নিখোঁজ শ্রমিকদের খোঁজে তল্লাশি চলছে আলজেরিয়ায়-নিহত শ্রমিকের সংখ্যা বাড়তে পারে
সামরিক অভিযানে জঙ্গিদের নিশ্চিহ্ন করার পর নিখোঁজ শ্রমিকদের সন্ধান বের করতে হিমশিম খাচ্ছে আলজেরিয়া সরকার। গতকাল রবিবার পর্যন্ত ২৫ জিম্মির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে ৯ জাপানি ও তিন ব্রিটিশ নাগরিক আছেন।
তবে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছে আলজেরীয় কর্তৃপক্ষ। দুই দফা সেনা অভিযানে ৩২ জঙ্গির সবাই মারা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রাণহানি ও সহিংসতার জন্য জঙ্গিদের দায়ী করেছেন।
গত বুধবার বিকেলে একদল জঙ্গি আলজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ইন আমেনাস গ্যাস ক্ষেত্রে হামলা চালায়। মালিতে ফ্রান্সের সামরিক অভিযান বন্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের হাতে আটক কয়েকজন বন্দির মুক্তির দাবিতে বিপুলসংখ্যক শ্রমিককে জিম্মি করে তারা। গত বৃহস্পতিবার গ্যাস ক্ষেত্রে আলজেরীয় সেনারা অভিযান চালান ও প্রায় ৬৫০ শ্রমিককে মুক্ত করেন। ওই দিন সামরিক সূত্রে ১৮ জঙ্গি ও ১২ শ্রমিকের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়। ওই অভিযানের পরও জঙ্গিদের ছোট একটি দল বেঁচে যায় এবং একদল জিম্মিকে নিয়ে গ্যাস ক্ষেত্রের ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি স্থানে অবস্থান নেয়। এ অচলাবস্থা নিরসনে আলজেরীয় বিশেষ বাহিনী গত শনিবার অভিযান চালায় এবং সব জঙ্গিকে হত্যা করে। গ্যাস ক্ষেত্র থেকে সেনারা ছয়টি মেশিনগান, ২১টি রাইফেল, দুটি শটগান, দুটি সিঙ্টিএমএম গোলা, ছয়টি সিক্সটিএমএম রকেট এবং গ্রেনেড লাগানো ১০টি বেল্ট উদ্ধার করে।
আলজেরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৫ জিম্মি ও ৩২ জঙ্গির মৃত্যুর খবর জানায়। গত চার দিনে ৬৮৫ আলজেরীয় ও ১০৭ বিদেশি বন্দি মুক্ত হয়েছে বলেও জানানো হয়। তবে গতকাল পর্যন্ত কয়েকজন বিদেশি শ্রমিক নিখোঁজ ছিলেন। আলজেরিয়ার যোগাযোগমন্ত্রী মোহাম্মদ সাইদের আশঙ্কা, নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। তিনি জানান, জঙ্গিরা আরব, আফ্রিকা ও আফ্রিকার বাইরের ছয়টি দেশ থেকে আলজেরিয়ায় ঢুকেছিল। আদুল রহমান আল-নাইজেরি নামের এক নাইজেরীয় জঙ্গি গ্যাস ক্ষেত্রে হামলার অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছিল বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
ইন আমেনাসে প্রাণহানির ঘটনায় ওবামা জঙ্গিদের দায়ী করে বলেন, 'এ হামলা আমাদের আবারও আল-কায়েদা ও উত্তর আফ্রিকার চরমপন্থী দলগুলোর ঝুঁকি সম্পর্কে মনে করিয়ে দিয়েছে। এ অঞ্চলে সন্ত্রাস নির্মূলে অংশীদারদের নিয়ে কাজ চালিয়ে যাব আমরা।' গ্যাস ক্ষেত্রে সামরিক অভিযান নিয়ে সমালোচনার জবাবে আলজেরীয় সেনাদের দাবি, জঙ্গিরা আটক ব্যক্তিদের হত্যা করতে শুরু করার পরই তাঁরা অভিযান চালিয়েছেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলন্দ এ অভিযানকে 'উপযুক্ত পদক্ষেপ' বলে অভিহিত করেছেন। ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী লরাঁ ফ্যাবিয়াস বলেন, 'গ্যাস ক্ষেত্রে হামলাকারীরা যে লুটতরাজ ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সে সম্পর্কে সবার জানা উচিত। পরিস্থিতি অসহ্য হয়ে উঠেছিল। এটা করা যেত, ওটা করা যেত_এসব কথা বলা সহজ। আলজেরীয় কর্তৃপক্ষ সেনা অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং অনেক প্রাণহানিও ঘটেছে। সবার বোঝা উচিত তাদের আসলে সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করতে হয়েছে।' সূত্র : রয়টার্স, এএফপি।
গত বুধবার বিকেলে একদল জঙ্গি আলজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ইন আমেনাস গ্যাস ক্ষেত্রে হামলা চালায়। মালিতে ফ্রান্সের সামরিক অভিযান বন্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের হাতে আটক কয়েকজন বন্দির মুক্তির দাবিতে বিপুলসংখ্যক শ্রমিককে জিম্মি করে তারা। গত বৃহস্পতিবার গ্যাস ক্ষেত্রে আলজেরীয় সেনারা অভিযান চালান ও প্রায় ৬৫০ শ্রমিককে মুক্ত করেন। ওই দিন সামরিক সূত্রে ১৮ জঙ্গি ও ১২ শ্রমিকের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়। ওই অভিযানের পরও জঙ্গিদের ছোট একটি দল বেঁচে যায় এবং একদল জিম্মিকে নিয়ে গ্যাস ক্ষেত্রের ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি স্থানে অবস্থান নেয়। এ অচলাবস্থা নিরসনে আলজেরীয় বিশেষ বাহিনী গত শনিবার অভিযান চালায় এবং সব জঙ্গিকে হত্যা করে। গ্যাস ক্ষেত্র থেকে সেনারা ছয়টি মেশিনগান, ২১টি রাইফেল, দুটি শটগান, দুটি সিঙ্টিএমএম গোলা, ছয়টি সিক্সটিএমএম রকেট এবং গ্রেনেড লাগানো ১০টি বেল্ট উদ্ধার করে।
আলজেরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৫ জিম্মি ও ৩২ জঙ্গির মৃত্যুর খবর জানায়। গত চার দিনে ৬৮৫ আলজেরীয় ও ১০৭ বিদেশি বন্দি মুক্ত হয়েছে বলেও জানানো হয়। তবে গতকাল পর্যন্ত কয়েকজন বিদেশি শ্রমিক নিখোঁজ ছিলেন। আলজেরিয়ার যোগাযোগমন্ত্রী মোহাম্মদ সাইদের আশঙ্কা, নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। তিনি জানান, জঙ্গিরা আরব, আফ্রিকা ও আফ্রিকার বাইরের ছয়টি দেশ থেকে আলজেরিয়ায় ঢুকেছিল। আদুল রহমান আল-নাইজেরি নামের এক নাইজেরীয় জঙ্গি গ্যাস ক্ষেত্রে হামলার অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছিল বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
ইন আমেনাসে প্রাণহানির ঘটনায় ওবামা জঙ্গিদের দায়ী করে বলেন, 'এ হামলা আমাদের আবারও আল-কায়েদা ও উত্তর আফ্রিকার চরমপন্থী দলগুলোর ঝুঁকি সম্পর্কে মনে করিয়ে দিয়েছে। এ অঞ্চলে সন্ত্রাস নির্মূলে অংশীদারদের নিয়ে কাজ চালিয়ে যাব আমরা।' গ্যাস ক্ষেত্রে সামরিক অভিযান নিয়ে সমালোচনার জবাবে আলজেরীয় সেনাদের দাবি, জঙ্গিরা আটক ব্যক্তিদের হত্যা করতে শুরু করার পরই তাঁরা অভিযান চালিয়েছেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলন্দ এ অভিযানকে 'উপযুক্ত পদক্ষেপ' বলে অভিহিত করেছেন। ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী লরাঁ ফ্যাবিয়াস বলেন, 'গ্যাস ক্ষেত্রে হামলাকারীরা যে লুটতরাজ ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সে সম্পর্কে সবার জানা উচিত। পরিস্থিতি অসহ্য হয়ে উঠেছিল। এটা করা যেত, ওটা করা যেত_এসব কথা বলা সহজ। আলজেরীয় কর্তৃপক্ষ সেনা অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং অনেক প্রাণহানিও ঘটেছে। সবার বোঝা উচিত তাদের আসলে সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করতে হয়েছে।' সূত্র : রয়টার্স, এএফপি।
No comments