নতুন চোখে পুরনো বন্ধুত্ব-টেলিফোনে নাগরিক মন্তব্য
সম্প্রতি রাশিয়া সফর করেন প্রধানমন্ত্রী। সফরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন ও অস্ত্র ক্রয় চুক্তি ছাড়াও কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানিয়েছেন পাঠকরা।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানিয়েছেন পাঠকরা।
গ্রন্থনা : একরামুল হক শামীম ও মাহফুজুর রহমান মানিক
মো. নুরুল ইসলাম নাহিদ
শিক্ষার্থী, সিরাজগঞ্জ
বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সফর। যেসব চুক্তি হয়েছে সেগুলো যেন এ সরকারের আমলেই বাস্তবায়ন হয়।]
]
আমানুল্লাহ
চাকরিজীবী (অব.) মির্জাপুর, টাঙ্গাইল
আমি প্রধানমন্ত্রীর রাশিয়া সফরকে ইতিবাচকভাবে দেখতে চাই। তবে অস্ত্র কেনার ব্যাপারে আমার আপত্তি রয়েছে।
নাজমুল মোর্শেদ শিমুল
শিক্ষার্থী, ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল
দু'দেশের জন্য এ সফর গুরুত্বপূর্ণ। সোভিয়েত ইউনিয়ন মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের সাহায্য করেছিল। তারা আমাদের পুরনো বন্ধু। সফরের সময় অস্ত্র ক্রয় নিয়ে বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই। দেশের জন্য অস্ত্রের প্রয়োজন রয়েছে। তবে বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন হলে আমরা খুশি হবো।
নাজিমুদ্দিন শোভা
শিক্ষক, টাঙ্গাইল
১৯৭১ সালে যখন আমেরিকা সপ্তম নৌবহর পাঠাতে শুরু করে, তখন রাশিয়া তার নৌবহর পাঠিয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তারা আমাদের বন্ধু। দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় অস্ত্রের প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীকে তাই রাশিয়া সফরের জন্য অভিনন্দন।
হাজি মো. আবদুল মালেক
ব্যবসায়ী, শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ
রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কেনা যুক্তিসঙ্গত নয়।
খোকন আহমেদ
ব্যবসায়ী, বেলাব, নরসিংদী
রাশিয়ার সঙ্গে যেসব বিষয়ে চুক্তি হয়েছে তার বিস্তারিত যেন জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়।
আবু সাঈদ মণ্ডল
কৃষক, রাজনীতিক, সিরাজগঞ্জ
একটি সার্থক সফর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে এ সফরের জন্য ধন্যবাদ।
মো. সেলিম রেজা
শিক্ষার্থী, গোপালগঞ্জ
প্রধানমন্ত্রীর সফরের মাধ্যমে সামরিক বাহিনী শক্তিশালীকরণে যে অস্ত্র চুক্তি হয়েছে, দেশের স্বার্থে এর প্রয়োজন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।
ফারুক হোসেন
সাংবাদিক, বাগমারা, রাজশাহী
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী দেশ রাশিয়া সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মূলত বঙ্গবন্ধুর সময় থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে যে চুক্তি ও সমঝোতাগুলো হয়েছে সবই দেশের কল্যাণে। আমাদের বহির্শত্রুর হাত থেকে দেশ রক্ষায় অস্ত্রের প্রয়োজন রয়েছে। এমনিতেই পাশের দেশ ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে এক প্রকার যুদ্ধ চলছে।
মো. ফখরুল ইসলাম টিপু
শিক্ষার্থী, সেনবাগ, নোয়াখালী
দীর্ঘদিন পর সরকারপ্রধানের রাশিয়া সফর উভয় দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতায় নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। ঋণ করে অস্ত্র ক্রয় না করে বেকারদের কর্মসংস্থান করলে জনগণ আরও সুফল ভোগ করত। আর নির্বাচনের আগে ঋণ করে অস্ত্র ক্রয়ে 'কমিশন' খাওয়ার সম্ভাবনাকে নাকচ করে দেওয়া যায় না।
মো. সুজন
শিক্ষার্থী, কুমিল্লা
প্রধানমন্ত্রী রাশিয়া সফর করেছেন, তার এ সফরে যেসব চুক্তি হয়েছে সেগুলো কি বাস্তবায়ন হবে?
বিপি সেন
চিকিৎসক, গোপালগঞ্জ
রাশিয়া আমাদের আগে থেকেই বন্ধু। তাদের সহযোগিতায় পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন খুবই ভালো বিষয়, সত্যিকার অর্থেই যদি এটি বাস্তবায়ন হয়! আসলে আমরা বিদ্যুৎ চাই। জনগণের বিদ্যুৎ চাহিদা রয়েছে।
সঞ্জিত বণিক
রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আমাদের দেশের সামরিক বাহিনীর জন্য অস্ত্রের প্রয়োজন আছে। অস্ত্র চুক্তি ঠিক আছে।
কুমারেশ চন্দ্র
বাস শ্রমিক, ঝিনাইদহ টার্মিনাল
এ সফরের মাধ্যমে যে সম্পর্কের উন্নয়ন হয়েছে তার প্রতিফলন দেখতে চাই। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারেন শেখ হাসিনাই।
মো. শহীদুল্লাহ
মুক্তিযোদ্ধা, পাবনা
এটি দৃষ্টান্তমূলক সফর। দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা বিদ্যুৎ। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হলে সেটা দেশের জন্য ভালো হবে। এটি একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তও বটে।
প্রফেসর শামীম
শিক্ষক, মেহেরপুর
প্রধানমন্ত্রীর এ সফর ইতিবাচক। অস্ত্র চুক্তি যুগান্তকারী চুক্তি। তবে এর ক্রয়সহ সব রকমের বিষয় অত্যন্ত স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে।
মো. সুরুজ
চাকরিজীবী, ঢাকা
রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব অটুট থাকুক।
ওয়াহিদ মুরাদ
কবি, স্বরূপকাঠি, পিরোজপুর
রাশিয়া সফর প্রধানমন্ত্রীর জন্য নয় বরং বাঙালি জাতির জন্য এক গৌরবময় অধ্যায়। কারণ বঙ্গবন্ধুর পর শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বন্ধু রাশিয়ায় সফর করেন। এ সফর নানাদিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা, কৃষি, জ্বালানি ও সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে রাশিয়া আমাদের সাহায্য করছে ইতিমধ্যে। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-রাশিয়া পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ গঠনের কথা বলেছেন, যা গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যুৎ উৎপাদনে রাশিয়া একসময় বাংলাদেশকে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। প্রচুর শিক্ষার্থী বৃত্তি নিয়ে রাশিয়ায় পড়ার সুযোগ পেয়েছে। তবে ভালো লাগেনি গরিব দেশের প্রচুর অর্থ ব্যয় করে অস্ত্র কেনার বিষয়টি। আমাদের এতটা সচ্ছলতা আসেনি যে, কয়েক হাজার কোটি টাকার অস্ত্র কিনব আমরা। বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করলে ভালো হয়।
রমিতোষ সরকার
ব্যবসায়ী, রাজশাহী
সফরটি গুরুত্বপূর্ণ। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ সংকট কাটবে বলে মনে করি। আমাদের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য অস্ত্রের প্রয়োজন আছে।
আসাদুজ্জামান
চাকরিজীবী, ফরিদপুর
রাশিয়ার সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি করায় আমরা আনন্দিত। আমাদের বিদ্যুতের প্রয়োজন। সবসময় বিদ্যুৎ চাই।
অপূর্ব রায়
শিক্ষার্থী, বরিশাল
প্রতিটি রাষ্ট্রই নিজেদের স্বার্থ বড় করে দেখে। রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তির ক্ষেত্রেও তারা তাদের স্বার্থ দেখবে কিন্তু এরপরও বাংলাদেশের কীভাবে লাভবান হওয়া যায় সেটা দেখা উচিত।
কাজল আচার্য
আইনজীবীর সহকারী, নেত্রকোনা
এটি একটি ইতিবাচক সফর। বিশ্বের যে কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো রাখা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে বাণিজ্য সম্প্রসারণসহ নানা সুবিধা রয়েছে। রাশিয়া সফরের মধ্য দিয়ে সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগানো যায়।
মো. ফজলুল হক
রাজনীতিক , ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল
প্রধানমন্ত্রীর রাশিয়া সফর জাতির জন্য সাফল্য বয়ে আনবে। রাশিয়া আমাদের পরিচিত বন্ধু। সমরাস্ত্র ক্রয় ও বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তার ফল ভোগ করতে পারবে আমাদের জনগণ। ফলে দু'দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও উন্নত হবে। রাশিয়া বিশ্বের একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র। সুতরাং তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
সুবল কান্তি দে
শিক্ষার্থী, মহেশখালী, কক্সবাজার
প্রধানমন্ত্রীর রাশিয়া সফর সফল হয়েছে বলে আমি মনে করি।
আতিফ হাসান
শিক্ষার্থী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী
আমাদের প্রতিটি রাষ্ট্রের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখা গুরুত্বপূর্ণ। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়া আমাদের অনেক সহায়তা করেছে। প্রধানমন্ত্রী ৪-৫% সুদে অস্ত্র ক্রয় করার যে চুক্তি করেছেন তা আমাদের জন্য কতটা লাভজনক হবে তা প্রশ্নসাপেক্ষ।
মো. মামুন
শিক্ষক, ফেনী শিশুনিকেতন, ফেনী
সরকার চার বছর অতিক্রম করে পাঁচ বছরে পা দিয়েছে। এ চার বছরে সরকারের দুর্নীতি, নিয়োগ-বাণিজ্য, সর্বক্ষেত্রে দলীয়করণ, সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের দানবীয় এবং সর্বোপরি রাজনৈতিক অস্থিরতা সরকারকে এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। এ অবস্থায় দেশের প্রান্তিক তথা বৃহত্তর জনগোষ্ঠী যেখানে মৌলিক অধিকারবঞ্চিত হচ্ছে সে ক্ষেত্রে ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র কেনার চুক্তি কতটুকু যুক্তিযুক্ত সরকার কি তা ভেবে দেখেছে?
মো. এনায়েত হোসেন
ব্যবসায়ী, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ
এই সফরের মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে অর্থনীতির ক্ষেত্রে দু'দেশের বিশেষ তাৎপর্য বহন করবে। বিশেষ করে বর্তমান সরকারের আমলে রাশিয়ার সঙ্গে ব্যাপক বাণিজ্য সম্প্রসারণ ঘটবে।
শাহ আলম
রাজনীতিক, সিরাজগঞ্জ
রাশিয়া সফরের সময় যেসব চুক্তি হয়েছে তা বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক হবে।
নির্মলেন্দু দেব জাদু
ব্যবসায়ী, শ্রীমঙ্গল
রাশিয়া আমাদের দুর্দিনের বন্ধু। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়ার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর রাশিয়া সফরে দুটি দেশের মধ্যে যে চুক্তিগুলো হয়েছে, বিশেষ করে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, এটি আমাদের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন।
মতিউর রহমান
শিক্ষক, রাজশাহী
প্রধানমন্ত্রীর সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সফর ফলপ্রসূ হয়েছে।
আবদুর রহমান
ব্যবসায়ী, চট্টগ্রাম
প্রধানমন্ত্রীর রাশিয়া সফর দেশের জন্য ভালো হয়েছে।
মাহবুব উদ্দীন চৌধুরী
সাংবাদিক, ফরিদাবাদ, গেণ্ডারিয়া, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রীর এ মুহূর্তের রাশিয়া সফর তুলনামূলক দেশের জন্য তেমন কোনো প্রাপ্তি আছে বলে মনে হয় না। তবে রাশিয়ার পরিবর্তে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো সফর করে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর জন্য যদি কোনো বরাদ্দ আনতে পারতেন, তাহলে দেশের জন্য বিশাল উপকার হতো।
সাইফুর রহমান সাইফ
চাকরিজীবী, যশোর
প্রধানমন্ত্রী যে সফর করেছেন তাতে বাংলাদেশের অর্জন কিছু হয়নি। তিনি অস্ত্র কেনার চুক্তি করেছেন। এতগুলো টাকা দেওয়া হবে জনগণের টাকায়। জ্বালানি তেলের দাম পাঁচবার বাড়ানো হয়েছে। এটা এক ধরনের বিলাসিতা। সরকারকে এরকম চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত বলে আমি মনে করি।
রাজিয়া আক্তার
গৃহবধূ, নর্থ সার্কুলার রোড, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রীর রাশিয়া সফর সফল না ব্যর্থ সে বিতর্কে যেতে চাচ্ছি না। শুধু বলতে চাই, এত টাকার অস্ত্র কেনার বিষয়টি তিনি সংসদে আলোচনা করেননি। তাই এই অস্ত্র কেনার বিষয়টি নিয়ে বিরোধী দল যে অভিযোগ তুলেছে সেটাকে কি সত্য বলেই ধরে নেব?
