ওয়াসার দুই ঠিকাদারকে অপহরণের অভিযোগ- দরপত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গভীর রাতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে গুলি
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের দরপত্র নিয়ে বিরোধের জের ধরে রাজধানীর শাহবাগে টেনিস কমপ্লেক্স চত্বরের একটি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে গুলি ও ভাঙচুর করেছে সন্ত্রাসীরা। গত শনিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
দরপত্র নিয়ে অপর এক ঘটনায় গতকাল রোববার দুপুরে ঢাকা ওয়াসার সামনে থেকে দুই ঠিকাদারকে অস্ত্রের মুখে সন্ত্রাসীরা তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
টেনিস কমপ্লেক্সের পশ্চিম গ্যালারির নিচতলার ওই কক্ষটি বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ঠিকাদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক ওরফে জুয়েলের ব্যক্তিগত কার্যালয়।
গতকাল বিকেল চারটার দিকে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কক্ষের ভেতরে পড়ে রয়েছে ব্যবহূত ছয়টি গুলি। কাচগুলোতে গুলির ফুটো। টেনিস কমপ্লেক্সের মূল ভবনের নিচতলা ও দোতলার দরজার কাচও ভাঙা। পুলিশের অপেক্ষায় ভাঙচুর করা কাচ পরিষ্কার করা হয়নি। কিন্তু গতকাল বিকেল পর্যন্ত সেখানে পুলিশ যায়নি।
টেনিস কমপ্লেক্সের নিরাপত্তারক্ষী নুরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, শনিবার রাত আড়াইটার দিকে একাধিক কার ও মাইক্রোবাসে করে দুর্বৃত্তরা এসে এ ঘটনা ঘটায়।
জিয়াউল হকের কার্যালয়ের কর্মী আবদুল ওয়াদুদ বলেন, তিনি কার্যালয়ের ভেতরেই ঘুমিয়ে ছিলেন। বাইরে থেকে কলাপসিবল ফটক ও কাঠের দরজা লাগানো ছিল। হঠাৎ কিছু লোকজন এসে জানালার কাচ ভাঙচুর করে গুলি শুরু করে। ভয়ে খাটের তলে ঢুকে পড়েন ওয়াদুদ। দুর্বৃত্তরা কাঠের দরজাটি ভাঙতে পারলেও কলাপসিবল ফটক ভাঙতে পারেনি। প্রায় এক ঘণ্টা দুর্বৃত্তরা সেখানে অবস্থান করে।
নিরাপত্তারক্ষী নুরুজ্জামান বলেন, তিনি ছাদ থেকে দেখেছেন, চলে যাওয়ার সময় ফটকে দুর্বৃত্তদের গাড়ি র্যাবের একটি গাড়ির মুখোমুখি হয়। তবে র্যাব দুর্বৃত্তদের কোনো বাধা দেয়নি। দুর্বৃত্তদের গাড়িগুলো চলে যাওয়ার পর র্যাবের গাড়িটিও স্থান ত্যাগ করে।
ওই কার্যালয়ের মালিক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা জিয়াউল হক অভিযোগ করেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঠিকাদারি দ্বন্দ্ব নিয়ে মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুল আলম ওরফে আরিফ এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে প্রায় ৮০ কোটি টাকার নির্মাণকাজ কুক্ষিগত করতে কয়েক দিন আগে থেকেই ওয়াহিদুল আলম ঠিকাদারদের চাপ দিয়ে আসছিলেন।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, ছোট-বড় মিলিয়ে ১০টি ভবন নির্মাণের কাজের দরপত্র জমা নেওয়া চলছে। আজ সোমবার দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে যুবলীগের নেতা ওয়াহিদুল বলেন, তিনি ঠিকাদারির সঙ্গেই জড়িত নন। জিয়াউল হক তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, শনিবার রাতে তিনি একটি গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে ছিলেন।
ঘটনাস্থলের উল্টো দিকে পুলিশ নিয়ন্ত্রণকক্ষ। আর, কয়েক শ গজের মধ্যে শাহবাগ থানা। কিন্তু শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, শনিবার রাতে গোলাগুলির কোনো ঘটনা তিনি জানেন না। তিনি জানান, টেনিস কমপ্লেক্সটি রমনা থানা এলাকায় পড়েছে।
রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মশিউর রহমান গতকাল বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘লোক পাঠিয়েছি, ওরা দেখছে। তবে আমি শুনেছি সেখানে শুধু ভাঙচুর হয়েছে।’
এদিকে ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে গতকাল দুপুরে ঢাকা ওয়াসার সামনে থেকে দুই ঠিকাদারকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় একদল মোটরসাইকেল আরোহী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গতকাল দুপুর দুইটার দিকে চার-পাঁচটি মোটরসাইকেলে আসা একদল দুর্বৃত্ত মিন্টু ও মহিউদ্দীন নামের দুই ঠিকাদারকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়।
রাতে এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে টেলিফোনে ঠিকাদার মিন্টু এ প্রতিবেদককে বলেন, তিনি অপহূত হননি। যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম দরপত্রসংক্রান্ত কথা বলার জন্য তাঁকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার রংধনু কমিউনিটি সেন্টারে নিয়ে যান।
তবে মিন্টুর কয়েকজন সহকর্মী জানিয়েছেন, অপহরণের দুই ঘণ্টা পর র্যাব-২-এর একটি দল দুজনকে উদ্ধার করে।
জানতে চাইলে র্যাব-২-এর সহকারী পুলিশ সুপার রায়হানউদ্দীন খান বলেন, একটা উড়ো ফোনে খবর পেয়ে র্যাবের একটি দল রংধনু কমিউনিটি সেন্টারে গিয়েছিল। তবে সেখানে অপহরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
টেনিস কমপ্লেক্সের পশ্চিম গ্যালারির নিচতলার ওই কক্ষটি বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ঠিকাদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক ওরফে জুয়েলের ব্যক্তিগত কার্যালয়।
গতকাল বিকেল চারটার দিকে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কক্ষের ভেতরে পড়ে রয়েছে ব্যবহূত ছয়টি গুলি। কাচগুলোতে গুলির ফুটো। টেনিস কমপ্লেক্সের মূল ভবনের নিচতলা ও দোতলার দরজার কাচও ভাঙা। পুলিশের অপেক্ষায় ভাঙচুর করা কাচ পরিষ্কার করা হয়নি। কিন্তু গতকাল বিকেল পর্যন্ত সেখানে পুলিশ যায়নি।
টেনিস কমপ্লেক্সের নিরাপত্তারক্ষী নুরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, শনিবার রাত আড়াইটার দিকে একাধিক কার ও মাইক্রোবাসে করে দুর্বৃত্তরা এসে এ ঘটনা ঘটায়।
জিয়াউল হকের কার্যালয়ের কর্মী আবদুল ওয়াদুদ বলেন, তিনি কার্যালয়ের ভেতরেই ঘুমিয়ে ছিলেন। বাইরে থেকে কলাপসিবল ফটক ও কাঠের দরজা লাগানো ছিল। হঠাৎ কিছু লোকজন এসে জানালার কাচ ভাঙচুর করে গুলি শুরু করে। ভয়ে খাটের তলে ঢুকে পড়েন ওয়াদুদ। দুর্বৃত্তরা কাঠের দরজাটি ভাঙতে পারলেও কলাপসিবল ফটক ভাঙতে পারেনি। প্রায় এক ঘণ্টা দুর্বৃত্তরা সেখানে অবস্থান করে।
নিরাপত্তারক্ষী নুরুজ্জামান বলেন, তিনি ছাদ থেকে দেখেছেন, চলে যাওয়ার সময় ফটকে দুর্বৃত্তদের গাড়ি র্যাবের একটি গাড়ির মুখোমুখি হয়। তবে র্যাব দুর্বৃত্তদের কোনো বাধা দেয়নি। দুর্বৃত্তদের গাড়িগুলো চলে যাওয়ার পর র্যাবের গাড়িটিও স্থান ত্যাগ করে।
ওই কার্যালয়ের মালিক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা জিয়াউল হক অভিযোগ করেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঠিকাদারি দ্বন্দ্ব নিয়ে মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুল আলম ওরফে আরিফ এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে প্রায় ৮০ কোটি টাকার নির্মাণকাজ কুক্ষিগত করতে কয়েক দিন আগে থেকেই ওয়াহিদুল আলম ঠিকাদারদের চাপ দিয়ে আসছিলেন।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, ছোট-বড় মিলিয়ে ১০টি ভবন নির্মাণের কাজের দরপত্র জমা নেওয়া চলছে। আজ সোমবার দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে যুবলীগের নেতা ওয়াহিদুল বলেন, তিনি ঠিকাদারির সঙ্গেই জড়িত নন। জিয়াউল হক তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, শনিবার রাতে তিনি একটি গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে ছিলেন।
ঘটনাস্থলের উল্টো দিকে পুলিশ নিয়ন্ত্রণকক্ষ। আর, কয়েক শ গজের মধ্যে শাহবাগ থানা। কিন্তু শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, শনিবার রাতে গোলাগুলির কোনো ঘটনা তিনি জানেন না। তিনি জানান, টেনিস কমপ্লেক্সটি রমনা থানা এলাকায় পড়েছে।
রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মশিউর রহমান গতকাল বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘লোক পাঠিয়েছি, ওরা দেখছে। তবে আমি শুনেছি সেখানে শুধু ভাঙচুর হয়েছে।’
এদিকে ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে গতকাল দুপুরে ঢাকা ওয়াসার সামনে থেকে দুই ঠিকাদারকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় একদল মোটরসাইকেল আরোহী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গতকাল দুপুর দুইটার দিকে চার-পাঁচটি মোটরসাইকেলে আসা একদল দুর্বৃত্ত মিন্টু ও মহিউদ্দীন নামের দুই ঠিকাদারকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়।
রাতে এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে টেলিফোনে ঠিকাদার মিন্টু এ প্রতিবেদককে বলেন, তিনি অপহূত হননি। যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম দরপত্রসংক্রান্ত কথা বলার জন্য তাঁকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার রংধনু কমিউনিটি সেন্টারে নিয়ে যান।
তবে মিন্টুর কয়েকজন সহকর্মী জানিয়েছেন, অপহরণের দুই ঘণ্টা পর র্যাব-২-এর একটি দল দুজনকে উদ্ধার করে।
জানতে চাইলে র্যাব-২-এর সহকারী পুলিশ সুপার রায়হানউদ্দীন খান বলেন, একটা উড়ো ফোনে খবর পেয়ে র্যাবের একটি দল রংধনু কমিউনিটি সেন্টারে গিয়েছিল। তবে সেখানে অপহরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
No comments