চিকিৎসকের অবহেলায় নারীর মৃত্যুর অভিযোগ
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসকের অবহেলায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে ক্লিনিকের মালিক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পলাতক রয়েছেন। গত শনিবার দিবাগত রাত একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও মৃত ব্যক্তির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে শাহজাদপুর উপজেলার কান্দাপাড়া গ্রামের চান্দু শেখের স্ত্রী মিনা খাতুনের (৪০) পিত্তথলির পাথর অপসারণের জন্য তাঁকে শাহজাদপুর পৌর শহরের নবযুগ হেলথ ডাইমেন্টশন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের চিকিৎসক (সহকারী রেজিস্ট্রার) ইমাম আল নাজিমুল হক মিনার পিত্তথলিতে অস্ত্রোপচার শুরু করেন। রাত একটার দিকে অস্ত্রোপচারকক্ষেই তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর ক্লিনিকের চিকিৎসক ও সেবিকারা পালিয়ে যান।
মিনা খাতুনের পুত্রবধূ আঙ্গুরী বেগম অভিযোগ করেন, ‘অস্ত্রোপচারের সময় শাশুড়ি “আমাকে বাঁচাও বাঁচাও” বলে চিৎকার করছিলেন। বিষয়টি চিকিৎসককে বলা সত্ত্বেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। অবেদনবিদ ছাড়া তিনি একাই অস্ত্রোপচার করেন। রোগী মারা যাওয়ার পর বাইরে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য হাসপাতালের লোকজন নিজেরাই গাড়ি ভাড়া করে আনেন। মারা গেছে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় বাইরে নিতে দেওয়া হয়নি। এর মধ্যেই হাসপাতালের চিকিৎসকসহ সবাই একে একে পালিয়ে যান।’
রোগীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে গতকাল রোববার শত শত মানুষ ক্লিনিকে এসে বিক্ষোভ করে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ লোকজন ক্লিনিক ভাঙচুরের চেষ্টা করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ বিষয়ে ওই চিকিৎসক ও ক্লিনিকের মালিকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান জানান, নিহত রোগীর ময়নাতদন্ত করার জন্য সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ক্লিনিকে কোনো লোক না পাওয়ায় সেটি তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত মিনা খাতুনের ছেলে মিলন শেখ বাদী হয়ে ওই চিকিৎসককে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছেন।
মিনা খাতুনের পুত্রবধূ আঙ্গুরী বেগম অভিযোগ করেন, ‘অস্ত্রোপচারের সময় শাশুড়ি “আমাকে বাঁচাও বাঁচাও” বলে চিৎকার করছিলেন। বিষয়টি চিকিৎসককে বলা সত্ত্বেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। অবেদনবিদ ছাড়া তিনি একাই অস্ত্রোপচার করেন। রোগী মারা যাওয়ার পর বাইরে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য হাসপাতালের লোকজন নিজেরাই গাড়ি ভাড়া করে আনেন। মারা গেছে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ায় বাইরে নিতে দেওয়া হয়নি। এর মধ্যেই হাসপাতালের চিকিৎসকসহ সবাই একে একে পালিয়ে যান।’
রোগীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে গতকাল রোববার শত শত মানুষ ক্লিনিকে এসে বিক্ষোভ করে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ লোকজন ক্লিনিক ভাঙচুরের চেষ্টা করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ বিষয়ে ওই চিকিৎসক ও ক্লিনিকের মালিকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান জানান, নিহত রোগীর ময়নাতদন্ত করার জন্য সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ক্লিনিকে কোনো লোক না পাওয়ায় সেটি তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত মিনা খাতুনের ছেলে মিলন শেখ বাদী হয়ে ওই চিকিৎসককে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছেন।
No comments