চার্লস টেইলরের আপিলের শুনানি কাল শুরু
লাইবেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট চার্লস টেইলরের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানি আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে। নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরের বাইরে লেইডস্যান্ডাম শহরতলিতে জাতিসংঘ সমর্থিত সিয়েরা লিওনবিষয়ক আদালতে এ শুনানি হবে।
গত বছর মে মাসে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে টেইলরকে ৫০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপরাধের তুলনায় তাঁর শাস্তি কম হয়েছে দাবি করে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে বাদীপক্ষ। আর বিবাদীপক্ষের কেঁৗসুলিরা টেইলরের শাস্তি মওকুফ বা সাজা কমানোর লক্ষ্যে আপিল করেছেন।
এ দোটানার মধ্যে প্রেসিডেন্ট হিসেবে অবসরভাতা চেয়ে লাইবেরিয়ার পার্লামেন্ট সদস্যদের কাছে চিঠি দিয়েছেন টেইলর। বিষয়টি নিয়ে এ সপ্তাহেই বৈঠক করবেন এমপিরা।
টেইলরের (৬৪) বিরুদ্ধে গত মে মাসে সিয়েরা লিওনে গৃহযুদ্ধের সময় বিদ্রোহীদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। হত্যা, ধর্ষণ, শিশুসেনা নিয়োগের অভিযোগেও দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
রায়ের চারটি পয়েন্ট চ্যালেঞ্জ করে আপিল করে বাদীপক্ষ। এর মধ্যে একটিতে বলা হয়, বিদ্রোহী সংগঠনগুলোকে হুকুম দিয়ে কাজ করানোর জন্যও টেইলরের বিচার হওয়া প্রয়োজন। আদালতে জমা দেওয়া নথিতে তারা দাবি করে, টেইলরের অন্তত ৮০ বছর সাজা হওয়া উচিত ছিল।
অন্যদিকে রায়ের ৪২টি দিক উল্লেখ করে নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়েছেন টেইলরের কেঁৗসুলিরা। তাঁরা ওই রায়কে 'ভুল বিচার' হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, 'আড়াই হাজার পৃষ্ঠার যে রায় ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে অসংগতি ও পরস্পরবিরোধী তথ্যে ভরা।' আদালতে দেওয়া নথিতে তাঁরা দাবি করেন, সাক্ষীদের মিথ্যা বলতে উৎসাহিত করা হয়। বিচারকরা আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আপিলের শুনানি শেষ করে তাঁদের সিদ্ধান্ত জানাবেন। আপিলের কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত হেগে জাতিসংঘের আটক কেন্দ্রেই থাকবেন টেইলর। হেরে গেলে তাঁকে সাজা খাটতে হবে ব্রিটেনে।
এদিকে অবসরভাতা চেয়ে দেশের এমপিদের কাছে চিঠি দিয়েছেন টেইলর। স্ত্রী ও তাঁর দুই মেয়ের কূটনৈতিক পাসপোর্টও দিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে রাষ্ট্রের কাছ থেকে বছরে ২৫ হাজার ডলার তাঁর পাওনা হয়। অবসরভাতা বন্ধ করে দিয়ে তাঁর সঙ্গে বড় ধরনের অন্যায় করা হয়েছে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
এ দোটানার মধ্যে প্রেসিডেন্ট হিসেবে অবসরভাতা চেয়ে লাইবেরিয়ার পার্লামেন্ট সদস্যদের কাছে চিঠি দিয়েছেন টেইলর। বিষয়টি নিয়ে এ সপ্তাহেই বৈঠক করবেন এমপিরা।
টেইলরের (৬৪) বিরুদ্ধে গত মে মাসে সিয়েরা লিওনে গৃহযুদ্ধের সময় বিদ্রোহীদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহের অভিযোগ প্রমাণিত হয়। হত্যা, ধর্ষণ, শিশুসেনা নিয়োগের অভিযোগেও দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
রায়ের চারটি পয়েন্ট চ্যালেঞ্জ করে আপিল করে বাদীপক্ষ। এর মধ্যে একটিতে বলা হয়, বিদ্রোহী সংগঠনগুলোকে হুকুম দিয়ে কাজ করানোর জন্যও টেইলরের বিচার হওয়া প্রয়োজন। আদালতে জমা দেওয়া নথিতে তারা দাবি করে, টেইলরের অন্তত ৮০ বছর সাজা হওয়া উচিত ছিল।
অন্যদিকে রায়ের ৪২টি দিক উল্লেখ করে নিজেদের আপত্তির কথা জানিয়েছেন টেইলরের কেঁৗসুলিরা। তাঁরা ওই রায়কে 'ভুল বিচার' হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, 'আড়াই হাজার পৃষ্ঠার যে রায় ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে অসংগতি ও পরস্পরবিরোধী তথ্যে ভরা।' আদালতে দেওয়া নথিতে তাঁরা দাবি করেন, সাক্ষীদের মিথ্যা বলতে উৎসাহিত করা হয়। বিচারকরা আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আপিলের শুনানি শেষ করে তাঁদের সিদ্ধান্ত জানাবেন। আপিলের কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত হেগে জাতিসংঘের আটক কেন্দ্রেই থাকবেন টেইলর। হেরে গেলে তাঁকে সাজা খাটতে হবে ব্রিটেনে।
এদিকে অবসরভাতা চেয়ে দেশের এমপিদের কাছে চিঠি দিয়েছেন টেইলর। স্ত্রী ও তাঁর দুই মেয়ের কূটনৈতিক পাসপোর্টও দিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে রাষ্ট্রের কাছ থেকে বছরে ২৫ হাজার ডলার তাঁর পাওনা হয়। অবসরভাতা বন্ধ করে দিয়ে তাঁর সঙ্গে বড় ধরনের অন্যায় করা হয়েছে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments