কংগ্রেসকে কতটা টেনে তুলতে পারবেন রাহুল?
পরম্পরা মেনেই রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেস পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট করা হয়েছে। যদিও দলীয় সূত্র বলেছিল, রাহুলের এ 'পদোন্নতিতে' অনীহা আছে। তবে দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত শেষপর্যন্ত তাঁকে মানতেই হলো।
২০১৪ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখেই রাহুলকে এ পদে নিয়োগ করা হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে বেহাল কংগ্রেসকে রাহুল কতটা টেনে তুলতে পারবেন এখন তা-ই দেখার বিষয়।
জয়পুরে অনুষ্ঠিত দলের নীতিনির্ধারণী কমিটির বৈঠকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে রাহুলের নাম প্রথম প্রস্তাব করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি। সবাই এ প্রস্তাবে সমর্থন জানান। পরে সর্বসম্মতিতে রাহুলকে কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। গত শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ খবর ঘোষণার সময় কংগ্রেসের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জনার্দন দ্বিবেদী বলেন, 'আমি নিশ্চিত, রাহুলকে এ পদে নিয়োগের বিষয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত দল ও দলের প্রেসিডেন্টের (সোনিয়া) হাতকে আরো শক্ত করবে।' আগামী নির্বাচনে রাহুলের ভূমিকা সম্পর্কে এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, '২০১৪ সালের নির্বাচনে রাহুলের ভূমিকা নিয়ে পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
অনেকের মতে, নির্বাচনী বৈতরণী পার করতেই রাহুলকে দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট করা হয়েছে। তবে আগামী নির্বাচনে তৃতীয় দফায় কংগ্রেস ক্ষমতায় গেলে রাহুল তাঁর মায়ের মতোই প্রধানমন্ত্রিত্ব নেবেন না তিনি। পর্দার অন্তরালে থেকে কলকাঠি নাড়াবেন। যেমনটি হয়েছিল ২০০৪ সালে। ওই বছর প্রথম দফায় কংগ্রেসের জয়ের পর সোনিয়াকে প্রধানমন্ত্রিত্ব নিতে বলা হয়েছিল। তবে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।
নতুন পদ পাওয়ার পর গতকাল রবিবার রাহুল বলেন, 'এটা আমার জন্য খুব সম্মানের। আমি দলের ছোট-বড় সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। আট বছর ধরে দলের মুরুব্বিদের কাছ থেকে অনেক শিক্ষাই পেয়েছি। নতুন এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার চেষ্টা করব। আমরা সবাই মিলে দেশকে গতিশীল করতে পারব বলে আশা করি।'
কংগ্রেসের দ্বিতীয় শীর্ষ পদে রাহুলের অন্তর্ভুক্তি আনুষ্ঠানিকতা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এত দিন কাগজে-কলমে রাহুল দলের উপপ্রধান না হলেও তিনি মূলত ওই ভূমিকাতেই ছিলেন।
দুর্নীতি, মুদ্রাস্ফীতি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, বেকারত্বসহ নানা কারণে কংগ্রেস এখন বেহাল। এমন অবস্থায় ভোটারদের মন জয় করতেই রাহুলকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক জয়া হাসান বলেন, 'এটা শুধু ক্ষমতার পালাবদলের প্রক্রিয়া মাত্র। কংগ্রেস তাদের গরিব ও মধ্যবিত্তের দল বলে দাবি করে। আগামী নির্বাচনে তাদের কাছে পৌঁছাতেই রাহুলকে মঞ্চে আনা হলো।' এখন দেখার বিষয় হলো, রাহুল কতটা এ কাজ করতে পারবেন।
দলের দ্বিতীয় শীর্ষ পদে রাহুলের নিয়োগ প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে চাপে ফেলেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে তা মানতে নারাজ বিজেপি। দলটির মুখপাত্র শাহনেওয়াজ হোসেন পিটিআইকে বলেন, 'রাহুলের নিয়োগ সম্পূর্ণই কংগ্রেসের নিজস্ব বিষয়। রাহুলের এ নিয়োগে আমরা বিস্মিত হইনি। কারণ তিনি (রাহুল) তো কখনো দলের তৃতীয় শীর্ষ নেতা ছিলেন না যে তাঁকে দ্বিতীয়তে উন্নীত করতে হবে।' রাহুল কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট হলেও বিজেপির কিছু আসে-যায় না বলে তিনি মন্তব্য করনে। হিন্দুস্তান টাইমস, পিটিআই।
