙ্গে মুজাদ্দিদী লকব লিখতেন।
পীর সাবেক কিবলা ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহকে খিলাফতনামা অর্থ্যাৎ পীরত্বের সনদ প্রদান করেন। তাতে ফারসী ভাষায় লেখা ছিল : ববায়ে তওবা ওয়া বায়’আত করদান ওয়া ওয়াজ গুফ্তান ওয়া তা’লীম করদান ইজাজত দাদ শুদÑতওবা করাতে বায়’আত করতে, ওয়াজ করতে এবং তালীম দিতে ইজাজত দেয়া হলো।
ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে সংস্কৃতে অনার্সসহ বিএ পাস করেন। বিএ পাস করে তিনি সংস্কৃত বিষয় নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পাশাপাশি আইন বিভাগেও ভর্তি হলেন। সংস্কৃত বিষয়ে এমএতে ভর্তি হলে কিছু হিন্দু অধ্যাপক এতে কড়া আপত্তি তুললেন। বিশেষ করে সংস্কৃত বিভাগের বেদ-এর অধ্যাপক সত্যব্রত সামশ্রমী স্পষ্ট বলে দিলেন তার দ্বারা একজন ‘ম্লেচ্ছ’কে বেদ পড়ানো হবে না। তার মতে ‘ম্লেচ্ছ’কে বেদ পড়তে দেয়া শাস্ত্রবিরুদ্ধ কাজ।
এই ঘটনার বিরুদ্ধে ভারতজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। মওলানা মোহাম্মদ আলী জওহরের কমরেড পত্রিকায় শহীদুল্লাহ্ এফেয়ার্স শীর্ষক ধারাবাহিক নিবন্ধ কয়েকটি সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গনেও ঝড় তোলে। ফলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় একটা নতুন বিভাগ খুলতে বাধ্য হয় যার নাম তুলনামূলক ভাষাতত্ত্ব। এই বিভাগে একজনই শিক্ষার্থী ছিলেন আর তিনি হচ্ছেন মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এমএ পাস করেন। একই বছর তিনি ওকালতী পাস করেন। তারপর কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। অবশ্য বিএ পড়ার সময় তিনি প্রায় এক বছর কাল (১৯০৮-১৯০৯ খ্রি.) যশোর জিলা স্কুলে শিক্ষকতা করেন। এই সময় তিনি খড়কী শরীফের পীর সাহেব এরশাদে খালেকিয়া গ্রন্থের লেখক মওলানা শাহ মোহাম্মদ আবদুল করিম রহমাতুল্লাহি ‘আলায়হির খানকা শরীফে হাজিরা দেন এবং তাঁর সান্নিধ্য লাভ করেন। পীর সাহেবের নিকট মুরীদ হবার ইচ্ছা ব্যক্ত করলে তিনি বলেন : শহীদুল্লাহ সাহেব, আপনার আব্বার পীর যিনি তাঁর কাছেই আপনার মুরীদ হওয়া উচিত। পরবর্তীকালে তিনি তাঁর পিতার পীর আবু বকর সিদ্দিকী (রহ.) নিকট বয়’আত করেন।
তাঁর কর্মময় জীবন বিচিত্র্য আঙ্গিকে গড়া। ১৯১২-১৩ খ্রিস্টাব্দে কলিকাতা মুসলিম এতিমখানার তত্ত্বাবধায়ক, ১৯১৪-১৫ চট্টগ্রামের সীতাকু- হাইস্কুলের হেড মাস্টার, ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে মাসিক আল এসলাম পত্রিকার সহ-সম্পাদক, ১৯১৫-১৯ চব্বিশ পরগনার বরিশরহাট মহকুমার আদালতে ওকালতী, বশিরহাট মিউনিসিপ্যালিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট, ১৯১৯-২১ কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শরৎকুমার লাহিড়ী গবেষণা সহায়ক, ১৯২০-২১ সুপারিনটেন্ডেন্ট, কলিকাতা মেডিক্যাল কলেজ মুসলিম ছাত্রাবাস, ১৯২১-২৬ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কৃত ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক, ১৯২২-২৪ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে খ-কালীন অধ্যাপক, ১৯২০ শিশু পত্রিকা আঙুর নিজ সম্পাদনায় প্রকাশ, ১৯২৬-২৮ প্যারিসের সোরবোন বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন এবং ১৯২৮ ডক্টরেট ও ডিপ্লো-ফোন ডিগ্রী লাভ। সোরবোনে অধ্যায়নকালে গ্রীষ্মের ছুটিতে জার্মানিতে ফ্রাইবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন; ১৯২৮-৩০ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক সংস্কৃত ও বাংলা বিভাগ, ১৯৩৪-৩৫ অধ্যক্ষ ও রিডার সংস্কৃত ও বাংলা বিভাগ, ১৯৩৫-৩৭ অধ্যাপক সংস্কৃত ও বাংলা বিভাগ, ১৯৩৭-৪৪ অধ্যক্ষ ও রিডার বাংলা বিভাগ, ৩০ জুন ১৯৪৪ অবসরগ্রহণ, ১৯৪৪-৪৮ অধ্যক্ষ আযিযুল হক কলেজ বগুড়া, ১৯৫৫-৫৮ প্রফেসর ও অধ্যক্ষ বাংলা ও সংস্কৃত বিভাগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। এমনিভাবে আরও বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজে তিনি নিয়োজিত ছিলেন। জীবনের শেষপ্রান্তে এসে তিনি ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে এমিরিটাস প্রফেসর ছিলেন। তিনি ইসলামী আদর্শকে সর্বতোভাবে ধারণ করেছেন। তাঁর রচিত ও অনূদিত পুস্তকের সংখ্যাও অনেক। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে : ভাষা ও সাহিত্য, দীওয়ান-ই হাফিজ (অনুবাদ), শিকওআহ্ ও জওআব-ই শিকওয়াহ্ (অনুবাদ), রকমারী, অমীয়বাণীশতক, বাঙ্গালা ব্যাকরণ, রুবাইয়াত-ই-উমর খয়্যাম (অনুবাদ), পদ্মাবতী, বাংলা সাহিত্যের কথা, বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত, অমর কাব্য, ছোটদের রসূলুল্লাহ্ প্রভৃতি। তিনি কুরআন শরীফের বাংলা তরজমাও করেন।
আগে এই ধারণা পোষণ করা হতো যে, বাংলা ভাষা সংস্কৃতের দুহিতা। তিনি এই ধারণা খ-ন করে প্রমাণ করলেন যে, বাংলা ভাষার উৎপত্তি হয়েছে প্রাকৃত থেকে। তার সঙ্গে প-িতবর্গ ঐকমত্য পোষণ করলেন। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন ফুরফুরা শরীফের আলা হযরত মুজাদ্দিদে যামান মওলানা আবু বকর সিদ্দিকী রহমাতুল্লাহি ‘আলায়হির খলীফা, তিনি বলেছেন : আমি বিশ্বাস করি হুযূরের তওয়াজ্জুহ আমার সফলতার কারণ ছিল। এখানে উল্লেখ্য যে, বর্তমান লেখকের আব্বা হুযুর কিবলা হযরত মওলানা শাহ্ সূফী আলহাজ তোয়াজউদ্দীন আহমদ রহমাতুল্লাহি ‘আলাহি ও ফুরফুরা শরীফের পীর মুজাদ্দিদে যামান আবু বকর সিদ্দিকী (রহ.)-এর খলীফা ছিলেন। বর্তমান লেখক তারই কায়েম মকাম বা গদ্দীনশীন।
ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ফুরফুরা সিলসিলাভুক্ত হওয়ায় আহলে সুন্নত ওয়া জামা’আতের পতাকাবাহী হতে পেরেছিলেন। তিনি শিরক, বিদা’আত, কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তিনি ২৪টি ভাষা জানতেন। ১৮টি ভাষার ওপর তার পূর্ণ দখল ছিল। তিনি সুন্নতের পাবন্ধ ছিলেন। তিনি বলেছেন, আমরা যদি চিন্তা-ভাবনায়, কথাবর্তায়, পোশাক-পরিচ্ছদে এবং আহার-বিহারে নিজেদের স্বাতন্ত্র্যকে পালন না করি তা হলে জাতি হিসেবে আমরা ধ্বংস হয়ে যাব। (দ্র. গোলাম সাকলায়েন, অন্তরঙ্গ আলোকে ডক্টর শহীদুল্লাহ পৃ. ৯৭)
বার্ধক্যে উপনীত হয়েও তিনি মানুষকে কুরআন ও হাদীসের শিক্ষা দিয়ে গেছেন, জ্ঞানের কথা শুনিয়ে গেছেন। মসজিদে মসজিদে যেয়ে কুরআনের তফসীর শুনিয়েছেন। তার মাজার পার্শ্বস্থ ঐতিহাসিক মূসা মসজিদে তিনি নিয়মিত তফসীর করতেন। জীবনের অনুভবে এবং জীবন যাপনে তিনি ছিলেন পূর্ণমানব এবং পরিপূর্ণ সূফী এবং সত্যিকার মানবতাবাদী। তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দের ১০ জুলাই চব্বিশ পরগনার পেয়ারা গ্রামে আর ইন্তিকাল করেন ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১৩ জুলাই রোববার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সকাল ৯-৫৮ মিনিটে ৮৪ বছর বয়সে।

লেখক : পীর সাহেব দ্বারিয়াপুর শরীফ, উপদেষ্টা ইনস্টিটিউট অব হযরত মুহম্মদ (সা.), সাবেক পরিচালক ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ

No comments

Powered by Blogger.