কালের কণ্ঠের প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিট-মেয়েটিকে আজ হাইকোর্টে হাজির করার নির্দেশ
গাজীপুরের কাপাসিয়ার সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমির এপিএস পরিচয়দানকারী সাইফুল হাকিম মোল্লা ওরফে কাজল মোল্লার নির্যাতনের শিকার গৃহপরিচারিকাকে আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
পুলিশের মহাপরিদর্শক, গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) ও কাপাসিয়ার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের বেঞ্চ গতকাল রবিবার এ নির্দেশ দেন।
হাইকোর্ট এ আদেশ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেছুর রহমানকে সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দিতে বলার পর তিনি এসপিকে মোবাইল ফোনে আদালতের আদেশ জানিয়ে দেন। মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলীর করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ ও অ্যাডভোকেট সালমা আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেছুর রহমান।
এ ছাড়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে না, নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিকে যথাযথ চিকিৎসা দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। স্বরাষ্ট্রসচিব, আইজিপি, গাজীপুরের এসপি ও কাপাসিয়া থানার ওসিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ওই গৃহপরিচারিকা নির্যাতনের ঘটনায় কালের কণ্ঠে গত ১৭ জানুয়ারি 'পশু দম্পত্তি', ১৮ জানুয়ারি "মেয়েটিকে তুলে নিয়ে জোর করে বলানো হলো 'সব মিথ্যা'', ১৯ জানুয়ারি 'বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গায়েব করা হলো মেয়েটিকে' গতকাল ২০ জানুয়ারি 'কাজলকে বাঁচাতে একজোট প্রশাসন ও দলীয় নেতারা' শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট আবেদন করা হয়।
গতকাল শুনানিতে আদালতে বলা হয়, ভিকটিম (নির্যাতিত গৃহপরিচারিকা) কোথায় আছে সে ঘটনা জানতে আমরা কাপাসিয়ায় গিয়েছিলাম। প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো তথ্য ও সহযোগিতা পাইনি। এক পর্যায়ে থানায় গিয়েছি মামলা করতে। আমাদের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট সোহেল রানা আকন্দ থানায় যান। পুলিশ মামলা নেয়নি। এরপর থানায় বসে জিডি লেখা হয়। কিন্তু জিডিটি তালিকাভুক্ত করার আগে ওসি ও সেকেন্ড অফিসার বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে যান। অ্যাডভোকেট সোহেলকে আধাঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। এরই মধ্যে সাবেক এমপি ও বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতা শহীদুল্লাহ দলীয় লোকজন নিয়ে থানায় হাজির হন। তিনি থানায় ঢুকেই সোহেলকে ধমকাতে থাকেন। সোহেলকে হুমক দিয়ে তিনি বলেন, কার অনুমতি নিয়ে জিডি করতে আসেন। এর পর অবস্থা বেগতিক দেখে ভয়ে ফিরে আসেন সোহেল রানা।
এ সময় আদালত জানতে চান ভিকটিম কোথায়? জবাবে সালমা আলী বলেন, 'মেয়েটিকে আমরা খুঁজে পাইনি। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে পাইনি। উল্টো প্রশাসন অপরাধীপক্ষকে সহযোগিতা করছে। তবে শনিবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টি ফোর মেয়েটির এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকরা প্রচার করে। সেখানে প্রচারিত সংবাদ থেকে জানা যায়, মেয়েটিকে অভিযুক্তরা একটি মোটরসাইকেলে করে বাসায় পৌঁছে দিয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ এবং চিকিৎসা প্রয়োজন।' এর পর আদালত তাকে হাজির করার নির্দেশ দেন এবং রুল জারি করেন।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, 'আড়াই মাস আগে রাজধানীর মিরপুরে কাপাসিয়ার এমপির কথিত এপিএস কাজলের বাড়িতে কাজ করতে যাওয়ার পর থেকেই তার ওপর নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ। মাঝেমধ্যেই তাকে মারধর করত কাজল ও তার স্ত্রী রেখা।'
আদালতের আদেশের পর অ্যাডভোকেট ফৌজিয়া করিম সাংবাদিকদের বলেন, প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন দেশে এ ধরনের অপরাধ বাড়ছে। তিনি বলেন, সরকারের শেষ সময়ে সমাজে ভীতি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই এ ধরনের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