মো. শরিফুল ইসলাম খান
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রধানমন্ত্রীর সফর সফল হয়েছে। দুটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি এ সফলতা এনে দিয়েছে।
মো. নুরুল ইসলাম নাহিদ
শিক্ষার্থী, সিরাজগঞ্জ
বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সফর। যেসব চুক্তি হয়েছে সেগুলো যেন এ সরকারের আমলেই বাস্তবায়ন হয়।]
]
আমানুল্লাহ
চাকরিজীবী (অব.) মির্জাপুর, টাঙ্গাইল
আমি প্রধানমন্ত্রীর রাশিয়া সফরকে ইতিবাচকভাবে দেখতে চাই। তবে অস্ত্র কেনার ব্যাপারে আমার আপত্তি রয়েছে।
নাজমুল মোর্শেদ শিমুল
শিক্ষার্থী, ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল
দু'দেশের জন্য এ সফর গুরুত্বপূর্ণ। সোভিয়েত ইউনিয়ন মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের সাহায্য করেছিল। তারা আমাদের পুরনো বন্ধু। সফরের সময় অস্ত্র ক্রয় নিয়ে বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই। দেশের জন্য অস্ত্রের প্রয়োজন রয়েছে। তবে বিদ্যুৎ ঘাটতি মেটাতে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন হলে আমরা খুশি হবো।
নাজিমুদ্দিন শোভা
শিক্ষক, টাঙ্গাইল
১৯৭১ সালে যখন আমেরিকা সপ্তম নৌবহর পাঠাতে শুরু করে, তখন রাশিয়া তার নৌবহর পাঠিয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তারা আমাদের বন্ধু। দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় অস্ত্রের প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীকে তাই রাশিয়া সফরের জন্য অভিনন্দন।
হাজি মো. আবদুল মালেক
ব্যবসায়ী, শ্রীনগর, মুন্সীগঞ্জ
রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কেনা যুক্তিসঙ্গত নয়।
খোকন আহমেদ
ব্যবসায়ী, বেলাব, নরসিংদী
রাশিয়ার সঙ্গে যেসব বিষয়ে চুক্তি হয়েছে তার বিস্তারিত যেন জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়।
আবু সাঈদ মণ্ডল
কৃষক, রাজনীতিক, সিরাজগঞ্জ
একটি সার্থক সফর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে এ সফরের জন্য ধন্যবাদ।
মো. সেলিম রেজা
শিক্ষার্থী, গোপালগঞ্জ
প্রধানমন্ত্রীর সফরের মাধ্যমে সামরিক বাহিনী শক্তিশালীকরণে যে অস্ত্র চুক্তি হয়েছে, দেশের স্বার্থে এর প্রয়োজন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।
ফারুক হোসেন
সাংবাদিক, বাগমারা, রাজশাহী
আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী দেশ রাশিয়া সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মূলত বঙ্গবন্ধুর সময় থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে যে চুক্তি ও সমঝোতাগুলো হয়েছে সবই দেশের কল্যাণে। আমাদের বহির্শত্রুর হাত থেকে দেশ রক্ষায় অস্ত্রের প্রয়োজন রয়েছে। এমনিতেই পাশের দেশ ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে এক প্রকার যুদ্ধ চলছে।
মো. ফখরুল ইসলাম টিপু
শিক্ষার্থী, সেনবাগ, নোয়াখালী
দীর্ঘদিন পর সরকারপ্রধানের রাশিয়া সফর উভয় দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতায় নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। ঋণ করে অস্ত্র ক্রয় না করে বেকারদের কর্মসংস্থান করলে জনগণ আরও সুফল ভোগ করত। আর নির্বাচনের আগে ঋণ করে অস্ত্র ক্রয়ে 'কমিশন' খাওয়ার সম্ভাবনাকে নাকচ করে দেওয়া যায় না।
মো. সুজন
শিক্ষার্থী, কুমিল্লা
প্রধানমন্ত্রী রাশিয়া সফর করেছেন, তার এ সফরে যেসব চুক্তি হয়েছে সেগুলো কি বাস্তবায়ন হবে?
