বিশেষ লেখা-এর চেয়ে জঘন্য শাসনব্যবস্থা আর হয় না by সালমা আলী
গাজীপুরের কাপাসিয়ার সংসদ সদস্যের ঘনিষ্ঠ ও এপিএস সাইফুল হাকিম মোল্লা ওরফে কাজল মোল্লা একটি মেয়েকে এত দিন ধরে নির্যাতন করল, আটকে রাখল, অথচ এ ব্যাপারে প্রশাসন কোনো ব্যবস্থাই নিল না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও বলছেন, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।
আমি একজন মানবাধিকারকর্মী হিসেবে বলছি, এর থেকে জঘন্য শাসনব্যবস্থা আর হতে পারে না। যারা রক্ষক তারাই ভক্ষক হয়ে উঠেছে। পুরো প্রশাসন, পুলিশ, আওয়ামী লীগ সবাই এক হয়ে গেছে। তারা কী মানুষ, নাকি আর কিছু! অথচ উচিত ছিল নির্যাতনের শিকার মেয়েটিকে নিরাপত্তা দেওয়া। কিন্তু তা তারা দেয়নি। এটা নারী ও শিশু অধিকারের চরম লঙ্ঘন।
এই হলো আমাদের দেশের চিত্র। এভাবেই চলছে। একদিকে প্রশাসন সব ঘটনা অস্বীকার করছে, অন্যদিকে তাদেরই প্রশ্রয়ে এসব ঘটছে। ফলে তারাও অপরাধের একটা পার্ট। মেয়েটাকে তারা বাড়িতে দিয়ে এসেছে এই শর্তে যে, সে যাতে মুখ না খোলে। দুই দিন ধরে তাকে এসব শেখানো হয়েছে। আমরা শুনেছি, মেয়েটার গর্ভপাত ঘটানো হয়েছে। পরীক্ষা করালে সেটা হয়তো বের হবে। এর ক্ষতিপূরণ সরকারকেই দিতে হবে।
আমরা বলব, সমাজে ভীতি সৃষ্টির জন্য এ রকম ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। অথচ দল-মত নির্বিশেষে জনগণের ওপর তো আর কিছুই থাকতে পারে না। কিন্তু এটা উপেক্ষিত হলো। সংবিধানে যে অধিকারগুলো দেওয়া আছে, তার সবকিছুই এ ক্ষেত্রে লঙ্ঘন করা হয়েছে। উচিত ছিল তাকে তাৎক্ষণিক সহায়তা দেওয়া, থানায় নেওয়ার পর তাকে শিশুবান্ধব স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেওয়া, তাৎক্ষণিক ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নেওয়া। শারীরিক, আইনি এবং মেডিক্যাল সাপোর্টসহ সব সার্বিক সহায়তা তার প্রাপ্য ছিল। অথচ দায়িত্বশীলরা তা করেনি। কিন্তু কালের কণ্ঠের সাংবাদিকরা সাহসিকতা এবং দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। তাঁরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে একের পর এক নিউজ করেছেন। তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে কালের কণ্ঠ পরিবারকেও ধন্যবাদ। অন্য সাংবাদিকরা কোথায় ছিলেন, তাঁরা কি করেছেন?
এ ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো সহায়তা করা হয় বলেই অপরাধীরা বড় বড় অপরাধ করার সাহস পায় এবং পার পেয়ে যায়। অনেক বড় বড় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটে গেছে, কিন্তু বিচার হয়নি। সবাই পার পেয়ে গেছে। যে কারণে অপরাধ ঘটেই চলেছে। দেশে একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে অপরাধ করার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। শাস্তি দেওয়া হয়নি বলেই সন্ত্রাসীরা একের পর এক অপরাধ করার সাহস দেখাচ্ছে।
আমার কথা হচ্ছে, যখন এত নির্মম, জঘন্য একটা ঘটনা ঘটে গেল, তখন কোথায় ছিল বিএনপি? কোথায় ছিল ১৮ দল? সরকারি দলের অপকর্মের বিরুদ্ধে তাদেরই তো রুখে দাঁড়ানো উচিত ছিল। আমরা বিরোধী দলেরও সমালোচনা করছি।
আপনারা দেখে থাকবেন, কাপাসিয়ার ঘটনাই শেষ নয়। এই দেশে একের পর নানা ঘটনা ঘটছে। এর মধ্য দিয়ে বোঝা যাচ্ছে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা সব সময় হয়, মেয়াদের শেষের দিকে সরকারি দলের লোকজন আস্থাহীন হয়ে পড়ে আগ্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করে। শাসক দলের লোকজন তখন সবকিছুর অপব্যবহার করতে চায়। মানুষ শারীরিক বা যৌন নির্যাতনকে ভয় পায়। এর শিকার হয় নারী ও শিশুরা। মানুষকে এভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে এই বার্তা দেওয়া হয়, আমরা আছি।
