গাইবান্ধায় নকল রুপার মুদ্রা দিয়ে প্রতারণা
গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলায় নকল রুপার মুদ্রা দেখিয়ে প্রতারণার ব্যবসা জমে উঠেছে। প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে শত শত মানুষ নিঃস্ব হচ্ছেন। পুলিশের ছত্রচ্ছায়ায় এ ব্যবসা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে সাদুল্যাপুর থানায় অর্ধশতাধিক মামলাও হয়েছে।
সাদুল্যাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফজলুল কাইয়ুম অভিযোগ করেন, পুলিশ প্রতারকদের লালন-পালন করছে। এ কারণে প্রতারণা বন্ধ হচ্ছে না। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার খান জানান, প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ মাসোহারা নিয়ে প্রতারক চক্রকে ধরছে না। বিষয়গুলো উপজেলা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কমিটির সভায় জানিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে নকল মুদ্রা দিয়ে উপজেলার ধাপেরহাট, ফরিদপুর, জামালপুর, ভাতগ্রাম ও বনগ্রাম ইউনিয়নে প্রতারণা চলছে। এসব ইউনিয়নের অসংখ্য বাড়িতে ডাইসে সিসাজাতীয় দ্রব্য দিয়ে নকল মুদ্রা তৈরি করা হয়। পরে তা প্যাকেটজাত করা হয় স্যালাইনের প্যাকেটে। প্রতিটি প্যাকেটে ৮০ থেকে ১০০টি মুদ্রা থাকে। বর্তমান বাজারে প্রতি ভরি রুপার দাম এক হাজার টাকা। কিন্তু প্রতারকেরা প্রতি ভরি ২০০-৩০০ টাকায় বিক্রির লোভ দেখিয়ে প্রতারণা করছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতারক চক্রের সদস্যরা দিনমজুরের বেশে ঢাকা, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় গিয়ে অবস্থাপন্ন লোকদের নানাভাবে আস্থা অর্জন করে রুপার মুদ্রা বিক্রির প্রলোভন দেখায়। এসব গৃহকর্তা ৫০ হাজার থেকে তিন লাখ টাকা নিয়ে মুদ্রা কিনতে সাদুল্যাপুরে এসে রাত যাপন করেন। ভোর রাতে পলিথিনে মোড়ানো প্যাকেটে নকল রুপার মুদ্রা ক্রেতার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে প্রতারিত হয়ে শত শত লোক নিঃস্ব হচ্ছে।
প্রতারণার শিকার পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার খিদিরপুর গ্রামের ব্যবসায়ী স্বপন কুমার জানান, প্রতারকেরা তাঁর বাড়িতে কৃষিশ্রমিকের কাজ নিয়ে তাঁর মুঠোফোন নম্বর সংগ্রহ করে। তাদের একজন সাদুল্যাপুরের খোর্দ্দরুহিয়া গ্রামের আমেনা খাতুন রুপার মুদ্রা দেওয়ার কথা বলে সম্প্রতি তাঁকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে ৭১ হাজার টাকা নিয়ে নকল মুদ্রা দেন। এ নিয়ে সাদুল্যাপুর থানায় মামলা করেও লাভ হয়নি। প্রায় একই ধরনের কথা বলেন ঢাকার আশুলিয়ার মোহনপুর গ্রামের মনির হোসেনসহ কয়েকজন।
সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজনুর রহমান জানান, পুলিশের ছত্রচ্ছায়ায় নকল মুদ্রার ব্যবসার অভিযোগ সঠিক নয়। তবে অন্য জেলার লোকেরা বেশি প্রতারিত হচ্ছেন। কিন্তু তাঁরা অভিযোগ করতে থানায় আসেন না। ফলে অনেক প্রতারক ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে। ৯ নভেম্বর উপজেলার এনায়েতপুর বাজার থেকে ৮২টি এবং ১০ নভেম্বর ভোবানিপুর গ্রামের শহীদুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৪৬টি নকল মুদ্রা উদ্ধার ও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার করা ব্যবসায়ী উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের নুরু মণ্ডল ও শহীদুল ইসলাম জানান, তাঁরা সাত বছর ধরে এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
