রাব্বীর খুনিদের বিচার দাবি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ছাত্রলীগের গুলিতে নিহত শিশু রাব্বীর জানাজা শেষে লাশ গতকাল রবিবার বয়রা গ্রামে বাড়ির পাশে দাফন করা হয়। জানাজায় বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নেন। গ্রামবাসী রাব্বীর খুনিদের বিচার দাবি করেন।
এদিকে রাব্বীর বাবা ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় বাতিল হওয়া বাকৃবি ছাত্রলীগের কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ২৫ জনের নামোল্লেখ করে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। গত শনিবার গ্রেপ্তার হওয়া চার ছাত্রকে গতকাল আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল দুপুরে রাব্বীর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে রাব্বীর জানাজায় অংশ নেন স্থানীয় এমপিসহ প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ বিপুলসংখ্যক মানুষ। জানাজা শেষে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে রাব্বীর পরিবারকে দুই লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন এবং পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন।
কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাব্বীর বাবা দুলাল মিয়া মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় প্রধান দুই আসামি করা হয়েছে বাতিল হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কমিটির সভাপতি সামসুদ্দিন আল আজাদ এবং সাধারণ সম্পাদক রফিকুজ্জামান ইমনকে। এ ছাড়া আরো ২৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। নামোল্লেখ করা আসামিদের সবাই ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী। মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, আসামিরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষ ও গোলগুলি করার সময় মাঠের মধ্যে ঘাস কাটা অবস্থায় তাঁর ছেলে রাব্বী (১০) কপালে গুলিবিদ্ধ হয়। পরে সে হাসপাতালে মারা যায়।
কোতোয়ালি থানার ওসি ফজলুল করিম বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তিনি আসামি গ্রেপ্তারের সুবিধার কারণে বাকি আসামিদের নাম আপাতত জানাতে অপারগতা জানান। গত শনিবার গ্রেপ্তার হওয়া চার ছাত্রকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তারা হলো- কায়সার (ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র), জয় বণিক (শামসুল হক হলের ছাত্র), ইমরান সরকার (ফজলুল হক হলের ছাত্র) এবং তারেক আজিজ (আশরাফুল হক হলের ছাত্র)।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুরো ঘটনা তদন্তে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। একটি চার সদস্যর কমিটি, অন্যটি তিন সদস্যের। সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে চার সদস্যের কমিটিতে আছেন অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান (কমিটির প্রধান), অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান, অধ্যাপক ড. আসলাম আলী ও ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হক। এ কমিটি আগামী তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করবে।
অধ্যাপক ড. এ টি এম জিয়া উদ্দিনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি আগামী তিন দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করবে। এর অন্য দুই সদস্য হলেন অধ্যাপক ড. আজহারুল হক এবং অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহীন ইসলাম খান।
এ ব্যাপারে প্রক্টর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, 'দুটি কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ করণীয় নির্ধারণ করবে। ঘটনায় যারা দায়ী হিসেবে শনাক্ত হবে, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনাতেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবে।'
গতকাল দুপুর ১২টায় রাব্বীর লাশ বয়রা গ্রামে পৌঁছালে রাব্বীর মা, দাদি, ফুফু ও আত্মীয়রা কান্নায় ভেঙে পড়েন। গ্রামবাসীর অনেককেও কাঁদতে দেখা যায়। আশপাশের গ্রাম থেকে অনেক মানুষ রাব্বীকে এক নজর দেখতে বয়রা গ্রামে ছুটে আসেন। গ্রামবাসী শিশু রাব্বীর খুনিদের বিচার দাবি করেন। রাব্বীর মাদ্রাসা বয়রা ব্যাপারীপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মো. আবদুল্লাহ বলেন, 'রাব্বীকে টার্গেট করেই খুন করা হয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। যে গুলি করেছে তার ফাঁসি চাই।' আসরের নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হলের মাঠে শিশু রাব্বীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন সদর আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল হক, জেলা প্রশাসক মো. লোকমান হোসেন মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল হাসান বাবু, আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাইদ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মালেক প্রমুখ। নিহতের পরিবারকে সান্ত্বনা দিয়ে তাঁরা বলেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচার হবে।
ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল দুপুরে রাব্বীর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে রাব্বীর জানাজায় অংশ নেন স্থানীয় এমপিসহ প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ বিপুলসংখ্যক মানুষ। জানাজা শেষে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে রাব্বীর পরিবারকে দুই লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন এবং পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন।
কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাব্বীর বাবা দুলাল মিয়া মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় প্রধান দুই আসামি করা হয়েছে বাতিল হওয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কমিটির সভাপতি সামসুদ্দিন আল আজাদ এবং সাধারণ সম্পাদক রফিকুজ্জামান ইমনকে। এ ছাড়া আরো ২৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। নামোল্লেখ করা আসামিদের সবাই ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী। মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, আসামিরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষ ও গোলগুলি করার সময় মাঠের মধ্যে ঘাস কাটা অবস্থায় তাঁর ছেলে রাব্বী (১০) কপালে গুলিবিদ্ধ হয়। পরে সে হাসপাতালে মারা যায়।
কোতোয়ালি থানার ওসি ফজলুল করিম বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তিনি আসামি গ্রেপ্তারের সুবিধার কারণে বাকি আসামিদের নাম আপাতত জানাতে অপারগতা জানান। গত শনিবার গ্রেপ্তার হওয়া চার ছাত্রকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তারা হলো- কায়সার (ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র), জয় বণিক (শামসুল হক হলের ছাত্র), ইমরান সরকার (ফজলুল হক হলের ছাত্র) এবং তারেক আজিজ (আশরাফুল হক হলের ছাত্র)।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুরো ঘটনা তদন্তে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। একটি চার সদস্যর কমিটি, অন্যটি তিন সদস্যের। সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে চার সদস্যের কমিটিতে আছেন অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান (কমিটির প্রধান), অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান, অধ্যাপক ড. আসলাম আলী ও ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হক। এ কমিটি আগামী তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করবে।
অধ্যাপক ড. এ টি এম জিয়া উদ্দিনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি আগামী তিন দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করবে। এর অন্য দুই সদস্য হলেন অধ্যাপক ড. আজহারুল হক এবং অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহীন ইসলাম খান।
এ ব্যাপারে প্রক্টর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, 'দুটি কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ করণীয় নির্ধারণ করবে। ঘটনায় যারা দায়ী হিসেবে শনাক্ত হবে, তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনাতেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবে।'
গতকাল দুপুর ১২টায় রাব্বীর লাশ বয়রা গ্রামে পৌঁছালে রাব্বীর মা, দাদি, ফুফু ও আত্মীয়রা কান্নায় ভেঙে পড়েন। গ্রামবাসীর অনেককেও কাঁদতে দেখা যায়। আশপাশের গ্রাম থেকে অনেক মানুষ রাব্বীকে এক নজর দেখতে বয়রা গ্রামে ছুটে আসেন। গ্রামবাসী শিশু রাব্বীর খুনিদের বিচার দাবি করেন। রাব্বীর মাদ্রাসা বয়রা ব্যাপারীপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মো. আবদুল্লাহ বলেন, 'রাব্বীকে টার্গেট করেই খুন করা হয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। যে গুলি করেছে তার ফাঁসি চাই।' আসরের নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল হলের মাঠে শিশু রাব্বীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন সদর আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল হক, জেলা প্রশাসক মো. লোকমান হোসেন মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল হাসান বাবু, আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাইদ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মালেক প্রমুখ। নিহতের পরিবারকে সান্ত্বনা দিয়ে তাঁরা বলেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচার হবে।
No comments