ভেজাল নুডলসে ভরে গেছে চীনা বাজার
ভেজাল নুডলসে ছেয়ে গেছে চীনের বাজার। নিম্নমানের পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত চাল এবং মানবদেহে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হচ্ছে এসব নুডলস তৈরিতে। চীনের রাষ্ট্রীয় পত্রিকা বেইজিং ইয়ুথ ডেইলি গতকাল শুক্রবার এ কথা জানিয়েছে।
পত্রিকাটি জানায়, হংকংয়ের কাছে দঙ্গুয়ান শহরের ৫০টিরও বেশি কারখানায় প্রতিদিন প্রায় পাঁচ লাখ কিলোগ্রাম ভেজাল নুডলস তৈরি হয়। নিম্নমানের পচা ও ছাতাপড়া দুর্গন্ধযুক্ত চাল দিয়ে এগুলো তৈরি হয়। অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা বস্তাপচা ওই চালকে প্রক্রিয়া করতে সালফার ডাই অঙ্াইডসহ অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্য মেশায়। এসব রাসায়নিক উপাদান ক্যান্সার সৃষ্টিকারী হিসেবে পরিচিত। আধা কিলোগ্রাম চালে রাসায়নিক মিশিয়ে দেড় কিলোগ্রাম নুডলস উৎপাদন করা হয়। দঙ্গুয়ানের হাজার হাজার কারখানার ক্যান্টিনে এসব নুডলস বিক্রি হচ্ছে।
বেইজিং ইয়ুথ ডেইলি জানায়, নিম্নমানের পচা ওই চাল চীনে সাধারণত পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে দেশটিতে খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা নুডলস তৈরিতে এসব চাল ব্যবহার শুরু করে।
ডিসেম্বরের শুরুতে দঙ্গুয়ানের ৩৫টি কারখানায় ভেজালবিরোধী অভিযান চালায় কর্তৃপক্ষ। এতে দেখা যায়, পাঁচটি কারখানায় শুধু মানসম্পন্ন খাবার প্রস্তুত করা হয়। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সে সম্পর্কে পত্রিকাটি অবশ্য কিছু জানায়নি। তবে ভেজাল নুডলস তৈরির পদ্ধতি ইতিমধ্যে অন্য এলাকার ব্যবসায়ীরাও জেনে গেছেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তারা।
২০০৮ সালে ক্ষতিকর মেলামিন মিশ্রিত গুঁড়ো দুধ খেয়ে চীনে ছয় শিশু মারা যায়। অসুস্থ হয়ে পড়ে আরো তিন লাখ। সে সময় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় হয়। সূত্র : এএফপি।
বেইজিং ইয়ুথ ডেইলি জানায়, নিম্নমানের পচা ওই চাল চীনে সাধারণত পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে দেশটিতে খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা নুডলস তৈরিতে এসব চাল ব্যবহার শুরু করে।
ডিসেম্বরের শুরুতে দঙ্গুয়ানের ৩৫টি কারখানায় ভেজালবিরোধী অভিযান চালায় কর্তৃপক্ষ। এতে দেখা যায়, পাঁচটি কারখানায় শুধু মানসম্পন্ন খাবার প্রস্তুত করা হয়। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, সে সম্পর্কে পত্রিকাটি অবশ্য কিছু জানায়নি। তবে ভেজাল নুডলস তৈরির পদ্ধতি ইতিমধ্যে অন্য এলাকার ব্যবসায়ীরাও জেনে গেছেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তারা।
২০০৮ সালে ক্ষতিকর মেলামিন মিশ্রিত গুঁড়ো দুধ খেয়ে চীনে ছয় শিশু মারা যায়। অসুস্থ হয়ে পড়ে আরো তিন লাখ। সে সময় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় হয়। সূত্র : এএফপি।
No comments