পটুয়াখালীতে জামায়াত অফিসে ৰুব্ধ জনতার হামলা ভাংচুর- নাশকতার গোপন বৈঠক পুলিশ মোতায়েন
নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী, ১৫ জানুয়ারি পটুয়াখালীতে শুক্রবার জুমাবাদ জামায়াতের কার্যালয়ে বড় ধরনের নাশকতার জন্যে গোপন বৈঠক চলাকালে উত্তেজিত জনতা হামলা চালিয়েছে। এ সময় জামায়াত কার্যালয়ের একটি করে আসবাবপত্র ও একটি কম্পিউটার ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। জামায়াত নেতৃবৃন্দ হামলার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছে।
হামলার ঘটনা অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগ। জানা যাায়, শুক্রবার সকাল থেকে শহরের কাজীপাড়াস্থ জামায়াত কার্যালয়ে দ্বিতীয় তলায় আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের বক্তব্যের প্রতিবাদে জেলা জামায়াতের শূরা সদস্যদের একটি গোপন সভা চলছিল। বাদ জুমা শিা শিবিরের সভার নামে আইনমন্ত্রীর বক্তব্যকে ইসু্য করে শহরে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনার খবরে শহরের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার উত্তেজিত মানুষ হামলা চালায় জামায়াত কার্যালয়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তাৎণিক প্রতিক্রিয়ায় জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর এ.কে.এম. ফখরম্নদ্দীন খান রাযী হামলা ভাংচুরের জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন। তিনি আরও জানান, আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে শুক্রবার জামায়াত কার্যালয়ে প্রতিবাদ সভা চলছিল। হামলার প্রতিবাদ ও আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে বাদ আসর মদিনা মসজিদ থেকে বিােভ মিছিল বের করার জন্য তাওহিদী জনতাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদিকে জামায়াত অফিসে হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ খান মোশাররফ হোসেন জানান, হামলার ঘটনায ছাত্রলীগের কোন যোগসূত্র নেই। তিনি শুনেছেন যে জামায়াত অফিসে আইনমন্ত্রীর বক্তব্যকে ইসু্য করে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনার খবরে উত্তেজিত জনতা সেখানে হামলা চালিয়েছে। দায়বদ্ধতা থেকে জনগণ যদি কোন নাশকতার প্রতিবাদ করে তাতে কারও কিছু বলার আছে বলে আমি মনে করি না। যে কাজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর করার কথা ছিল সেটা জনতা করেছে।পুলিশ জানায়, তারা পুরো বিষয়টির খোঁজখবর নিচ্ছে। ভাংচুরের ঘটনায় কেউ অভিযোগ করলে মামলা নেয়া হবে।
No comments