দুর্বৃত্তদের রাজনৈতিক প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয় by কামাল লোহানী
অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই কাপাসিয়া উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে গৃহকর্মীকে ধর্ষণসহ পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এখন প্রশাসনের ওপর প্রভাব খাটিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে কালের কণ্ঠের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাহবুবা কানিজ কেয়াকাপাসিয়ার এ ঘটনা শুধু রাজনৈতিক নয়, সামাজিক অবক্ষয়েরও প্রমাণ। একটি ঘটনা অনেক ঘটনারই উপসর্গ মাত্র। কাজল মোল্লা নামের লোকটি এপিএস পরিচয়ে পরিচিত ছিল বা নিজেকে এপিএস পরিচয় দিয়ে বেড়াত। কিন্তু এপিএস পরিচয় দেওয়ার মতো সুযোগ ও পরিবেশ কেন থাকবে? এ অধিকার কিভাবে জন্মে সেটা ভেবে দেখার বিষয়। আজ রাষ্ট্রের বিধিবিধান রয়েছে ঠিক, কিন্তু তা কতটা কাজ করছে? আমরা কতটা আইনের শাসনের দাবি করতে পারি? এ সমাজকে রাজনৈতিক দুর্বলতার সুযোগে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যাচ্ছে কিছু লোক। আমরা, আমাদের সামাজিক অবস্থা এবং আমাদের রাজনৈতিক জীবন কোন পর্যায়ে নেমে গেছে, আমরা কোথায় অবস্থান করছি- তা নিয়ে ভাবলে হতাশ হতে হয়। এ ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা এখন পর্যন্ত খুবই হতাশাজনক। প্রশাসন প্রয়োজনীয় কোনো ভূমিকা নেয়নি। আমি এ ভূমিকা না নেওয়াটা বাংলাদেশে কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা বলে মনে করি না।
এটাই আমাদের দেশে স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। এমনিতেই দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে পুলিশ কখনো দাঁড়ায় না। এর পরও যদি থাকে দায়িত্ব পালন না করার ব্যাপারে কারো সমর্থন, তাহলে তো কথাই নেই। আমি খুব পরিষ্কারভাবে বলতে পারি, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দল যেভাবে কাদা ছোড়াছুড়ি করছে, হিংসার রাজনীতিতে নেমেছে- সেই সুযোগটাই নিচ্ছে প্রশাসনের লোকরা। দুর্নীতি আর সন্ত্রাস সে কারণে পার পেয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের ঘটনা ঘটার বিষয়টিকে আমি রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতারই অংশ বলে মনে করি। আমরা এ দেশে লুটতরাজ দেখছি, অন্যায়-অবিচার দেখছি এবং টেলিভিশন ও নানা জায়গায় তা বলেও বেড়াচ্ছি। কিন্তু কোনো প্রতিকার নেই।
সম্প্রতি কেন আইনশৃঙ্খলার এমন অবনতি ঘটল, হঠাৎ করে কেন চারদিকে এমন বিশৃঙ্খল অবস্থা, আইন ভঙ্গ করার এমন প্রবণতা তৈরি হলো- সে কথা শাসকগোষ্ঠী কি ভেবে দেখেছে? তারা কি এসব দেখতে পাচ্ছে?
এ ধরনের অন্যায় কোনোক্রমেই প্রশ্রয় দেওয়া যায় না। এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা যদি পার পেয়ে যায় তাহলে দেশে অন্যায়কর্ম উৎসাহিত হবে, কোনোক্রমেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। সেসব কারণেই আইনকে সঠিক গতিতে চলতে দেওয়ার স্বার্থেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া অপরিহার্য।
এটাই আমাদের দেশে স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। এমনিতেই দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে পুলিশ কখনো দাঁড়ায় না। এর পরও যদি থাকে দায়িত্ব পালন না করার ব্যাপারে কারো সমর্থন, তাহলে তো কথাই নেই। আমি খুব পরিষ্কারভাবে বলতে পারি, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দল যেভাবে কাদা ছোড়াছুড়ি করছে, হিংসার রাজনীতিতে নেমেছে- সেই সুযোগটাই নিচ্ছে প্রশাসনের লোকরা। দুর্নীতি আর সন্ত্রাস সে কারণে পার পেয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের ঘটনা ঘটার বিষয়টিকে আমি রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতারই অংশ বলে মনে করি। আমরা এ দেশে লুটতরাজ দেখছি, অন্যায়-অবিচার দেখছি এবং টেলিভিশন ও নানা জায়গায় তা বলেও বেড়াচ্ছি। কিন্তু কোনো প্রতিকার নেই।
সম্প্রতি কেন আইনশৃঙ্খলার এমন অবনতি ঘটল, হঠাৎ করে কেন চারদিকে এমন বিশৃঙ্খল অবস্থা, আইন ভঙ্গ করার এমন প্রবণতা তৈরি হলো- সে কথা শাসকগোষ্ঠী কি ভেবে দেখেছে? তারা কি এসব দেখতে পাচ্ছে?
এ ধরনের অন্যায় কোনোক্রমেই প্রশ্রয় দেওয়া যায় না। এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িতরা যদি পার পেয়ে যায় তাহলে দেশে অন্যায়কর্ম উৎসাহিত হবে, কোনোক্রমেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। সেসব কারণেই আইনকে সঠিক গতিতে চলতে দেওয়ার স্বার্থেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া অপরিহার্য।
No comments