মুন্সিগঞ্জে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৪০ লাখ টাকা জরিমানা

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান ও সদর উপজেলার দুটি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। সিরাজদিখান উপজেলার চরপাইন এলাকায় ধলেশ্বরী নদীর তীরে নিচু ও কৃষিজমি ভরাট করে অবৈধ আবাসন প্রকল্প গড়ার অপরাধে গতকাল বৃহস্পতিবার সবুজছায়া নামের একটি আবাসন প্রকল্পকে ২০ লাখ টাকা


জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া এই প্রকল্পের ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়া ও কর্মকর্তা নিজামউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বায়ুদূষণের দায়ে গত বুধবার সদর উপজেলার মুক্তারপুরে প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস লিমিটেডকে ১৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সিরাজদিখান উপজেলার এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অধিদপ্তরের একটি তদন্ত দল ৯ জুলাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তদন্তে কৃষিজমি ভরাট ও পরিবেশের ক্ষতি সাধনের প্রমাণ পাওয়া যায়। কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সবুজছায়া আবাসন প্রকল্পের মালিকদের অধিদপ্তরের কার্যালয়ে ডেকে পাঠানো হয়। গতকাল প্রকল্পের ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান মিয়া ও নিজামউদ্দিন কার্যালয়ে গেলে অধিদপ্তরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মোহামঞ্চদ মুনীর চৌধুরী তাঁঁদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। প্রতিষ্ঠানটিকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া তিনি প্রকল্পের ভূমি ভরাটের সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন। স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর আরও জানায়, এ অবৈধ আবাসন প্রকল্পের মধ্যে সরকারি খাসজমি ও খাল রয়েছে। তদন্তে অন্তত ৪৫ বিঘা নিচু জমি বালু দিয়ে ভরাটের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মোহামঞ্চদ মুনীর চৌধুরী বলেন, এ ধরনের দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য সিমেন্ট কারখানাগুলোতে পর্যাপ্ত ডাস্ট কালেক্টর, এয়ার ফিল্টার সিস্টেম স্থাপন দরকার। এ ছাড়া এগুলোর নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ বাধ্যতামূলক। এ ধরনের বায়ুদূষণের শিকার শুধু সাধারণ জনগণ নয়, কারখানার মালিক এবং কর্মকর্তারাও এর নিষ্ঠুর শিকারে পরিণত হচ্ছেন।

No comments

Powered by Blogger.