বিএনপি নেতার হত্যাকারী কারা?- হাতকড়া পরা লাশ
বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত একজন ব্যবসায়ীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া এবং পরে হাতকড়া পরা অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধারের ঘটনা দেশের নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতিকেই তুলে ধরেছে। পুলিশ ও র্যা ব বলেছে, তারা এর কিছুই জানে না।
তবে কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে? সন্ত্রাসীরা যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পোশাক পরে অবাধে চলাচল, কাউকে বাড়ি থেকে তুলে নিতে এবং হাতকড়া পরিয়ে মেরে ফেলতে পারে, তবে জনজীবনের নিরাপত্তা কোথায়?
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশে নতুন নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হলেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। বিএনপির নেতা রফিকুল ইসলাম মজুমদারকে গত শনিবার রাতে তাঁর শ্বশুরবাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপা থেকে ধরে নিয়ে যায় র্যা বের পোশাক পরা সশস্ত্র ব্যক্তিরা। এরপর ‘পুলিশ’ লেখা হাতকড়া পরা অবস্থায় তাঁর লাশ পাওয়ার পর পরিবারের লোকজন মনে করছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাই তাঁকে ধরে নিয়ে মেরে ফেলেছেন। কারণ, অতীতে এভাবে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথারীতি তা অস্বীকার করেছে।
বিএনপির নেতা ও ঢাকা মহানগর কমপ্লেক্স ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি রফিকুল ইসলামের ক্ষেত্রে কী ঘটেছে, তা তদন্তসাপেক্ষ বিষয়। কিন্তু তাঁর স্বজন ও প্রতিবেশীরা দেখেছেন যে র্যা বের পোশাক পরা লোকজন তাঁকে তুলে নিয়ে গেছেন। ফলে তাঁদের আশঙ্কা বা অভিযোগকে উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। র্যা বের ঝিনাইদহ ক্যাম্পের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শনিবার রাতে তারা কোনো অভিযানে যায়নি। ক্যাম্প-প্রধানের আশঙ্কা, সন্ত্রাসীরা র্যা ব সেজে এ ঘটনা ঘটাতে পারে। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেছেন, বাজারে ‘পুলিশ’ লেখা হাতকড়া পাওয়া যায়। তিনিও ধারণা করছেন, সন্ত্রাসীরা এ সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে। সেই সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করার দায়িত্বও তাদের।
রফিকুল ইসলামের হত্যার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তাই র্যা ব বা পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়—এটা জোর গলায় বললেই তাদের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের এটা প্রমাণ করতে হবে যে তাঁরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। সেটা প্রমাণ করার পথ হচ্ছে, কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের খুঁজে বের করে আইন ও বিচারের মুখোমুখি করা।
দুর্বৃত্ত বা সন্ত্রাসীরা যখন কোনো অপকর্ম করতে যায়, তবে তাদের প্রতিরোধ করার সুযোগ থাকে। কিন্তু সন্ত্রাসীরা যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পোশাকে যায়, তবে তাদের বাধা দেওয়ার সুযোগ থাকে না। সন্ত্রাসীরা যদি এই সুযোগ নিতে থাকে, তা দেশে চরম নিরাপত্তাহীনতার পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। নিজেদের ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। রফিকুল ইসলাম হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক—সেটাই সবার দাবি।
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশে নতুন নয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হলেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। বিএনপির নেতা রফিকুল ইসলাম মজুমদারকে গত শনিবার রাতে তাঁর শ্বশুরবাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপা থেকে ধরে নিয়ে যায় র্যা বের পোশাক পরা সশস্ত্র ব্যক্তিরা। এরপর ‘পুলিশ’ লেখা হাতকড়া পরা অবস্থায় তাঁর লাশ পাওয়ার পর পরিবারের লোকজন মনে করছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাই তাঁকে ধরে নিয়ে মেরে ফেলেছেন। কারণ, অতীতে এভাবে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথারীতি তা অস্বীকার করেছে।
বিএনপির নেতা ও ঢাকা মহানগর কমপ্লেক্স ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি রফিকুল ইসলামের ক্ষেত্রে কী ঘটেছে, তা তদন্তসাপেক্ষ বিষয়। কিন্তু তাঁর স্বজন ও প্রতিবেশীরা দেখেছেন যে র্যা বের পোশাক পরা লোকজন তাঁকে তুলে নিয়ে গেছেন। ফলে তাঁদের আশঙ্কা বা অভিযোগকে উপেক্ষা করার সুযোগ নেই। র্যা বের ঝিনাইদহ ক্যাম্পের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শনিবার রাতে তারা কোনো অভিযানে যায়নি। ক্যাম্প-প্রধানের আশঙ্কা, সন্ত্রাসীরা র্যা ব সেজে এ ঘটনা ঘটাতে পারে। কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেছেন, বাজারে ‘পুলিশ’ লেখা হাতকড়া পাওয়া যায়। তিনিও ধারণা করছেন, সন্ত্রাসীরা এ সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে। সেই সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করার দায়িত্বও তাদের।
রফিকুল ইসলামের হত্যার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তাই র্যা ব বা পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়—এটা জোর গলায় বললেই তাদের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের এটা প্রমাণ করতে হবে যে তাঁরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। সেটা প্রমাণ করার পথ হচ্ছে, কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের খুঁজে বের করে আইন ও বিচারের মুখোমুখি করা।
দুর্বৃত্ত বা সন্ত্রাসীরা যখন কোনো অপকর্ম করতে যায়, তবে তাদের প্রতিরোধ করার সুযোগ থাকে। কিন্তু সন্ত্রাসীরা যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পোশাকে যায়, তবে তাদের বাধা দেওয়ার সুযোগ থাকে না। সন্ত্রাসীরা যদি এই সুযোগ নিতে থাকে, তা দেশে চরম নিরাপত্তাহীনতার পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে। নিজেদের ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। রফিকুল ইসলাম হত্যার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক—সেটাই সবার দাবি।
No comments