ঘরবাড়ি হোক বরকতময় by মুফতি মাহফূযুল হক
রহমত, বরকত নাজিল হয় আল্লাহ সন্তুষ্ট থাকলে। তিনি সন্তুষ্ট থাকেন তার হুকুমগুলো মেনে চললে। আল্লাহর রহমত না থাকলে হাজারো সমস্যা পেঁচিয়ে ধরে। আল্লাহর রহম না থাকলে নেক-আমল হ্রাস পায়। গুনাহর কাজ প্রবল গতিতে বাড়ে, যা পরিশেষে দুনিয়া ও আখিরাতের আজাবকে আবশ্যক করে।
তাই তো নবী (সা.) বলেছেন, 'বাড়ি তৈরিতে হারাম সম্পদ ব্যয় করো না। কেননা, হারাম রোজগার সকল অশান্তি ও যন্ত্রণার গোড়া।' নতুন ঘরবাড়িতে ওঠার আগে আমরা সাধ্যমতো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকি। অথচ আল্লাহতায়ালা আমাদের একজন নবী দিয়েছেন। সব ব্যাপারে একমাত্র তাকেই অনুসরণ করতে বলেছেন। তার সুন্নতের অনুসরণের মাঝেই লুকিয়ে রেখেছেন আমাদের দুনিয়া ও আখিরাতের শান্তি এবং কামিয়াবি। তাই উম্মত হিসেবে আমাদের করণীয়_ সব ব্যাপারে তাকে অনুসরণ করা। সাহাবি আবু বাকারা (রা.) বলেন, যখনই কোনো বড় ধরনের বিষয় নবীকে উল্লসিত করত, তখনই তিনি নামাজ পড়ে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতেন। একটি বাড়ি নির্মাণে একটি পরিবারের স্বপ্ন পূরণ হয়। সবার দীর্ঘদিনের আশার প্রাপ্তি ঘটে। এ আনন্দ প্রকাশের জন্য যদি পরিবারের সদস্যরা নতুন ঘরে ঢুকে একাকীভাবে নফলের নিয়তে দুই রাকাত নামাজ পড়ে মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন, তাহলে সুন্নতের এ অনুসরণ অবশ্যই আল্লাহর রহমত ও বরকতকে আকর্ষণ করবে। সুন্নতের অনুসরণ ছাড়া বাকি সব আয়োজন মরীচিকার মতো প্রতারণা মাত্র। যদিও তা দেখতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মতো মনে হয়। যদিও তা যুগ যুগ ধরে প্রতিপালিত হয়ে থাকে।
মহানবী (সা.) বলেছেন, 'তোমরা কিছু নামাজ ঘরে আদায় কর। ঘরকে কবরস্থান বানাইও না।' এ হাদিসের বিশ্লেষণে মুহাদ্দিসরা বলেন, নফল নামাজ ঘরে পড়া উত্তম।
বাইরে থেকে ঘরে ঢোকার ৩টি সুন্নত। যথা_ ১. দোয়া পড়া; ২. আগে ডান পা ঘরের ভেতর ঢোকানো; ৩. সালাম দেওয়া। অনুরূপ বাইরে যাওয়ার সময়ও ৩টি সুন্নত। যথা_ ১. ঘরের লোকজনকে সালাম দেওয়া; ২. দোয়া পড়া; ৩. ঘর থেকে বাম পা আগে বের করা। নবীর (সা.) প্রতিটি সুন্নত আমাদের হেদায়েত, বরকত ও কামিয়াবির উৎস। সাহাবি জাবির (রা.) প্রিয় নবীকে বলতে শুনেছেন, যখন মানুষ বিসমিল্লাহ বলে ঘরে ঢোকে এবং বিসমিল্লাহ বলে খাবার খায়, তখন শয়তান তার অধীনদের বলে দেয়_ এ ঘরে তোমাদের রাত যাপনের জায়গা নেই এবং তোমাদের জন্য খাবার নেই। কিন্তু মানুষ যখন বিসমিল্লাহ না বলে ঘরে ঢোকে, তখন শয়তান তার দলবলকে বলে, তোমরা রাত যাপনের জায়গা পেয়েছ। অতঃপর যদি খাবারও খায় বিসমিল্লাহ না বলে, তাহলে সে ঘোষণা দেয়, তোমরা জায়গা পেয়েছ, খাবারও পেয়েছ।