জয়পুরে অনুষ্ঠিত দলের নীতিনির্ধারণী কমিটির বৈঠকে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে রাহুলের নাম প্রথম প্রস্তাব করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি। সবাই এ প্রস্তাবে সমর্থন জানান। পরে সর্বসম্মতিতে রাহুলকে কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। গত শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ খবর ঘোষণার সময় কংগ্রেসের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জনার্দন দ্বিবেদী বলেন, 'আমি নিশ্চিত, রাহুলকে এ পদে নিয়োগের বিষয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত দল ও দলের প্রেসিডেন্টের (সোনিয়া) হাতকে আরো শক্ত করবে।' আগামী নির্বাচনে রাহুলের ভূমিকা সম্পর্কে এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, '২০১৪ সালের নির্বাচনে রাহুলের ভূমিকা নিয়ে পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।'
অনেকের মতে, নির্বাচনী বৈতরণী পার করতেই রাহুলকে দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট করা হয়েছে। তবে আগামী নির্বাচনে তৃতীয় দফায় কংগ্রেস ক্ষমতায় গেলে রাহুল তাঁর মায়ের মতোই প্রধানমন্ত্রিত্ব নেবেন না তিনি। পর্দার অন্তরালে থেকে কলকাঠি নাড়াবেন। যেমনটি হয়েছিল ২০০৪ সালে। ওই বছর প্রথম দফায় কংগ্রেসের জয়ের পর সোনিয়াকে প্রধানমন্ত্রিত্ব নিতে বলা হয়েছিল। তবে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।
নতুন পদ পাওয়ার পর গতকাল রবিবার রাহুল বলেন, 'এটা আমার জন্য খুব সম্মানের। আমি দলের ছোট-বড় সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। আট বছর ধরে দলের মুরুব্বিদের কাছ থেকে অনেক শিক্ষাই পেয়েছি। নতুন এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার চেষ্টা করব। আমরা সবাই মিলে দেশকে গতিশীল করতে পারব বলে আশা করি।'
কংগ্রেসের দ্বিতীয় শীর্ষ পদে রাহুলের অন্তর্ভুক্তি আনুষ্ঠানিকতা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এত দিন কাগজে-কলমে রাহুল দলের উপপ্রধান না হলেও তিনি মূলত ওই ভূমিকাতেই ছিলেন।
দুর্নীতি, মুদ্রাস্ফীতি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, বেকারত্বসহ নানা কারণে কংগ্রেস এখন বেহাল। এমন অবস্থায় ভোটারদের মন জয় করতেই রাহুলকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক জয়া হাসান বলেন, 'এটা শুধু ক্ষমতার পালাবদলের প্রক্রিয়া মাত্র। কংগ্রেস তাদের গরিব ও মধ্যবিত্তের দল বলে দাবি করে। আগামী নির্বাচনে তাদের কাছে পৌঁছাতেই রাহুলকে মঞ্চে আনা হলো।' এখন দেখার বিষয় হলো, রাহুল কতটা এ কাজ করতে পারবেন।
দলের দ্বিতীয় শীর্ষ পদে রাহুলের নিয়োগ প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে চাপে ফেলেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে তা মানতে নারাজ বিজেপি। দলটির মুখপাত্র শাহনেওয়াজ হোসেন পিটিআইকে বলেন, 'রাহুলের নিয়োগ সম্পূর্ণই কংগ্রেসের নিজস্ব বিষয়। রাহুলের এ নিয়োগে আমরা বিস্মিত হইনি। কারণ তিনি (রাহুল) তো কখনো দলের তৃতীয় শীর্ষ নেতা ছিলেন না যে তাঁকে দ্বিতীয়তে উন্নীত করতে হবে।' রাহুল কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট হলেও বিজেপির কিছু আসে-যায় না বলে তিনি মন্তব্য করনে। হিন্দুস্তান টাইমস, পিটিআই।
No comments