অ্যাডভোকেট সালমা আলী সাংবাদিকদের বলেন, প্রশাসনের উচিত ছিল ভিকটিমকে নিরাপত্তা দেওয়া। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। কিন্তু তা করা হয়নি। এতে সংবিধান ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন হয়েছে। যারা রক্ষক তারাই এখন ভক্ষকের ভূমিকায় নেমেছে।
হাইকোর্ট এ আদেশ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেছুর রহমানকে সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দিতে বলার পর তিনি এসপিকে মোবাইল ফোনে আদালতের আদেশ জানিয়ে দেন। মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট সালমা আলীর করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ ও অ্যাডভোকেট সালমা আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেছুর রহমান।
এ ছাড়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হবে না, নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিকে যথাযথ চিকিৎসা দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। স্বরাষ্ট্রসচিব, আইজিপি, গাজীপুরের এসপি ও কাপাসিয়া থানার ওসিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ওই গৃহপরিচারিকা নির্যাতনের ঘটনায় কালের কণ্ঠে গত ১৭ জানুয়ারি 'পশু দম্পত্তি', ১৮ জানুয়ারি "মেয়েটিকে তুলে নিয়ে জোর করে বলানো হলো 'সব মিথ্যা'', ১৯ জানুয়ারি 'বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গায়েব করা হলো মেয়েটিকে' গতকাল ২০ জানুয়ারি 'কাজলকে বাঁচাতে একজোট প্রশাসন ও দলীয় নেতারা' শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট আবেদন করা হয়।
গতকাল শুনানিতে আদালতে বলা হয়, ভিকটিম (নির্যাতিত গৃহপরিচারিকা) কোথায় আছে সে ঘটনা জানতে আমরা কাপাসিয়ায় গিয়েছিলাম। প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো তথ্য ও সহযোগিতা পাইনি। এক পর্যায়ে থানায় গিয়েছি মামলা করতে। আমাদের পক্ষ থেকে অ্যাডভোকেট সোহেল রানা আকন্দ থানায় যান। পুলিশ মামলা নেয়নি। এরপর থানায় বসে জিডি লেখা হয়। কিন্তু জিডিটি তালিকাভুক্ত করার আগে ওসি ও সেকেন্ড অফিসার বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে যান। অ্যাডভোকেট সোহেলকে আধাঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়। এরই মধ্যে সাবেক এমপি ও বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতা শহীদুল্লাহ দলীয় লোকজন নিয়ে থানায় হাজির হন। তিনি থানায় ঢুকেই সোহেলকে ধমকাতে থাকেন। সোহেলকে হুমক দিয়ে তিনি বলেন, কার অনুমতি নিয়ে জিডি করতে আসেন। এর পর অবস্থা বেগতিক দেখে ভয়ে ফিরে আসেন সোহেল রানা।
এ সময় আদালত জানতে চান ভিকটিম কোথায়? জবাবে সালমা আলী বলেন, 'মেয়েটিকে আমরা খুঁজে পাইনি। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে পাইনি। উল্টো প্রশাসন অপরাধীপক্ষকে সহযোগিতা করছে। তবে শনিবার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টি ফোর মেয়েটির এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকরা প্রচার করে। সেখানে প্রচারিত সংবাদ থেকে জানা যায়, মেয়েটিকে অভিযুক্তরা একটি মোটরসাইকেলে করে বাসায় পৌঁছে দিয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ এবং চিকিৎসা প্রয়োজন।' এর পর আদালত তাকে হাজির করার নির্দেশ দেন এবং রুল জারি করেন।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, 'আড়াই মাস আগে রাজধানীর মিরপুরে কাপাসিয়ার এমপির কথিত এপিএস কাজলের বাড়িতে কাজ করতে যাওয়ার পর থেকেই তার ওপর নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ। মাঝেমধ্যেই তাকে মারধর করত কাজল ও তার স্ত্রী রেখা।'
আদালতের আদেশের পর অ্যাডভোকেট ফৌজিয়া করিম সাংবাদিকদের বলেন, প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় দিন দিন দেশে এ ধরনের অপরাধ বাড়ছে। তিনি বলেন, সরকারের শেষ সময়ে সমাজে ভীতি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই এ ধরনের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
অ্যাডভোকেট সালমা আলী সাংবাদিকদের বলেন, প্রশাসনের উচিত ছিল ভিকটিমকে নিরাপত্তা দেওয়া। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। কিন্তু তা করা হয়নি। এতে সংবিধান ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন হয়েছে। যারা রক্ষক তারাই এখন ভক্ষকের ভূমিকায় নেমেছে।
No comments