বিপি সেন
চিকিৎসক, গোপালগঞ্জ
রাশিয়া আমাদের আগে থেকেই বন্ধু। তাদের সহযোগিতায় পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন খুবই ভালো বিষয়, সত্যিকার অর্থেই যদি এটি বাস্তবায়ন হয়! আসলে আমরা বিদ্যুৎ চাই। জনগণের বিদ্যুৎ চাহিদা রয়েছে।
সঞ্জিত বণিক
রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আমাদের দেশের সামরিক বাহিনীর জন্য অস্ত্রের প্রয়োজন আছে। অস্ত্র চুক্তি ঠিক আছে।
কুমারেশ চন্দ্র
বাস শ্রমিক, ঝিনাইদহ টার্মিনাল
এ সফরের মাধ্যমে যে সম্পর্কের উন্নয়ন হয়েছে তার প্রতিফলন দেখতে চাই। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারেন শেখ হাসিনাই।
মো. শহীদুল্লাহ
মুক্তিযোদ্ধা, পাবনা
এটি দৃষ্টান্তমূলক সফর। দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা বিদ্যুৎ। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হলে সেটা দেশের জন্য ভালো হবে। এটি একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তও বটে।
প্রফেসর শামীম
শিক্ষক, মেহেরপুর
প্রধানমন্ত্রীর এ সফর ইতিবাচক। অস্ত্র চুক্তি যুগান্তকারী চুক্তি। তবে এর ক্রয়সহ সব রকমের বিষয় অত্যন্ত স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে।
মো. সুরুজ
চাকরিজীবী, ঢাকা
রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব অটুট থাকুক।
ওয়াহিদ মুরাদ
কবি, স্বরূপকাঠি, পিরোজপুর
রাশিয়া সফর প্রধানমন্ত্রীর জন্য নয় বরং বাঙালি জাতির জন্য এক গৌরবময় অধ্যায়। কারণ বঙ্গবন্ধুর পর শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বন্ধু রাশিয়ায় সফর করেন। এ সফর নানাদিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা, কৃষি, জ্বালানি ও সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে রাশিয়া আমাদের সাহায্য করছে ইতিমধ্যে। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ-রাশিয়া পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ গঠনের কথা বলেছেন, যা গুরুত্বপূর্ণ। বিদ্যুৎ উৎপাদনে রাশিয়া একসময় বাংলাদেশকে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। প্রচুর শিক্ষার্থী বৃত্তি নিয়ে রাশিয়ায় পড়ার সুযোগ পেয়েছে। তবে ভালো লাগেনি গরিব দেশের প্রচুর অর্থ ব্যয় করে অস্ত্র কেনার বিষয়টি। আমাদের এতটা সচ্ছলতা আসেনি যে, কয়েক হাজার কোটি টাকার অস্ত্র কিনব আমরা। বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করলে ভালো হয়।
রমিতোষ সরকার
ব্যবসায়ী, রাজশাহী
সফরটি গুরুত্বপূর্ণ। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ সংকট কাটবে বলে মনে করি। আমাদের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য অস্ত্রের প্রয়োজন আছে।
আসাদুজ্জামান
চাকরিজীবী, ফরিদপুর
রাশিয়ার সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি করায় আমরা আনন্দিত। আমাদের বিদ্যুতের প্রয়োজন। সবসময় বিদ্যুৎ চাই।
অপূর্ব রায়
শিক্ষার্থী, বরিশাল
প্রতিটি রাষ্ট্রই নিজেদের স্বার্থ বড় করে দেখে। রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তির ক্ষেত্রেও তারা তাদের স্বার্থ দেখবে কিন্তু এরপরও বাংলাদেশের কীভাবে লাভবান হওয়া যায় সেটা দেখা উচিত।
কাজল আচার্য
আইনজীবীর সহকারী, নেত্রকোনা
এটি একটি ইতিবাচক সফর। বিশ্বের যে কোনো রাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো রাখা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে বাণিজ্য সম্প্রসারণসহ নানা সুবিধা রয়েছে। রাশিয়া সফরের মধ্য দিয়ে সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগানো যায়।
মো. ফজলুল হক
রাজনীতিক , ধনবাড়ী, টাঙ্গাইল
প্রধানমন্ত্রীর রাশিয়া সফর জাতির জন্য সাফল্য বয়ে আনবে। রাশিয়া আমাদের পরিচিত বন্ধু। সমরাস্ত্র ক্রয় ও বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তার ফল ভোগ করতে পারবে আমাদের জনগণ। ফলে দু'দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও উন্নত হবে। রাশিয়া বিশ্বের একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র। সুতরাং তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
সুবল কান্তি দে
শিক্ষার্থী, মহেশখালী, কক্সবাজার
প্রধানমন্ত্রীর রাশিয়া সফর সফল হয়েছে বলে আমি মনে করি।
আতিফ হাসান
শিক্ষার্থী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী
আমাদের প্রতিটি রাষ্ট্রের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখা গুরুত্বপূর্ণ। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়া আমাদের অনেক সহায়তা করেছে। প্রধানমন্ত্রী ৪-৫% সুদে অস্ত্র ক্রয় করার যে চুক্তি করেছেন তা আমাদের জন্য কতটা লাভজনক হবে তা প্রশ্নসাপেক্ষ।
মো. মামুন
শিক্ষক, ফেনী শিশুনিকেতন, ফেনী
সরকার চার বছর অতিক্রম করে পাঁচ বছরে পা দিয়েছে। এ চার বছরে সরকারের দুর্নীতি, নিয়োগ-বাণিজ্য, সর্বক্ষেত্রে দলীয়করণ, সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের দানবীয় এবং সর্বোপরি রাজনৈতিক অস্থিরতা সরকারকে এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। এ অবস্থায় দেশের প্রান্তিক তথা বৃহত্তর জনগোষ্ঠী যেখানে মৌলিক অধিকারবঞ্চিত হচ্ছে সে ক্ষেত্রে ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র কেনার চুক্তি কতটুকু যুক্তিযুক্ত সরকার কি তা ভেবে দেখেছে?
মো. এনায়েত হোসেন
ব্যবসায়ী, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ
এই সফরের মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে অর্থনীতির ক্ষেত্রে দু'দেশের বিশেষ তাৎপর্য বহন করবে। বিশেষ করে বর্তমান সরকারের আমলে রাশিয়ার সঙ্গে ব্যাপক বাণিজ্য সম্প্রসারণ ঘটবে।
শাহ আলম
রাজনীতিক, সিরাজগঞ্জ
রাশিয়া সফরের সময় যেসব চুক্তি হয়েছে তা বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক হবে।
নির্মলেন্দু দেব জাদু
ব্যবসায়ী, শ্রীমঙ্গল
রাশিয়া আমাদের দুর্দিনের বন্ধু। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়ার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর রাশিয়া সফরে দুটি দেশের মধ্যে যে চুক্তিগুলো হয়েছে, বিশেষ করে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, এটি আমাদের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন।
মতিউর রহমান
শিক্ষক, রাজশাহী
প্রধানমন্ত্রীর সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সফর ফলপ্রসূ হয়েছে।
আবদুর রহমান
ব্যবসায়ী, চট্টগ্রাম
প্রধানমন্ত্রীর রাশিয়া সফর দেশের জন্য ভালো হয়েছে।
মাহবুব উদ্দীন চৌধুরী
সাংবাদিক, ফরিদাবাদ, গেণ্ডারিয়া, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রীর এ মুহূর্তের রাশিয়া সফর তুলনামূলক দেশের জন্য তেমন কোনো প্রাপ্তি আছে বলে মনে হয় না। তবে রাশিয়ার পরিবর্তে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো সফর করে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর জন্য যদি কোনো বরাদ্দ আনতে পারতেন, তাহলে দেশের জন্য বিশাল উপকার হতো।
সাইফুর রহমান সাইফ
চাকরিজীবী, যশোর
প্রধানমন্ত্রী যে সফর করেছেন তাতে বাংলাদেশের অর্জন কিছু হয়নি। তিনি অস্ত্র কেনার চুক্তি করেছেন। এতগুলো টাকা দেওয়া হবে জনগণের টাকায়। জ্বালানি তেলের দাম পাঁচবার বাড়ানো হয়েছে। এটা এক ধরনের বিলাসিতা। সরকারকে এরকম চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত বলে আমি মনে করি।
রাজিয়া আক্তার
গৃহবধূ, নর্থ সার্কুলার রোড, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রীর রাশিয়া সফর সফল না ব্যর্থ সে বিতর্কে যেতে চাচ্ছি না। শুধু বলতে চাই, এত টাকার অস্ত্র কেনার বিষয়টি তিনি সংসদে আলোচনা করেননি। তাই এই অস্ত্র কেনার বিষয়টি নিয়ে বিরোধী দল যে অভিযোগ তুলেছে সেটাকে কি সত্য বলেই ধরে নেব?
মো. শরিফুল ইসলাম খান
শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রধানমন্ত্রীর সফর সফল হয়েছে। দুটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি এ সফলতা এনে দিয়েছে।
No comments