দিনাজপুরে ছয় ব্যক্তির চার একর জমি বেদখল
দিনাজপুর পৌরসভার শেখপুরা মৌজায় ছয় ব্যক্তির প্রায় চার একর জমি বেদখল হয়ে গেছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেছেন। দখলদারেরা নিজেদের আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থক বলে দাবি করছেন।
জানা গেছে, আবদুস সালাম ড্রাইভার ও মো. শাহীন ৪ জানুয়ারি রাতে দুই শতাধিক লাঠিয়াল নিয়ে ফরহাদ আহমেদ, আশরাফুজ্জামান, সেকান্দার আলীসহ ছয়জনের ৩ দশমিক ৯৩ একর জমি দখল করেন। আবদুস সালাম ও মো. শাহীন জানান, তাঁরা আওয়ামী লীগের সমর্থক। ভূমি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। তিনি তাঁদের খাসজমি পাওয়া গেলে তা দখল করে ভূমিহীনদের মধ্যে বিতরণের উদ্যোগ নিতে বলেছেন। শেখপুরা মৌজার ৬৬৮ দাগের প্রায় ১৫ একর জমিই খাস। ভূমিহীনদের মধ্যে বিতরণের জন্য তাঁরা ওই জমির মধ্যে চার একর দখল করেছেন। পর্যায়ক্রমে বাকি ১১ একর জমিও দখল করা হবে।
তবে ভূমি প্রতিমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘শেখপুরা মৌজার সরকারি কোনো জমি কাউকে বন্দোবস্ত দিইনি এবং কাউকে এভাবে দখল করতেও বলিনি।’
সংশ্লিষ্ট জমির বৈধ মালিক বলে দাবিদার মুক্তিযোদ্ধা ফরহাদ আহমেদ ও মো. আশরাফুজ্জামান জানান, জমি দখলের প্রস্তুতির কথা আগাম জানতে পেরে তাঁরা ৩ জানুয়ারি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এর পরও ৪ জানুয়ারি রাতে ওই ব্যক্তিরা জমি দখল করেন। ফরহাদ আহমেদ বলেন, ‘জমি দখলের পর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের জিলানী ৫ ও ১২ জানুয়ারি উভয় পক্ষকে নিয়ে থানায় দুই দফা বৈঠক করেন। পুলিশ অবৈধ দখল ছেড়ে দিতে বললেও তাঁরা জমি ছাড়েননি।’
ওসি আবদুল কাদের জিলানী জানান, সালাম ড্রাইভার ও শাহীনের পক্ষ কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি। পক্ষান্তরে ফরহাদ আহমেদ ও আশরাফুজ্জামানসহ ৪৪ জন মালিকানার পক্ষে দলিল দেখিয়েছেন। তবে ১৯৯৪ সালের পর থেকে তাঁদের কাছ থেকে খাজনা গ্রহণ করা হয়নি।
জানা গেছে, শেখপুরা মৌজায় ৬৬৮ দাগে মোট জমির পরিমাণ ১৪ একর ৯৪ শতক। পুরো জমি ৪৪ ব্যক্তি বিভিন্ন সময়ে ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছেন। অনেকে বাড়ি করে বসবাস করছেন। কিন্তু ১৯৯৪ সালে ভূমি জরিপকালে জরিপকারীরা কোনো কারণ এবং নোটিশ ছাড়াই ওই দাগের পুরো জমি সরকারি ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত করেন। পরে সরকারি খাস থেকে মুক্ত করতে ৪৪ জন জমির মালিকই জেলা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একযোগে মামলা করেছেন। এ ছাড়া তাঁরা পৃথকভাবেও মামলা করেন। এর মধ্যে সিরাজুল ইসলাম নামের একজন মালিক জানান, তিনি দুটি মামলা করেন। আদালত তাঁর পক্ষে রায় দিয়েছেন।
দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রিয় সিন্ধু তালুকদার বলেন, আবদুস সালাম ও মো. শাহীন গংদের ওই জমির দখল ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে ভূমি প্রতিমন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘শেখপুরা মৌজার সরকারি কোনো জমি কাউকে বন্দোবস্ত দিইনি এবং কাউকে এভাবে দখল করতেও বলিনি।’
সংশ্লিষ্ট জমির বৈধ মালিক বলে দাবিদার মুক্তিযোদ্ধা ফরহাদ আহমেদ ও মো. আশরাফুজ্জামান জানান, জমি দখলের প্রস্তুতির কথা আগাম জানতে পেরে তাঁরা ৩ জানুয়ারি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এর পরও ৪ জানুয়ারি রাতে ওই ব্যক্তিরা জমি দখল করেন। ফরহাদ আহমেদ বলেন, ‘জমি দখলের পর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল কাদের জিলানী ৫ ও ১২ জানুয়ারি উভয় পক্ষকে নিয়ে থানায় দুই দফা বৈঠক করেন। পুলিশ অবৈধ দখল ছেড়ে দিতে বললেও তাঁরা জমি ছাড়েননি।’
ওসি আবদুল কাদের জিলানী জানান, সালাম ড্রাইভার ও শাহীনের পক্ষ কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি। পক্ষান্তরে ফরহাদ আহমেদ ও আশরাফুজ্জামানসহ ৪৪ জন মালিকানার পক্ষে দলিল দেখিয়েছেন। তবে ১৯৯৪ সালের পর থেকে তাঁদের কাছ থেকে খাজনা গ্রহণ করা হয়নি।
জানা গেছে, শেখপুরা মৌজায় ৬৬৮ দাগে মোট জমির পরিমাণ ১৪ একর ৯৪ শতক। পুরো জমি ৪৪ ব্যক্তি বিভিন্ন সময়ে ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছেন। অনেকে বাড়ি করে বসবাস করছেন। কিন্তু ১৯৯৪ সালে ভূমি জরিপকালে জরিপকারীরা কোনো কারণ এবং নোটিশ ছাড়াই ওই দাগের পুরো জমি সরকারি ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত করেন। পরে সরকারি খাস থেকে মুক্ত করতে ৪৪ জন জমির মালিকই জেলা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একযোগে মামলা করেছেন। এ ছাড়া তাঁরা পৃথকভাবেও মামলা করেন। এর মধ্যে সিরাজুল ইসলাম নামের একজন মালিক জানান, তিনি দুটি মামলা করেন। আদালত তাঁর পক্ষে রায় দিয়েছেন।
দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রিয় সিন্ধু তালুকদার বলেন, আবদুস সালাম ও মো. শাহীন গংদের ওই জমির দখল ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments