দ্বিতীয় মেয়াদে আজ শপথ নেবেন ওবামা
দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আজ সোমবার শপথ নেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ২০ জানুয়ারি দুপুরের মধ্যে শপথ নেওয়ার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
তাই গতকাল রবিবার নিয়মরক্ষার একটি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় হোয়াইট হাউসের ব্লু রুমে। সেখানেই বাইবেলে হাত রেখে শপথ নেন ওবামা। কিন্তু ছুটির দিন পড়ায় গতকাল আনুষ্ঠানিক শপথ অনুষ্ঠান হয়নি। প্রেসিডেন্টের শপথের পরিপূর্ণ অনুষ্ঠান হবে আজ। শপথ নেওয়ার পর ওবামা আনুষ্ঠানিক ভাষণ দেবেন।
গত তিন বছরের তুলনায় অনেক বেশি জনপ্রিয়তা নিয়ে গতকাল থেকে নিজের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু করলেন ওবামা। নিউ ইয়র্ক টাইমস/সিবিএস নিউজের জরিপে দেখা যায়, বর্তমানে ৫২ শতাংশ লোক ওবামার কাজ পছন্দ করেন। গতকালের অনুষ্ঠানে তিনি ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার দাদীর বাইবেলে হাত রেখে শপথ নেন। এ সময় মিশেলও তাঁর পাশে ছিলেন। একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র নেভাল অবজারভেটরিতে দ্বিতীয় মেয়াদের শপথ নেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
গত শনিবার ওয়াশিংটনের একটি স্কুলে স্বেচ্ছাশ্রম দেওয়ার মধ্য নিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদের দায়িত্ব গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন ওবামা ও মিশেল। স্কুলের একটি বইয়ের তাক রং করেন তাঁরা। প্রথম দফার শপথগ্রহণের আগের দিনও একইভাবে কাটিয়েছিলেন তিনি।
শপথ গ্রহণের জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান হবে আজ। এর প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে পুরোদমে। কয়েক হাজার কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী কয়েক দিন থেকেই রাত-দিন খেটে যাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে আজকের অনুষ্ঠান দেখতে অন্তত আট লাখ লোক ওয়াশিংটন মল এলাকায় ভিড় জমাবেন। এরপর উদ্বোধনী ভাষণ দেবেন ওবামা। এতে তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দর্শন ও মূল্যবোধের উল্লেখ থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ চ্যানেল সিএনএন একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, ভাষণে তিনি ওয়াশিংটনে যে বিভক্তি রয়েছে সে কথাও অকপটে স্বীকার করবেন। তবে এটি তাঁর নীতিনির্ধারণী ভাষণ হবে না। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি স্টেট অব ইউনিয়নের ভাষণে তাঁর গৃহীত নীতিগুলো নিয়ে কথা বলবেন তিনি।
ওবামার দ্বিতীয় মেয়াদ অবশ্য গত শনিবার স্কুলে বুকশেলফ রং করার মতো সহজ হবে না। অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কঠোর আইন প্রণয়নে উদ্যোগী হয়েছেন তিনি। বিরোধী রিপাবলিকানদের বাধায় সে পথ খুব একটা মসৃণ নয়। তিনি অভিবাসন নিয়ে কাজ করতে চান এবং কাঁধে ঋণের বোঝাও রয়েছে। মুখে অর্থনৈতিক উন্নয়নের খই ফুটিয়েই দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন ওবামা। কাজ রয়েছে সেই ক্ষেত্রটিতেও। এর সঙ্গে তালেবান-আল-কায়েদাকে মোকাবিলা অর্থাৎ জঙ্গি দমন, অর্থনৈতিকভাবে চীনের ফুলেফেঁপে ওঠা, সিরিয়া প্রসঙ্গে রাশিয়া-চীনের বিরুদ্ধ মনোভাবের মতো সংকটগুলো তো আছেই। সূত্র : বিবিসি।
গত তিন বছরের তুলনায় অনেক বেশি জনপ্রিয়তা নিয়ে গতকাল থেকে নিজের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু করলেন ওবামা। নিউ ইয়র্ক টাইমস/সিবিএস নিউজের জরিপে দেখা যায়, বর্তমানে ৫২ শতাংশ লোক ওবামার কাজ পছন্দ করেন। গতকালের অনুষ্ঠানে তিনি ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামার দাদীর বাইবেলে হাত রেখে শপথ নেন। এ সময় মিশেলও তাঁর পাশে ছিলেন। একই দিন যুক্তরাষ্ট্রের নৌ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র নেভাল অবজারভেটরিতে দ্বিতীয় মেয়াদের শপথ নেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
গত শনিবার ওয়াশিংটনের একটি স্কুলে স্বেচ্ছাশ্রম দেওয়ার মধ্য নিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদের দায়িত্ব গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন ওবামা ও মিশেল। স্কুলের একটি বইয়ের তাক রং করেন তাঁরা। প্রথম দফার শপথগ্রহণের আগের দিনও একইভাবে কাটিয়েছিলেন তিনি।
শপথ গ্রহণের জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠান হবে আজ। এর প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে পুরোদমে। কয়েক হাজার কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী কয়েক দিন থেকেই রাত-দিন খেটে যাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে আজকের অনুষ্ঠান দেখতে অন্তত আট লাখ লোক ওয়াশিংটন মল এলাকায় ভিড় জমাবেন। এরপর উদ্বোধনী ভাষণ দেবেন ওবামা। এতে তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার দর্শন ও মূল্যবোধের উল্লেখ থাকবে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ চ্যানেল সিএনএন একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, ভাষণে তিনি ওয়াশিংটনে যে বিভক্তি রয়েছে সে কথাও অকপটে স্বীকার করবেন। তবে এটি তাঁর নীতিনির্ধারণী ভাষণ হবে না। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি স্টেট অব ইউনিয়নের ভাষণে তাঁর গৃহীত নীতিগুলো নিয়ে কথা বলবেন তিনি।
ওবামার দ্বিতীয় মেয়াদ অবশ্য গত শনিবার স্কুলে বুকশেলফ রং করার মতো সহজ হবে না। অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কঠোর আইন প্রণয়নে উদ্যোগী হয়েছেন তিনি। বিরোধী রিপাবলিকানদের বাধায় সে পথ খুব একটা মসৃণ নয়। তিনি অভিবাসন নিয়ে কাজ করতে চান এবং কাঁধে ঋণের বোঝাও রয়েছে। মুখে অর্থনৈতিক উন্নয়নের খই ফুটিয়েই দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন ওবামা। কাজ রয়েছে সেই ক্ষেত্রটিতেও। এর সঙ্গে তালেবান-আল-কায়েদাকে মোকাবিলা অর্থাৎ জঙ্গি দমন, অর্থনৈতিকভাবে চীনের ফুলেফেঁপে ওঠা, সিরিয়া প্রসঙ্গে রাশিয়া-চীনের বিরুদ্ধ মনোভাবের মতো সংকটগুলো তো আছেই। সূত্র : বিবিসি।
No comments