শত ভাগের বাহাস!- সাংবাদিক সম্মেলন আজ ও কাল
উত্তম চক্রবতর্ী প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ইসু্যটিই এখন 'টক অব দ্য কান্ট্রি'। এ ইসু্যতে সারাদেশে চায়ের কাপে ঝড় উঠেছে, আলোচনা ও বিতর্ক উত্তপ্ত হচ্ছে। ভারত সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবাদ সম্মেলনের ঠিক আধাঘণ্টা আগেই একই বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য তুলে ধরবেন এমন ঘোষণা দিয়ে দিলেন বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া।
দু'টি সংবাদ সম্মেলনই হওয়ার কথা ছিল শনিবার বিকেলে। কিন্তু এই ঘোষণা দেয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই সংবাদ সম্মেলনের সময় বদলে দেয় বিএনপি। বিএনপির পৰ থেকে জানানো হয়, রবিবার বেগম জিয়ার সংবাদ সম্মেলন হবে। প্রশ্ন উঠেছে, সর্বমহল এই সফরকে 'ইতিবাচক ও সফল' বলে উলেস্নখ করলেও বিএনপির পুরনো স্টাইলে এমন বিরোধিতা কেন? বিএনপি নেত্রী কি দেশের স্বার্থ রৰায় আন্দোলনের কথা বলছেন, নাকি এ ইসু্যতে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে চাইছেন?শুধু সরকারী দলই নয়, দেশের অধিকাংশ বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিক ও আনত্মর্জাতিক বিশেস্নষকরা প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকে 'ইতিবাচক' উলেস্নখ করলেও বিরোধী দল 'শতভাগ ব্যর্থ' বলে দাবি করছে। এই সফর বিগত সাতটি বছর ধরে দু'দেশের মধ্যে চলা অবিশ্বাস-সন্দেহের দেয়াল ভেঙ্গে আস্থা-বিশ্বাসের সম্পর্ক স্থাপনে নতুন দিগনত্ম উন্মোচিত করলেও বসে নেই বিরোধী দল। এই সফরকে ইসু্য বানাতে পুরনো স্টাইলে 'জুজুর ভয়' দেখিয়ে কট্টর ভারতবিরোধীদের এক পস্নাটফরমে এনে রাজনীতির মাঠ গরম করার পরিকল্পনা অাঁটছে।
শুধু রাজনৈতিক অঙ্গনেই নয়, এই সফরের ফলাফল নিয়ে কূটনীতিক ও গণমাধ্যমসহ সব মহলেই চুলচেরা বিশেস্নষণ ও আলোচনা চলছে। সরকারী দল প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকে 'শতভাগ সফল', আর বিরোধী দল 'শতভাগ ব্যর্থ' দাবি করে এখন পরস্পরের মুখোমুখি। রাজনৈতিকভাবে পরস্পরকে মোকাবেলায় প্রস্তুতি চলছে উভয় দলে।
তবে সরকারী দলের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর এবং সেখানে সম্পাদিত কিছু চুক্তি দু'দেশের অনেক অমীমাংসিত ইসু্যর সমাধানের পাশাপাশি অর্থনৈতিক, ব্যবসা-বাণিজ্যের ৰেত্রে নতুন দুয়ার উন্মোচিত করলেও শুধু 'বিরোধিতার স্বার্থে বিরোধিতার' পুরনো রাজনৈতিক সংস্কৃতি থেকে বের হতে পারেনি বিএনপি। বরং চিহ্নিত ভারতবিরোধী শক্তিগুলোকে নিয়ে পুরনো স্টাইলে 'বেস্নম গেম' খেলায় নেমে রাজনীতির মাঠে উত্তাপ ছড়াতে চাইছে সাবেক ৰমতাসীন এই দলটি। প্রশ্ন উঠেছে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো প্রথম থেকেই প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকে ব্যর্থ বলে আসছে। কিন্তু দলটির অভিযোগ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী কোন্্ কোন্্ ৰেত্রে ব্যর্থ, চুক্তির কোন কোন্্ শর্তে দেশের স্বার্থহানি ঘটেছে, কোন্্ ইসু্যতে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়েছেন বা আর কোন্্ ইসু্য সমাধান করা সর্বাগ্রে জরম্নরী ছিল_ এসব বিষয়ে তাদের তরফে এখনও স্পষ্ট কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এমনকি সংসদে গিয়ে সরকারের এসব ভুল-ত্রম্নটি ধরিয়ে দেয়া বা সম্পাদিত চুক্তিগুলোর বিরোধিতা করার কোন উদ্যোগও নেই বিরোধী পৰের তরফ থেকে। বরং দেশের স্বার্থের বদলে এই ইসু্যতে অতীতের মতো কট্টর ভারতবিদ্বেষী শক্তিগুলোকে এক পস্ন্যাটফরমে আনতেই অধিক মনোযোগী দলটির নীতিনির্ধারকরা। বিএনপির টার্গেট, এই ইসু্যতে সরকারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামের ৰেত্র প্রস্তুত করা। তবে বিশ্বায়ন ও তথ্য-প্রযুক্তির যুগে অতীতের মতো শুধুমাত্র ভারতবিরোধী জিগির তুলে দেশের জনগণকে কতটুকু বিভ্রানত্ম করা যাবে, এ নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে দেশের বিশিষ্ট আনত্মর্জাতিক বিশেস্নষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আনত্মর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ শুক্রবার জনকণ্ঠকে বলেন, এটা বিএনপি-জামায়াত জোটের পুরনো রাজনৈতিক কালচার। বিরোধী দলে থাকলে হয়ত আওয়ামী লীগও এটা করত। তবে সর্বাগ্রে দেখা দরকার, বিরোধী দল তথা বিএনপি সংসদে গিয়ে এ নিয়ে কথা বলে কি-না। কারণ সংসদে এসব বিষয়ে কথা বললে তার 'ইমপ্যাক্ট' থাকবে। সংসদে না গিয়ে বাইরে মিটিং-মিছিল, সমাবেশ বা টকশোর মাধ্যমে বিরোধী দল যা বলছে তা ভেসত্মে যাবে।
অভিজ্ঞ এই বিশেস্নষকের মতে, ভারত সফরের অর্জন নিয়ে বিরোধী দলগুলোর বিরোধিতার কোন মেরিট থাকতে পারে। কিন্তু এই সফরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের মাত্র তিনটি চুক্তি ও দুটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। দু'দেশের সম্পর্কোন্নয়ন ও অমীমাংসিত অনেক বিষয়ে বড় কিছু করার এখনও সুযোগ আছে। বিএনপি যদি সে ধরনের কিছু চায় তবে তাদের সংসদে বলা উচিত। তারা এসব বিষয়ে কথা বলতে যদি সংসদে না যায়, তবে বুঝতে হবে তারা শুধু বিরোধিতা বা ইসু্য বানানোর জন্যই এটা করছে।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সফলতা-ব্যর্থতা সম্পর্কে অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদের বিশেস্নষণ হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে বাংলাদেশ-ভারত যে সকল চুক্তি সমঝোতা ও অঙ্গীকার করেছে তা খুবই ইতিবাচক দিক। আমরা আশাবাদী, এর মাধ্যমে দু'দেশের সম্পর্কের নতুন দিক উণ্মোচিত হবে। তবে আগে দেখতে হবে এসব চুক্তি বা সমঝোতা কবে থেকে এবং কেমন বাসত্মবায়ন হচ্ছে। কেননা আগেও অনেক চুক্তি কাগজে-কলমে করা হয়েছে, বাসত্মবায়ন দেখা যায়নি। তাই প্রধানমন্ত্রীর সফরে গৃহীত সিদ্ধানত্মগুলোর বাসত্মবায়ন না দেখে এর সুফল বোঝা যাবে না।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে ইতোমধ্যে দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, আনত্মর্জাতিক বিশেস্নষকসহ বুদ্ধিজীবীরা ইতিবাচক মতামত ব্যক্ত করেছেন। তাঁদের বিশেস্নষণ হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে বাংলাদেশ-ভারত যে সকল চুক্তি সমঝোতা ও অঙ্গীকার করা হয়েছে, এর ফলে দু'দেশের মধ্যে বিদ্যমান অবিশ্বাস ও অনাস্থার পরিবর্তে আস্থা-বিশ্বাসের সড়ক তৈরির সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। তিনটি চুক্তির মাধ্যমে জঙ্গী ও সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী দমনের লৰ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা অর্জনের সুযোগ এসেছে। সমঝোতার মাধ্যমে দু'দেশ সমুদ্র, রেল ও সড়কপথ ব্যবহারের সুযোগ পাবে এবং নেপাল-ভুটানসহ আঞ্চলিক যোগাযোগ, বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে গতি সঞ্চার হবে। তাঁদের মতে, ইউরোপ ও আসিয়ানের অভিজ্ঞতায় ধারণা হিসেবে এটি অবশ্যই সমর্থনযোগ্য। অনেক দিন পর দু'দেশের মধ্যে আস্থা-বিশ্বাসের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সরকারের উচিত হবে এর সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা।
বিশেষজ্ঞরা এও আশাবাদ ব্যক্ত করছেন যে, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকালে ৪৭টি বাংলাদেশী পণ্য ভারতে শুল্কমুক্ত প্রবেশের সমঝোতায় দু'দেশের বাণিজ্যের বিশাল ঘাটতি অনেকাংশই কমবে। এছাড়া বাংলাদেশের রেল ও যোগাযোগ ৰেত্রে আধুনিকায়নে ভারতের ১০০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা, বাংলাদেশকে ২৫০ মেগাওয়াট বিদু্যত বিক্রির প্রতিশ্রম্নতিও ইতিবাচক পদৰেপ। বিশেষ করে এই সমঝোতার ফলে প্রায় নিঃশেষ হয়ে যাওয়া মংলা বন্দর আবার জেগে উঠবে। বিশাল অঙ্কের শুধু রাজস্ব আদায়ই নয়, মংলা বন্দরকে ঘিরে ঐ অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন দিগনত্ম উণ্মোচিত হবে। চট্টগ্রাম বন্দরও তার নিজস্ব কার্যৰমতা ও সামর্থ্য বহুগুণ বাড়িয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বিশেষ ভূমিকা পালনের সুযোগ পাবে। এছাড়া তিসত্মার অমীমাংসিত পানি বণ্টন বিষয়ে আগামী মার্চে দু'দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে চুক্তি এবং জাতিসংঘে উত্থাপিত সমুদ্র সীমানার বিষয়টি দ্বিপৰীয় আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথও প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের মাধ্যমে প্রশসত্ম হয়েছে বলেই মনে করছেন তাঁরা।
রাজনৈতিক দল বা বিশেষজ্ঞরা যাই বলুক, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরকে ইসু্য বানাতে মরিয়া বিএনপি। তাঁদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী সফরে গিয়ে ভারতকে সবকিছু দিয়ে এসেছেন, দেশের জন্য কিছুই আনতে পারেননি। ট্রানজিটসহ দেশবিরোধী অনেক চুক্তি করে দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বকেই হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। তবে বিএনপি ৰমতায় থাকতেই ভারতের সঙ্গে ট্রানজিট চুক্তি করেছিল তা বেমালুম চেপে গেছেন দলটির নেতারা। এছাড়া দুই টার্মে প্রায় দশ বছর ৰমতা থাকতে গঙ্গা-তিসত্মাসহ অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন সমস্যা, টিপাইমুখ বাঁধ, সমুদ্রসীমা নির্ধারণ, সীমানত্ম নিরাপত্তা সমস্যাসহ দু'দেশের মধ্যে বিদ্যমান একটি সমস্যাও আলোচনার মাধ্যমে সমাধান কেন করতে পারলেন না, এসব প্রশ্নেরও কোন উত্তর নেই বিএনপি বা জামায়াতের তরফ থেকে।
তবে বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, এক ঢিলে দুই পাখি মারার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে দলটি। প্রথমত. রাজনৈতিকভাবে একে ইসু্য বানিয়ে আন্দোলনের হুমকি দিয়ে মাঠে নেমে সরকারকে ব্যতিব্যসত্ম রাখা, অন্যদিকে নেতাকমর্ীদের সামনে আন্দোলনের মুলা ঝুলিয়ে সাংগঠনিক অবস্থানকে চাঙ্গা করার প্রয়াস চালানো। কিন্তু দলের একাধিক নেতা মনে করছেন, যেহেতু বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অত্যনত্ম সফল এবং আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপৰীয় সমস্যার শানত্মিপূর্ণ সমাধানের একটি পথ খুলে গেছে বলে অভিমত দিয়েছেন, সেহেতু এটা ইসু্য করে কোন আন্দোলন গড়ে তোলা এই মুহূর্তে বিএনপির পৰে সম্ভব হবে না। দল পুরোপুরি না গুছিয়ে বড় কোন আন্দোলনে যাওয়া বিএনপির জন্য ভাল ফল বয়ে আনবে না।
রাজনৈতিক বিশেস্নষকরা বলছেন, ৰমতায় থাকতে ভারতপ্রীতি আর বিরোধী দলে গেলে ভারতবিরোধী অবস্থান বিএনপির রাজনীতিতে নতুন নয়। জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে ৰমতায় থেকে দু'দেশের অমীমাংসিত সমস্যাগুলো সমাধানের পরিবর্তে তাদের ৰমতার মেয়াদে ব্যক্তিস্বার্থে বাংলাদেশে ভারতের অবাধ বাজার সৃষ্টি, সীমানত্মে অবাধ চোরাচালান, চলাচলের অযোগ্য যানবাহন অবাধে আমদানি করে দেশের পরিবহন সেক্টরকেই প্রায় ধ্বংসের দ্বারপ্রানত্মে নিয়ে এসেছিল। এছাড়া অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন সমস্যা যাতে সমাধান না হয় সেজন্য যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক বন্ধ করে দেয়া এবং ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বাংলাদেশের ভূখ- ব্যবহারের সুযোগ পর্যনত্ম সৃষ্টি করে দিয়েছিল জোট সরকার। এমনকি ঢাকাতে সফরে আসা পাকিসত্মানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি পারভেজ মোশারফের সঙ্গে কারাগারে বন্দী উলফার নেতা অনুপ চেটিয়ার সঙ্গে বৈঠকের ব্যবস্থা পর্যনত্ম করে দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত জোট। এসব ঘটনায় প্রতিবেশী বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপৰীয় সম্পর্কের যে মারাত্মক অবনতি ঘটেছিল, তা থেকে উত্তরণে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর অনেকটাই ইতিবাচক ফল বইয়ে আনবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এলজিআরডিমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ভারতের বিরম্নদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে বাংলাদেশের ভূখ- ব্যবহার করতে দিয়েছিল। ওই সময় ঢাকায় পাকিসত্মানের সাবেক রাষ্ট্রপতি পারভেজ মোশারফের সঙ্গে কারাগারে আটক ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী উলফার সিনিয়র নেতা অনুপ চেটিয়ার সঙ্গে বৈঠকের তথ্যপ্রমাণ তাঁদের কাছে আছে। চট্টগ্রামের ১০ ট্রাক অস্ত্র আর বগুড়ায় বিপুল পরিমাণ গোলাবারম্নদের গনত্মব্যও ছিল ভারত। এ সবের কারণে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ওপরে ওপরে সম্পর্ক থাকলেও ভেতরে ভাল ছিল না।
বিরোধী দলের বিরোধিতা সম্পর্কে তিনি বলেন, 'সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার কথা বলে আমরা দেশকে একঘরে করে রাখতে চাই না। ইউরোপে পাসপোর্ট-ভিসার কোন বালাই নেই। ইচ্ছা করলে যে কেউ যে কোন দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য ও চাকরি করতে পারেন। শুধু ভারত, নেপাল বা ভূটান নয়, আমরা চীনের সঙ্গেও সম্পর্ক জোরদার করতে চাই। রেল ও সড়কপথে চীনের সঙ্গেও যোগাযোগ স্থাপন করতে চাই। ইতোমধ্যে দুই দেশ যৌথভাবে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে বলেও উলেস্নখ করেন তিনি।
No comments