প্রত্নতত্ত্বসন্ধানী কুকুর
শিকারের কাজে কুকুরের তৎপরতার কথা নতুন কিছু নয়। গন্ধ শুঁকে শিকার খুঁজে বের করতে চতুষ্পদ প্রাণীটির জুড়ি নেই। কিন্তু কুকুর কি অতীতের ঘ্রাণ পায়? এবার সে রকম প্রমাণই মিলেছে। প্রত্নতত্ত্বসন্ধানী বিশ্বের প্রথম কুকুরের নাম মিগালু।
কালো ল্যাব্রাডর জাতের মাদি কুকুরটিকে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল থেকে সংগ্রহ করে তালিম দিয়েছেন সে দেশের প্রশিক্ষক গ্রে জ্যাকসন। মিগালু এখন ১০০ বছরের পুরোনো হাড় শনাক্ত করতে পারে। কুকুরটি সাউথ অস্ট্রেলিয়ার ৬০০ বছরের পুরোনো একটি কবরস্থান মাত্র দুই মিনিটে চিহ্নিত করেছে। মানবদেহের ধ্বংসাবশেষের পাশাপাশি মিগালু এখন মাটির পাত্র ও জীবাশ্ম (ফসিল) অনুসন্ধানে তালিম নিচ্ছে। জ্যাকসন বলেন, অন্য কুকুরদেরও এ প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব। ঘ্রাণ নেওয়ার জন্য কুকুরের নাকে প্রত্যঙ্গের সংখ্যা মানুষের ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের তুলনায় প্রায় ২০ কোটি বেশি। বন্য প্রাণী নিয়ে গবেষণাকারী মাঠকর্মীরা কুকুরকে সহকারী হিসেবে সঙ্গে নিয়ে থাকেন। এরা ছোট্ট টিকটিকি থেকে শুরু করে বিশাল গরিলার উপস্থিতি নির্ভুল বলে দিতে পারে। দ্রুত বিস্তারলাভকারী উদ্ভিদ প্রজাতি শনাক্ত করার পাশাপাশি এই কুকুর সমুদ্রে তিমিকে ধাওয়া করতেও গবেষকদের সাহায্য করে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক।
No comments