পদ্মাপারের বাদলদের- তবু যেতে হবে
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডকটম আর ক'দিন পরই বাপ-দাদার ভিটা ছেড়ে অন্য স্থানে বসত গড়তে হবে পদ্মাপারের বাদল হোসেনকে। তাতে আপত্তি নেই তাঁর, দেশের কল্যাণে ত্যাগ স্বীকারে রাজি তিনি।
তার পরও পূর্বপুরম্নষের বাড়ি ছাড়তে মন যেন কেমন কেমন করে পঞ্চাশোর্ধ বাদলের। দেশের সবচেয়ে বড় নির্মাণকাজ পদ্মা বহুমুখী সেতু বাসত্মবায়নের জন্য যে ৪ হাজার পরিবারকে বাড়িঘর ছেড়ে সরকার নির্ধারিত নতুন জায়গায় বসত গড়তে হবে তাদেরই একজন বাদল। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ঘাটের পাশেই মেদিনীম-ল গ্রামে বাদলের বাড়ির ওপর দিয়েই যাবে বহু প্রতীৰিত সেতু। জমি অধিগ্রহণের কথা এলাকাবাসীকে জানিয়ে দিয়েছে সরকার।বাদল বলেন, গত চার-পাঁচ বছর ধরেই শুনছি এই জায়গায় ব্রিজ হবে। এবার মনে হয় সত্যিই হবে। আমাদের জমি নেয়া হবে বলে নোটিস দিয়েছে।
গৃহস্থ বাদল সংসার চালান হাঁস-মুরগি-গরম্ন-বাছুর পালন করে। বসতভিটায় শাক-সবজিরও চাষ হয়। নতুন ভিটায় আবার নতুন করে শুরম্ন করতে হবে সব। ব্রিজ হলে নাকি দৰিণবঙ্গের মানুষের উপকার হবে। তাই অন্য জায়গায় যেতে আপত্তি নেই। তবে বছরের পর বছর যেখানে বাস তা ছাড়তে মন সরে না, বলেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে পদ্মা সেতু বাসত্মবায়নের একটা সাজ সাজ রব পড়ে গেছে। জমি কেনা-বেচা, নতুন বাড়ি বানানো_এ নিয়ে আবুল কাশেম, সোলায়মান হোসেনদের কৌতূহলের শেষ নেই। জমির দাম এ গ্রামে কত কম ও গ্রামে কত বেশি_তা নিয়ে চলছে নিরনত্মর আলোচনা।
মেদিনীম-লের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার জন্য পাশের তিনটি গ্রাম কুমারভোগ, যশোলদিয়া ও কান্দিপাড়াতে জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে।
সেতু বাসত্মবায়নের লৰ্যে মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলায় পদ্মার দুই পারে এক হাজার হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করবে সরকার। তবে দাতাগোষ্ঠীর পরামর্শ মেনে সবার আগে ভিটামাটি হারানোদের পুনর্বাসনের কাজ করতে হবে।
সেতু কর্তৃপৰের নির্বাহী প্রকৌশলী (পদ্মা সেতু পুনর্বাসন প্রকল্প) কাজী মোঃ ফেরদৌস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সেতু করার জন্য পদ্মার দুই পারে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে হবে। এদের জন্য জমি কেনা শুরম্ন হয়েছে।
No comments