বঞ্চিতদের বাধার মুখে ছাত্রদল নেতারা ঢাবি ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেনি
ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাদের প্রতিরোধের মুখে শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেনি মূল কেন্দ্রীয় কমিটি ও তাদের অনুসারীরা। এ নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে সংগঠনটির ভেতর। যে কোন সময় বড়ধরনের অনত্মর্দলীয় সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন সংশিস্নষ্টরা।
সুলতান সালাউদ্দীন টুকুকে সভাপতি ও আমিরম্নল ইসলাম খান আলিমকে সাধারণ সম্পাদক রেখে গত ১ জানুয়ারি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়। এর পর দিন থেকেই টুকুর বিরম্নদ্ধে অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগ এনে টুকু ও কমিটির নেতৃবৃন্দকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান না পাওয়া নেতাকর্মীরা আন্দোলন শুরম্ন করে। পদবঞ্চিত নেতাদের হামলার শিকার হন একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা। কমিটি ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যনত্ম মূল কমিটির নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেনি।সম্প্রতি পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতৃবৃন্দ শনিবার ক্যাম্পাসে আসার ঘোষণা দিয়েছিল। আর তাদের যে কোন মূল্যে প্রতিরোধ করার ঘোষণা ছিল আন্দোলনরত পদবঞ্চিত নেতাকর্মীদের। শেষ পর্যনত্ম তাদের প্রতিরোধের মুখে মূল কমিটির নেতাকর্মীরা শনিবার ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারেনি। শাহবাগ থেকেই তাদের ফিরে যেতে হয়েছে।
সংশিস্নষ্ট সূত্রগুলো জানায়, শনিবার সকাল থেকেই লাঠিসোটা নিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। আসাদুজ্জামান পলাশ ও শিপনের নেতৃত্বে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে মহড়া দিতে থাকে। এ খবর পেয়ে মূল কমিটির নেতৃবৃন্দ ও তাদের অনুসারীরা কিছুটা ভীত হয়ে পড়ে। কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক না এলেও কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা ও বেশকিছু নেতাকর্মী ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করে। সকালে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহবাগের প্রবেশপথ দিয়ে ঢোকার সিদ্ধানত্ম নিয়েছিল। এ খবর পেয়ে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা শাহবাগের দিকে রওনা হয়। এ খবরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে না ঢুকে পালিয়ে যায় কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাকর্মীরা।
তবে মূল কমিটি বলছে তারা সংঘর্ষ এড়াতে চায়। আর এজন্য তারা আপাতত ক্যাম্পাসে না যাওয়ার সিদ্ধানত্ম নিয়েছে। এ বিষয়ে ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ওবায়দুল হক নাসির জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা মনে করি আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। আমরা সকলেই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আদর্শে বিশ্বাসী। কোন ধরনের সংঘর্ষ আমরা চাই না।
No comments