দাম বাড়াবেন না by মাওলানা শাহ আবদুস সাত্তার
প্রতি বছরই দেখা যায়, রমজানুল মোবারক শুরু হওয়ার আগেই অধিক মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য গোলাজাত করতে থাকেন। ফলে দ্রব্যাদির মূল্যবৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এতে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির স্বীকার হয়, বিশেষ করে রমজান শুরু হওয়ার আগেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির এমন কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে, যাতে দেশের
হাটবাজারে, শহর-বন্দরে, গ্রামগঞ্জে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতিতে রোজাদারসহ দেশের সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস ওঠে। অসৎ-অসাধু অধিক মুনাফালোভী ব্যবসায়ী রমজানের সুযোগ নিয়ে দাম ইচ্ছাকৃত বাড়িয়ে দেয় এবং আস্তে আস্তে এসব দ্রব্য বাজারে ছাড়তে থাকে উচ্চমূল্যে বিক্রির আশায়। ইসলামের দৃষ্টিতে এসব সম্পূর্ণ অবৈধ। অসৎ-অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রতি আল্লাহ হুশিয়ার করেছেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা আল্লাহ-রাসূল (সা.) এবং কোটি কোটি মানুষের শত্রু।
আল্লাহ সুদ হারাম আর ব্যবসা-বাণিজ্যকে হালাল করেছেন। তাই অধিক মুনাফার লোভে ওই সব মানবতাহীন মানুষ সাধারণ মানুষকে ভোগান্তি দিয়ে চলেছে। তাদের প্রতি মানুষের অভিসম্পাত আল্লাহ এবং তদীয় রাসূলের (সা.) কাছে ঘৃণিত ও অভিশপ্ত। তাদের পরিণাম ইহকালীন ও পরকালীন জীবন হবে ভয়াবহ দুর্বিষহ।
হাদিসে আছে, সৎ ব্যবসায়ীদের হাশর হবে নবী, সিদ্দীক ও শহীদদের সঙ্গে। সৎ ব্যবসায়ী পরিবার, সমাজ ও জাতির জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। তারা হচ্ছে দেশ ও জাতির মহান সেবক এবং অসৎ-অসাধু ব্যবসা-বাণিজ্যকারীদের আল্লাহ্র রাসূল (সা.) এবং মানুষ, পশুপাখি, মাছ, গাছের কাছে ঘৃণিত-নিন্দিত। কারণ, তাদের দ্বারা মানুষ দারুণ কষ্ট পায়_ সংসারে চরম টানাপড়েনের মধ্য দিয়ে চলে। অন্যদিকে দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির জন্য নারী-বৃদ্ধ-শিশুরা বিভিন্নভাবে অসহনীয় ভোগান্তির স্বীকার হয়। প্রতারক, অধিক মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে হজরত রাসূলে পাক (সা.) বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের যারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষের ওপর জুলুম করে এবং কূটকৌশলে অবৈধ পন্থায় অর্থ আয় করে, তাদের উপযুক্ত স্থান হচ্ছে জাহান্নাম এবং কোটি কোটি মানুষের ঘৃণার পাত্র ও জাতীয় শত্রু।
পবিত্র হাদিসে আরও বলা হয়েছে, যেসব অসৎ ব্যবসায়ী অধিক মুনাফালোভী বিপুল অর্থের লোভে ৪০ দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি গোলাজাত করে রাখে তাদের প্রতি আল্লাহ্র লানত ও অভিসম্পাত।
অতএব আসুন, পবিত্র মাহে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য না বাড়িয়ে রোজাদার সাধারণ মানুষের চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে পাপের অংশীদার না হই।
আল্লাহ সুদ হারাম আর ব্যবসা-বাণিজ্যকে হালাল করেছেন। তাই অধিক মুনাফার লোভে ওই সব মানবতাহীন মানুষ সাধারণ মানুষকে ভোগান্তি দিয়ে চলেছে। তাদের প্রতি মানুষের অভিসম্পাত আল্লাহ এবং তদীয় রাসূলের (সা.) কাছে ঘৃণিত ও অভিশপ্ত। তাদের পরিণাম ইহকালীন ও পরকালীন জীবন হবে ভয়াবহ দুর্বিষহ।
হাদিসে আছে, সৎ ব্যবসায়ীদের হাশর হবে নবী, সিদ্দীক ও শহীদদের সঙ্গে। সৎ ব্যবসায়ী পরিবার, সমাজ ও জাতির জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। তারা হচ্ছে দেশ ও জাতির মহান সেবক এবং অসৎ-অসাধু ব্যবসা-বাণিজ্যকারীদের আল্লাহ্র রাসূল (সা.) এবং মানুষ, পশুপাখি, মাছ, গাছের কাছে ঘৃণিত-নিন্দিত। কারণ, তাদের দ্বারা মানুষ দারুণ কষ্ট পায়_ সংসারে চরম টানাপড়েনের মধ্য দিয়ে চলে। অন্যদিকে দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির জন্য নারী-বৃদ্ধ-শিশুরা বিভিন্নভাবে অসহনীয় ভোগান্তির স্বীকার হয়। প্রতারক, অধিক মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে হজরত রাসূলে পাক (সা.) বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের যারা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে সাধারণ মানুষের ওপর জুলুম করে এবং কূটকৌশলে অবৈধ পন্থায় অর্থ আয় করে, তাদের উপযুক্ত স্থান হচ্ছে জাহান্নাম এবং কোটি কোটি মানুষের ঘৃণার পাত্র ও জাতীয় শত্রু।
পবিত্র হাদিসে আরও বলা হয়েছে, যেসব অসৎ ব্যবসায়ী অধিক মুনাফালোভী বিপুল অর্থের লোভে ৪০ দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি গোলাজাত করে রাখে তাদের প্রতি আল্লাহ্র লানত ও অভিসম্পাত।
অতএব আসুন, পবিত্র মাহে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য না বাড়িয়ে রোজাদার সাধারণ মানুষের চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে পাপের অংশীদার না হই।
No comments