মন্ত্রণালয়ে বৈঠক আজ- পেট্রলপাম্পে কর্মবিরতিতে জনদুর্ভোগ
জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন বৃদ্ধিসহ নয় দফা দাবিতে সারা দেশে গতকাল রোববার থেকে বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে। এই ধর্মঘটের কারণে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পরিবহনমালিকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ ঘটনায় জ্বালানি মন্ত্রণালয় আজ সোমবার দুপুরের পর বৈঠক ডেকেছে। বাংলাদেশ পেট্রোলপাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতাদের বৈঠকে অংশ নেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পরিষদের আহ্বায়ক নাজমুল হক প্রথম আলোকে বলেন, বৈঠকে সুরাহা হলে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হবে। অন্যথায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মসূচি চলবে।
পরিষদের দাবির মধ্যে রয়েছে: ডিজেল বিক্রিতে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ, পেট্রল ও অকটেন বিক্রিতে ৪ শতাংশ কমিশন নির্ধারণ, ট্যাংকলরির ভাড়া বৃদ্ধি, জ্বালানি তেলের ভেজাল রোধে বাস্তবভিত্তিক ব্যবস্থা গ্রহণ, ট্যাংকলরির চালকদের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা ও আনুষঙ্গিক কাগজ নিয়ে বিশেষ বিবেচনায় লাইসেন্স প্রদান ইত্যাদি। বর্তমানে ডিজেল বিক্রিতে ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ, পেট্রল বিক্রিতে ৩ দশমিক ২৭ শতাংশ এবং অকটেন বিক্রিতে ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ কমিশন দেওয়া হয়।
ঐক্য পরিষদের নেতারা জানান, সারা দেশে প্রতিদিন নয় থেকে ১২ হাজার লিটার জ্বালানি তেল বিক্রি হয়ে থাকে। সারা দেশেই গতকাল ধর্মঘট পালিত হয়েছে।
গতকাল ঢাকায় প্রায় সব পেট্রলপাম্প বন্ধ ছিল। তবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন শাহবাগের মেঘনা ও এলেনবাড়ির ট্রাস্ট পাম্পসহ চারটি পাম্পে তেল বিক্রি হয়েছে।
বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ঐক্য পরিষদের এই কর্মসূচির প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
চট্টগ্রাম: সকাল ছয়টা থেকেই নগরের পেট্রলপাম্পগুলোতে বন্ধ ছিল সব ধরনের জ্বালানি তেল বিক্রি। এ কারণে যানবাহনের সংখ্যাও ছিল কম। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। তবে ধর্মঘটের আওতামুক্ত আছে সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনগুলো।
নগরের মোগলটুলী এলাকার বাসিন্দা মোটরসাইকেলচালক মোহাম্মদ রিয়াদ বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যা সাতটার পর দুটি পাম্পে গিয়ে তেল পাইনি। আজ (রোববার) সকাল থেকে পাম্প বন্ধ। গাড়িতে অল্প তেল আছে। তবে ধর্মঘট কত দিন চলে, এই আশঙ্কায় গাড়ি বের করিনি।’ ঐক্য পরিষদের চট্টগ্রামের আহ্বায়ক আহাম্মদ নবী চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইতিপূর্বে পাঁচবার জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে, কিন্তু আমাদের কমিশন বাড়েনি। একাধিকবার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই আমরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি।’
বগুড়া: সকাল ছয়টা থেকে বগুড়াসহ সমগ্র উত্তরাঞ্চলের পেট্রলপাম্পগুলোতে কর্মবিরতি চলছে। বগুড়ার প্রথম বাইপাসে মহাসড়কে দেখা যায়, পেট্রলপাম্পগুলোতে দড়ি দিয়ে ঘিরে রেখে তাতে কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। কেউ কোনো তেল বিক্রি করছে না। এতে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পরিবহনমালিকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন রাজশাহী বিভাগীয় শাখার সভাপতি এম এ মোমিন জানান, উত্তরবঙ্গজুড়ে চার শতাধিক পেট্রলপাম্পে এই ধর্মঘট চলছে।
সিরাজগঞ্জ: জেলার ১৮টি পাম্প ও বিপিসির বাঘাবাড়ী জ্বালানি তেল ডিপোতে সকাল থেকে ধর্মঘট চলছে। কোনো যানবাহনকে পাম্প থেকে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়নি। পরিবহনমালিকেরাও গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখেন।
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ): ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ডিপো থেকে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ রয়েছে। ভৈরব থেকে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছয় জেলাসহ, গাজীপুর ও নরসিংদী জেলায় তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। সকালে ট্যাংকলরির মালিক-শ্রমিকেরা ডিপো এলাকায় মিছিল করে দাবির পক্ষে স্লোগান দেন।
ভৈরব ট্যাংকলরি মালিক সমিতির সভাপতি মো. জিল্লুর রহমান জানান, বর্তমান কমিশন দিয়ে এই ব্যবসায় টিকে থাকা সম্ভব নয়।
পরিষদের দাবির মধ্যে রয়েছে: ডিজেল বিক্রিতে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ, পেট্রল ও অকটেন বিক্রিতে ৪ শতাংশ কমিশন নির্ধারণ, ট্যাংকলরির ভাড়া বৃদ্ধি, জ্বালানি তেলের ভেজাল রোধে বাস্তবভিত্তিক ব্যবস্থা গ্রহণ, ট্যাংকলরির চালকদের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা ও আনুষঙ্গিক কাগজ নিয়ে বিশেষ বিবেচনায় লাইসেন্স প্রদান ইত্যাদি। বর্তমানে ডিজেল বিক্রিতে ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ, পেট্রল বিক্রিতে ৩ দশমিক ২৭ শতাংশ এবং অকটেন বিক্রিতে ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ কমিশন দেওয়া হয়।
ঐক্য পরিষদের নেতারা জানান, সারা দেশে প্রতিদিন নয় থেকে ১২ হাজার লিটার জ্বালানি তেল বিক্রি হয়ে থাকে। সারা দেশেই গতকাল ধর্মঘট পালিত হয়েছে।
গতকাল ঢাকায় প্রায় সব পেট্রলপাম্প বন্ধ ছিল। তবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন শাহবাগের মেঘনা ও এলেনবাড়ির ট্রাস্ট পাম্পসহ চারটি পাম্পে তেল বিক্রি হয়েছে।
বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ঐক্য পরিষদের এই কর্মসূচির প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক, আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
চট্টগ্রাম: সকাল ছয়টা থেকেই নগরের পেট্রলপাম্পগুলোতে বন্ধ ছিল সব ধরনের জ্বালানি তেল বিক্রি। এ কারণে যানবাহনের সংখ্যাও ছিল কম। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ। তবে ধর্মঘটের আওতামুক্ত আছে সিএনজি রি-ফুয়েলিং স্টেশনগুলো।
নগরের মোগলটুলী এলাকার বাসিন্দা মোটরসাইকেলচালক মোহাম্মদ রিয়াদ বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যা সাতটার পর দুটি পাম্পে গিয়ে তেল পাইনি। আজ (রোববার) সকাল থেকে পাম্প বন্ধ। গাড়িতে অল্প তেল আছে। তবে ধর্মঘট কত দিন চলে, এই আশঙ্কায় গাড়ি বের করিনি।’ ঐক্য পরিষদের চট্টগ্রামের আহ্বায়ক আহাম্মদ নবী চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইতিপূর্বে পাঁচবার জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে, কিন্তু আমাদের কমিশন বাড়েনি। একাধিকবার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই আমরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি।’
বগুড়া: সকাল ছয়টা থেকে বগুড়াসহ সমগ্র উত্তরাঞ্চলের পেট্রলপাম্পগুলোতে কর্মবিরতি চলছে। বগুড়ার প্রথম বাইপাসে মহাসড়কে দেখা যায়, পেট্রলপাম্পগুলোতে দড়ি দিয়ে ঘিরে রেখে তাতে কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। কেউ কোনো তেল বিক্রি করছে না। এতে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পরিবহনমালিকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বাংলাদেশ পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন রাজশাহী বিভাগীয় শাখার সভাপতি এম এ মোমিন জানান, উত্তরবঙ্গজুড়ে চার শতাধিক পেট্রলপাম্পে এই ধর্মঘট চলছে।
সিরাজগঞ্জ: জেলার ১৮টি পাম্প ও বিপিসির বাঘাবাড়ী জ্বালানি তেল ডিপোতে সকাল থেকে ধর্মঘট চলছে। কোনো যানবাহনকে পাম্প থেকে জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়নি। পরিবহনমালিকেরাও গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখেন।
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ): ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ডিপো থেকে জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ রয়েছে। ভৈরব থেকে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছয় জেলাসহ, গাজীপুর ও নরসিংদী জেলায় তেল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। সকালে ট্যাংকলরির মালিক-শ্রমিকেরা ডিপো এলাকায় মিছিল করে দাবির পক্ষে স্লোগান দেন।
ভৈরব ট্যাংকলরি মালিক সমিতির সভাপতি মো. জিল্লুর রহমান জানান, বর্তমান কমিশন দিয়ে এই ব্যবসায় টিকে থাকা সম্ভব নয়।
No comments