যশোরে সাংবাদিকের গলা চেপে ধরলেন কোতোয়ালির সেই ওসি-পাসপোর্ট অফিসে দুর্নীতি
যশোর অফিস ॥ যশোর পাসপোর্ট অফিসের দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে দালাল চক্র ও পুলিশের হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিকরা। এ সময় দালালদের হামলা ও পুলিশের লাঠিচার্জে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর পাসপোর্ট অফিসে এই ঘটনা ঘটেছে।
পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মাসুম হাসান প্রথমে দুর্ব্যবহার করে এবং ‘পোষ্য দালাল’দের দিয়ে হামলা করিয়েছেন
বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুল জলিলও হামলায় পড়েন সাংবাদিক ও পাসপোর্ট করতে আসা সাধারণ মানুষের উপর। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে একুশে টেলিভিশনের যশোর প্রতিনিধি শিকদার খালিদ জানান, যশোর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের পাসপোর্ট করতে আসা সাধারণ মানুষের হয়রানি, দালালদের তৎপরতা ও অফিসের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনিসহ আরও দু’জন সাংবাদিক যশোর পাসপোর্ট অফিসে যান। এ সময় পাসপোর্ট করতে আসা সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে ভিডিও চিত্র ধারণ করার সময় পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মাসুম হাসান সাংবাদিকদের গালিগালাজ শুরু করেন। এক পর্যায়ে পাসপোর্ট অফিসের চিহ্নিত দালাল ‘গ-ার মামুনের’ নেতৃত্বে কয়েকজন এসে সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহে বাধা দেন। এক পর্যায়ে মাসুম হাসান তার পশ্চাৎদেশ ঘুরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা এর ছবি তোলেন, পারলে ... ছিঁড়ে নিয়েন।’ কর্মচারীদের ডেকে বলেন, ‘ওদের ধরে নিয়ে আয়’। এক পর্যায়ে দোতলা থেকে সাংবাদিকদের উদ্দেশে স্যান্ডেল ছুড়েও মারা হয়। পাসপোর্ট করতে আসা সহস্রাধিক মানুষ সহকারী পরিচালকের এই আচরণে হতবাক হয়ে যান। সাংবাদিক লাঞ্ছনার খবর পেয়ে প্রেসক্লাব যশোরের নেতৃবৃন্দসহ যশোরের সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল পাসপোর্ট অফিসে ছুটে যান। যশোর প্রেসক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান তোতা, সম্পাদক আহসান কবীরসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ সহকারী পরিচালকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও তিনি অফিসের গেট খোলেননি। এরই মধ্যে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুল জলিল ফোর্স নিয়ে এসে হঠাৎ করেই সাংবাদিকদের উপর হামলা শুরু করেন। তিনি একুশে টেলিভিশনের যশোর প্রতিনিধি শিকদার খালিদের গলা চেপে ধরেন ও তার সঙ্গে থাকা ফোর্সকে লাঠিপেটার নির্দেশ দেন। এরপর ওসির নেতৃত্বে পুলিশ সাংবাদিক ও পাসপোর্ট করতে আসা সাধারণ মানুষের উপর হামলে পড়ে। পরে তাদের সঙ্গে কয়েকজন পাসপোর্ট দালালও যোগ হন। এতে সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। এদের মধ্যে রয়েছেন, প্রেসক্লাব যশোরের সম্পাদক আহসান কবির, একুশে টেলিভিশনের যশোর প্রতিনিধি শিকদার খালিদ, ক্যামেরাম্যান এস আলম টুটুল, স্পন্দন’র স্টাফ রিপোর্টার কাজী আশরাফুল আজাদ ও সাংবাদিক তৌহিদ জামান। তবে হামলার ব্যাপারে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল জানান, সেখানে হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি। ‘সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে পাসপোর্ট এডি নাকি গালিগালাজ করেছেন’ এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে সেখানে কিছুটা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এ সময় কয়েকজন এক পুলিশ সদস্যের উপর চড়াও হলে তিনি বিক্ষুব্ধ লোকদের সরিয়ে দিয়েছেন মাত্র। এ প্রসঙ্গে যশোর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মাসুম হাসান জানান, পুরো ঘটনাটি দুঃখজনক। তিনি কারো সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেননি। দুর্র্ব্যবহার গালিগালাজের যেসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা দুর্ভাগ্যজনক। ‘তাঁর ছত্রছায়ায় পাসপোর্ট অফিসে দালালরা বেপরোয়া’ এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, এ কথা কেউ বলে থাকলে তার কিছু করার নেই। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, তিনি কোন দালালকে প্রশ্রয় দেন না। বরং প্রতিদিন একাধিকবার তিনি তদারকি করেন, যাতে দালালরা অফিস চত্বরে ভিড়তে না পারে। মাঝেমধ্যে তিনি দালাল ধরে পুলিশেও সোপর্দ করেন। এদিকে, বিকাল ৪টার দিকে সাংবাদিকরা পাসপোর্ট অফিস থেকে প্রেসক্লাবে ফিরে জরুরী মিটিংয়ে বসেন। মিটিং শেষে প্রেসক্লাব সম্পাদক আহসান কবীর বলেন, পুরো ঘটনার নায়ক আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালককে রবিবারের মধ্যে যশোর থেকে প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। একই সঙ্গে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুল জলিলকে তার কৃতকর্মের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনারও দাবি জানান তিনি। অন্যথায় তার বিরুদ্ধেও আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুল জলিলও হামলায় পড়েন সাংবাদিক ও পাসপোর্ট করতে আসা সাধারণ মানুষের উপর। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে একুশে টেলিভিশনের যশোর প্রতিনিধি শিকদার খালিদ জানান, যশোর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের পাসপোর্ট করতে আসা সাধারণ মানুষের হয়রানি, দালালদের তৎপরতা ও অফিসের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহের জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনিসহ আরও দু’জন সাংবাদিক যশোর পাসপোর্ট অফিসে যান। এ সময় পাসপোর্ট করতে আসা সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে ভিডিও চিত্র ধারণ করার সময় পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মাসুম হাসান সাংবাদিকদের গালিগালাজ শুরু করেন। এক পর্যায়ে পাসপোর্ট অফিসের চিহ্নিত দালাল ‘গ-ার মামুনের’ নেতৃত্বে কয়েকজন এসে সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহে বাধা দেন। এক পর্যায়ে মাসুম হাসান তার পশ্চাৎদেশ ঘুরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা এর ছবি তোলেন, পারলে ... ছিঁড়ে নিয়েন।’ কর্মচারীদের ডেকে বলেন, ‘ওদের ধরে নিয়ে আয়’। এক পর্যায়ে দোতলা থেকে সাংবাদিকদের উদ্দেশে স্যান্ডেল ছুড়েও মারা হয়। পাসপোর্ট করতে আসা সহস্রাধিক মানুষ সহকারী পরিচালকের এই আচরণে হতবাক হয়ে যান। সাংবাদিক লাঞ্ছনার খবর পেয়ে প্রেসক্লাব যশোরের নেতৃবৃন্দসহ যশোরের সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল পাসপোর্ট অফিসে ছুটে যান। যশোর প্রেসক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান তোতা, সম্পাদক আহসান কবীরসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ সহকারী পরিচালকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও তিনি অফিসের গেট খোলেননি। এরই মধ্যে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুল জলিল ফোর্স নিয়ে এসে হঠাৎ করেই সাংবাদিকদের উপর হামলা শুরু করেন। তিনি একুশে টেলিভিশনের যশোর প্রতিনিধি শিকদার খালিদের গলা চেপে ধরেন ও তার সঙ্গে থাকা ফোর্সকে লাঠিপেটার নির্দেশ দেন। এরপর ওসির নেতৃত্বে পুলিশ সাংবাদিক ও পাসপোর্ট করতে আসা সাধারণ মানুষের উপর হামলে পড়ে। পরে তাদের সঙ্গে কয়েকজন পাসপোর্ট দালালও যোগ হন। এতে সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। এদের মধ্যে রয়েছেন, প্রেসক্লাব যশোরের সম্পাদক আহসান কবির, একুশে টেলিভিশনের যশোর প্রতিনিধি শিকদার খালিদ, ক্যামেরাম্যান এস আলম টুটুল, স্পন্দন’র স্টাফ রিপোর্টার কাজী আশরাফুল আজাদ ও সাংবাদিক তৌহিদ জামান। তবে হামলার ব্যাপারে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল জানান, সেখানে হামলার কোন ঘটনা ঘটেনি। ‘সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে পাসপোর্ট এডি নাকি গালিগালাজ করেছেন’ এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে সেখানে কিছুটা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এ সময় কয়েকজন এক পুলিশ সদস্যের উপর চড়াও হলে তিনি বিক্ষুব্ধ লোকদের সরিয়ে দিয়েছেন মাত্র। এ প্রসঙ্গে যশোর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মাসুম হাসান জানান, পুরো ঘটনাটি দুঃখজনক। তিনি কারো সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেননি। দুর্র্ব্যবহার গালিগালাজের যেসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা দুর্ভাগ্যজনক। ‘তাঁর ছত্রছায়ায় পাসপোর্ট অফিসে দালালরা বেপরোয়া’ এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, এ কথা কেউ বলে থাকলে তার কিছু করার নেই। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, তিনি কোন দালালকে প্রশ্রয় দেন না। বরং প্রতিদিন একাধিকবার তিনি তদারকি করেন, যাতে দালালরা অফিস চত্বরে ভিড়তে না পারে। মাঝেমধ্যে তিনি দালাল ধরে পুলিশেও সোপর্দ করেন। এদিকে, বিকাল ৪টার দিকে সাংবাদিকরা পাসপোর্ট অফিস থেকে প্রেসক্লাবে ফিরে জরুরী মিটিংয়ে বসেন। মিটিং শেষে প্রেসক্লাব সম্পাদক আহসান কবীর বলেন, পুরো ঘটনার নায়ক আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালককে রবিবারের মধ্যে যশোর থেকে প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। একই সঙ্গে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুল জলিলকে তার কৃতকর্মের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনারও দাবি জানান তিনি। অন্যথায় তার বিরুদ্ধেও আন্দোলন কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
No comments