আর আমাদের একটা বড় দোষ সম্মানের ভয়ে সবকিছুকে লুকিয়ে রাখার প্রবণতা। দ্বিতীয়বার নির্যাতিত হওয়ার ভয়। অথচ এই লুকোছাপাটা কিন্তু অপরাধীদের পক্ষে যায়। সে কারণে ওরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তারা জানে, অপরাধ করলেও কিছু হবে না। নয় তো সিডি, মোবাইল ফোন ভিডিও ফুটেজ নিয়ে কেন অপরাধ বাড়ছে? এর কি শেষ হবে না? প্রশাসন কি তার দায়িত্ব পালন করবে না? এই প্রশ্ন আজ আপামর জনতার।
এই হলো আমাদের দেশের চিত্র। এভাবেই চলছে। একদিকে প্রশাসন সব ঘটনা অস্বীকার করছে, অন্যদিকে তাদেরই প্রশ্রয়ে এসব ঘটছে। ফলে তারাও অপরাধের একটা পার্ট। মেয়েটাকে তারা বাড়িতে দিয়ে এসেছে এই শর্তে যে, সে যাতে মুখ না খোলে। দুই দিন ধরে তাকে এসব শেখানো হয়েছে। আমরা শুনেছি, মেয়েটার গর্ভপাত ঘটানো হয়েছে। পরীক্ষা করালে সেটা হয়তো বের হবে। এর ক্ষতিপূরণ সরকারকেই দিতে হবে।
আমরা বলব, সমাজে ভীতি সৃষ্টির জন্য এ রকম ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। অথচ দল-মত নির্বিশেষে জনগণের ওপর তো আর কিছুই থাকতে পারে না। কিন্তু এটা উপেক্ষিত হলো। সংবিধানে যে অধিকারগুলো দেওয়া আছে, তার সবকিছুই এ ক্ষেত্রে লঙ্ঘন করা হয়েছে। উচিত ছিল তাকে তাৎক্ষণিক সহায়তা দেওয়া, থানায় নেওয়ার পর তাকে শিশুবান্ধব স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেওয়া, তাৎক্ষণিক ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নেওয়া। শারীরিক, আইনি এবং মেডিক্যাল সাপোর্টসহ সব সার্বিক সহায়তা তার প্রাপ্য ছিল। অথচ দায়িত্বশীলরা তা করেনি। কিন্তু কালের কণ্ঠের সাংবাদিকরা সাহসিকতা এবং দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। তাঁরা প্রশাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে একের পর এক নিউজ করেছেন। তাঁদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে কালের কণ্ঠ পরিবারকেও ধন্যবাদ। অন্য সাংবাদিকরা কোথায় ছিলেন, তাঁরা কি করেছেন?
এ ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো সহায়তা করা হয় বলেই অপরাধীরা বড় বড় অপরাধ করার সাহস পায় এবং পার পেয়ে যায়। অনেক বড় বড় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ঘটে গেছে, কিন্তু বিচার হয়নি। সবাই পার পেয়ে গেছে। যে কারণে অপরাধ ঘটেই চলেছে। দেশে একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে অপরাধ করার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। শাস্তি দেওয়া হয়নি বলেই সন্ত্রাসীরা একের পর এক অপরাধ করার সাহস দেখাচ্ছে।
আমার কথা হচ্ছে, যখন এত নির্মম, জঘন্য একটা ঘটনা ঘটে গেল, তখন কোথায় ছিল বিএনপি? কোথায় ছিল ১৮ দল? সরকারি দলের অপকর্মের বিরুদ্ধে তাদেরই তো রুখে দাঁড়ানো উচিত ছিল। আমরা বিরোধী দলেরও সমালোচনা করছি।
আপনারা দেখে থাকবেন, কাপাসিয়ার ঘটনাই শেষ নয়। এই দেশে একের পর নানা ঘটনা ঘটছে। এর মধ্য দিয়ে বোঝা যাচ্ছে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা সব সময় হয়, মেয়াদের শেষের দিকে সরকারি দলের লোকজন আস্থাহীন হয়ে পড়ে আগ্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করে। শাসক দলের লোকজন তখন সবকিছুর অপব্যবহার করতে চায়। মানুষ শারীরিক বা যৌন নির্যাতনকে ভয় পায়। এর শিকার হয় নারী ও শিশুরা। মানুষকে এভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে এই বার্তা দেওয়া হয়, আমরা আছি।
আর আমাদের একটা বড় দোষ সম্মানের ভয়ে সবকিছুকে লুকিয়ে রাখার প্রবণতা। দ্বিতীয়বার নির্যাতিত হওয়ার ভয়। অথচ এই লুকোছাপাটা কিন্তু অপরাধীদের পক্ষে যায়। সে কারণে ওরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তারা জানে, অপরাধ করলেও কিছু হবে না। নয় তো সিডি, মোবাইল ফোন ভিডিও ফুটেজ নিয়ে কেন অপরাধ বাড়ছে? এর কি শেষ হবে না? প্রশাসন কি তার দায়িত্ব পালন করবে না? এই প্রশ্ন আজ আপামর জনতার।
No comments