সাহাবি আবু উমামা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তিন ধরনের মানুষের জামিনদার আল্লাহ স্বয়ং। যথা_ ১. যে জিহাদে গেছে; ২. যে মসজিদে গেছে; ৩. যে সালাম দিয়ে ঘরে ঢুকেছে। বিশিষ্ট তাবেয়ি কাতাদা সূত্রে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেছেন, যখন তোমরা ঘরে ঢোক তখন পরিবারের সবাইকে সালাম দাও। আর যখন বাইরে যাও তখনও তাদের সালাম দিয়ে বিদায় হও। এ ছাড়া যে ঘরে এতিম প্রতিপালিত হয় ও মেহমানদের আসা-যাওয়া থাকে এবং অতিথি আপ্যায়ন করা হয়_ বরকত ওই ঘরের দিকে দ্রুত ধাবিত হয়।
ঘরে তিনটি জিনিসের সংরক্ষণ ও প্রদর্শন ঘরের রহমত, বরকত নষ্ট করে দেয়। যথা_ ১. প্রাণীর ছবি, ভাস্কর্য, প্রতিকৃতি; ২. কুকুর; ৩. বাদ্যযন্ত্র। আবু তলহা (রা.) বলেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, 'ওই ঘরে রহমতের ফেরেস্তা ঢোকে না, যে ঘরে কুকুর অথবা প্রাণীর ছবি আছে।' বাড়ির বরকতের জন্য প্রতিদিন কিছু সময় পারিবারিক তালিমের আয়োজন করা অত্যন্ত ফলপ্রসূ।
mrmahfuz45@gmail.com
মহানবী (সা.) বলেছেন, 'তোমরা কিছু নামাজ ঘরে আদায় কর। ঘরকে কবরস্থান বানাইও না।' এ হাদিসের বিশ্লেষণে মুহাদ্দিসরা বলেন, নফল নামাজ ঘরে পড়া উত্তম।
বাইরে থেকে ঘরে ঢোকার ৩টি সুন্নত। যথা_ ১. দোয়া পড়া; ২. আগে ডান পা ঘরের ভেতর ঢোকানো; ৩. সালাম দেওয়া। অনুরূপ বাইরে যাওয়ার সময়ও ৩টি সুন্নত। যথা_ ১. ঘরের লোকজনকে সালাম দেওয়া; ২. দোয়া পড়া; ৩. ঘর থেকে বাম পা আগে বের করা। নবীর (সা.) প্রতিটি সুন্নত আমাদের হেদায়েত, বরকত ও কামিয়াবির উৎস। সাহাবি জাবির (রা.) প্রিয় নবীকে বলতে শুনেছেন, যখন মানুষ বিসমিল্লাহ বলে ঘরে ঢোকে এবং বিসমিল্লাহ বলে খাবার খায়, তখন শয়তান তার অধীনদের বলে দেয়_ এ ঘরে তোমাদের রাত যাপনের জায়গা নেই এবং তোমাদের জন্য খাবার নেই। কিন্তু মানুষ যখন বিসমিল্লাহ না বলে ঘরে ঢোকে, তখন শয়তান তার দলবলকে বলে, তোমরা রাত যাপনের জায়গা পেয়েছ। অতঃপর যদি খাবারও খায় বিসমিল্লাহ না বলে, তাহলে সে ঘোষণা দেয়, তোমরা জায়গা পেয়েছ, খাবারও পেয়েছ।
সাহাবি আবু উমামা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তিন ধরনের মানুষের জামিনদার আল্লাহ স্বয়ং। যথা_ ১. যে জিহাদে গেছে; ২. যে মসজিদে গেছে; ৩. যে সালাম দিয়ে ঘরে ঢুকেছে। বিশিষ্ট তাবেয়ি কাতাদা সূত্রে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেছেন, যখন তোমরা ঘরে ঢোক তখন পরিবারের সবাইকে সালাম দাও। আর যখন বাইরে যাও তখনও তাদের সালাম দিয়ে বিদায় হও। এ ছাড়া যে ঘরে এতিম প্রতিপালিত হয় ও মেহমানদের আসা-যাওয়া থাকে এবং অতিথি আপ্যায়ন করা হয়_ বরকত ওই ঘরের দিকে দ্রুত ধাবিত হয়।
ঘরে তিনটি জিনিসের সংরক্ষণ ও প্রদর্শন ঘরের রহমত, বরকত নষ্ট করে দেয়। যথা_ ১. প্রাণীর ছবি, ভাস্কর্য, প্রতিকৃতি; ২. কুকুর; ৩. বাদ্যযন্ত্র। আবু তলহা (রা.) বলেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, 'ওই ঘরে রহমতের ফেরেস্তা ঢোকে না, যে ঘরে কুকুর অথবা প্রাণীর ছবি আছে।' বাড়ির বরকতের জন্য প্রতিদিন কিছু সময় পারিবারিক তালিমের আয়োজন করা অত্যন্ত ফলপ্রসূ।
mrmahfuz45@gmail.com
No comments