গাইবান্ধার পুলিশ সুপার এ কে এম নাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতারণা রোধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। আশা করি, অল্প দিনের মধ্যেই এ প্রতারণা বন্ধ করা সম্ভব হবে।’
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে নকল মুদ্রা দিয়ে উপজেলার ধাপেরহাট, ফরিদপুর, জামালপুর, ভাতগ্রাম ও বনগ্রাম ইউনিয়নে প্রতারণা চলছে। এসব ইউনিয়নের অসংখ্য বাড়িতে ডাইসে সিসাজাতীয় দ্রব্য দিয়ে নকল মুদ্রা তৈরি করা হয়। পরে তা প্যাকেটজাত করা হয় স্যালাইনের প্যাকেটে। প্রতিটি প্যাকেটে ৮০ থেকে ১০০টি মুদ্রা থাকে। বর্তমান বাজারে প্রতি ভরি রুপার দাম এক হাজার টাকা। কিন্তু প্রতারকেরা প্রতি ভরি ২০০-৩০০ টাকায় বিক্রির লোভ দেখিয়ে প্রতারণা করছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতারক চক্রের সদস্যরা দিনমজুরের বেশে ঢাকা, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় গিয়ে অবস্থাপন্ন লোকদের নানাভাবে আস্থা অর্জন করে রুপার মুদ্রা বিক্রির প্রলোভন দেখায়। এসব গৃহকর্তা ৫০ হাজার থেকে তিন লাখ টাকা নিয়ে মুদ্রা কিনতে সাদুল্যাপুরে এসে রাত যাপন করেন। ভোর রাতে পলিথিনে মোড়ানো প্যাকেটে নকল রুপার মুদ্রা ক্রেতার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে প্রতারিত হয়ে শত শত লোক নিঃস্ব হচ্ছে।
প্রতারণার শিকার পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার খিদিরপুর গ্রামের ব্যবসায়ী স্বপন কুমার জানান, প্রতারকেরা তাঁর বাড়িতে কৃষিশ্রমিকের কাজ নিয়ে তাঁর মুঠোফোন নম্বর সংগ্রহ করে। তাদের একজন সাদুল্যাপুরের খোর্দ্দরুহিয়া গ্রামের আমেনা খাতুন রুপার মুদ্রা দেওয়ার কথা বলে সম্প্রতি তাঁকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে ৭১ হাজার টাকা নিয়ে নকল মুদ্রা দেন। এ নিয়ে সাদুল্যাপুর থানায় মামলা করেও লাভ হয়নি। প্রায় একই ধরনের কথা বলেন ঢাকার আশুলিয়ার মোহনপুর গ্রামের মনির হোসেনসহ কয়েকজন।
সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজনুর রহমান জানান, পুলিশের ছত্রচ্ছায়ায় নকল মুদ্রার ব্যবসার অভিযোগ সঠিক নয়। তবে অন্য জেলার লোকেরা বেশি প্রতারিত হচ্ছেন। কিন্তু তাঁরা অভিযোগ করতে থানায় আসেন না। ফলে অনেক প্রতারক ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে। ৯ নভেম্বর উপজেলার এনায়েতপুর বাজার থেকে ৮২টি এবং ১০ নভেম্বর ভোবানিপুর গ্রামের শহীদুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৪৬টি নকল মুদ্রা উদ্ধার ও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার করা ব্যবসায়ী উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামের নুরু মণ্ডল ও শহীদুল ইসলাম জানান, তাঁরা সাত বছর ধরে এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
গাইবান্ধার পুলিশ সুপার এ কে এম নাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতারণা রোধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। আশা করি, অল্প দিনের মধ্যেই এ প্রতারণা বন্ধ করা সম্ভব হবে।’
No comments