স্ত্রীকে ১০ বছর বেঁধে রেখে নির্যাতন

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় স্ত্রীকে প্রায় ১০ বছর বেঁধে রেখে শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম পিটার লিজন (৩৭)। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, লিজন তাঁর স্ত্রী স্টেফানিকে (৪৩) দীর্ঘ সময় বেঁধে রেখে নির্যাতন করার কারণে স্ত্রীর হাতের কবজি ও পায়ের গোড়ালিতে


ভয়াবহ ক্ষতের সৃষ্টি হয়। স্টেফানি এসব ক্ষত নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের দেখানোর পর লিজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জ্যাকসন কাউন্টির কর্মকর্তারা জানান, স্টেফানিকে শিকল দিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল।
কর্মকর্তারা জানান, স্টেফানির পায়ে কৃষি সরঞ্জাম দিয়ে সজোরে আঘাত করা হয়েছে। এ ছাড়া লিজন স্ত্রীর সঙ্গে দাসের মতো আচরণ করতেন। এমনকি লিজন যখন ঘরে প্রবেশ করতেন, তখন স্ত্রী তাঁকে হাঁটুগেড়ে কুর্নিশ করতে বাধ্য হতেন।
লিজনের হাত থেকে বাঁচতে স্টেফানি কোনোমতে পালিয়ে তিনি এক নারীর কাছে আশ্রয় নেন। ওই নারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ দায়েরকারী নারীর ভাষ্যমতে, বিভিন্ন সময় স্টেফানির বুকে ও পিঠে গরম লোহার ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছে। এতে তাঁর শরীরের অনেকাংশে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া গরম কড়াই দিয়ে তাঁর আঙুল থেঁতলে দেওয়া হয়েছে।
ওই নারী আরও জানান, স্টেফানি যখন অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন, তখন লিজন তাঁর পেটে লাথি মারতেন। এতে একপর্যায়ে স্ত্রীর গর্ভপাত ঘটে। তিনি আরও জানান, শিকলে বাঁধা অবস্থায় থাকাকালে স্টেফানির একটি সন্তানও হয়েছে। তার বয়স এক বছর। এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.