সেন্ট মার্টিন সৈকতেও ভেসে আসছে মৃত মা-কচ্ছপ by আব্দুল কুদ্দুস
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিন সৈকতেও ভেসে আসছে অসংখ্য মৃত মা-কচ্ছপ। গভীর সাগরে মাছ ধরার ট্রলিং জাহাজের জালে আটকা পড়ে মা-কচ্ছপের মৃত্যু হচ্ছে। গত এক মাসে দ্বীপের সৈকতে শতাধিক কচ্ছপের মৃতদেহ ভেসে আসে বলে স্থানীয় জেলেরা জানিয়েছেন।
গতকাল সোমবার সকালে সৈকতের পশ্চিম পাশে গিয়ে দেখা গেছে, তিনটি কচ্ছপ জোয়ারের পানিতে ভাসছে। একেকটির ওজন এক মণ হবে। একটু পরে কচ্ছপগুলো সৈকতে ভিড়লে কুকুরের দল টানাটানি শুরু করে। সৈকতের দক্ষিণ অংশ ঘুরে আরও দুটি কচ্ছপের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেল। আগের দিন রোববার দুপুরে সৈকতের উত্তর, পশ্চিম ও পূর্ব পাশ ঘুরে আরও পাঁচটি কচ্ছপের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। সব কচ্ছপের শরীরে আঘাতের চিহ্ন। ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে কচ্ছপগুলোকে মারা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দিন ১৫ আগে সোনাদিয়া, মহেশখালী ও কক্সবাজার সৈকতেও এমন মৃত কচ্ছপ ভেসে আসতে দেখা গেছে।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বোট মালিক সমিতির সদস্য সৈয়দ আলম বলেন, আগে সন্ধ্যার পর সৈকতে অসংখ্য কচ্ছপ ডিম পাড়তে উঠত। বালুচরে গর্ত খুঁড়ে ৫০ থেকে ১০০টি ডিম দিয়ে মা-কচ্ছপ সাগরে নেমে যেত। দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা এসব দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হতো। আর এখন এই দৃশ্য খুব একটা নজরে পড়ে না। কারণ, সন্ধ্যার পর পুরো সৈকত থাকে আলোকিত। তা ছাড়া সৈকতজুড়ে হাজার হাজার মানুষের হইচইয়ের মধ্যে কচ্ছপ ডিম পাড়ার পরিবেশ হারিয়ে ফেলে। নির্জন সৈকতে কিছু কচ্ছপ ডিম দিলেও তা কুকুরের দল খেয়ে ফেলে।
ভ্রমণে আসা মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল হামিদ বলেন, ‘এত সুন্দর একটি দ্বীপে কচ্ছপ নিরাপদে ডিম পাড়তে পারছে না ভাবতে অবাক লাগছে। সৈকত ঘুরে কয়েকটি মা-কচ্ছপের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখলাম। মৃতদেহ থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লেও এসব সরানোর যেন কেউ নেই।’
উত্তরপাড়া মাছ ব্যবসায়ী জমির আহমদ বলেন, গত ডিসেম্বরে সৈকতের কয়েক কিলোমিটারে শতাধিক কচ্ছপের মৃতদেহ ভেসে আসে। এখনো মরা কচ্ছপ ভেসে আসছে। গভীর সাগরে ট্রলিং জালে আটকা পড়ে এসব কচ্ছপের মৃত্যু হচ্ছে। দুর্গন্ধ থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় লোকজন মৃত কচ্ছপগুলো বালুচরে গর্ত খুঁড়ে পুঁতে ফেলে।
ভ্রমণে আসা পরিবেশবাদী সংগঠন ‘কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলন’-এর সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, ১৩ দশমিক ৩৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ছোট্ট এই দ্বীপের বর্তমান লোকসংখ্যা প্রায় সাত হাজার। তার ওপর প্রতিদিন দ্বীপ ভ্রমণে আসছে পাঁচ থেকে ১৫ হাজার পর্যটক। কিন্তু দ্বীপের পরিবেশ রক্ষার যেন কেউ নেই। দ্বীপের চারদিকে পুঁতে রাখা নিষিদ্ধ জালে আটকা পড়ে গভীর সাগর থেকে ডিম পাড়তে আসা অসংখ্য মা-কচ্ছপ মারা যাচ্ছে। এসব নিয়ে ভাবার যেন কেউ নেই।
জানতে চাইলে সেন্ট মার্টিন ইউপির চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, সৈকতে কচ্ছপের মৃতদেহ ভেসে আসছে ঠিক। কিন্তু এসব কচ্ছপ মারা যাচ্ছে গভীর সাগরে ট্রলিং জালে আটকা পড়ে। জোয়ারের পানিতে এসব মৃতদেহ সৈকতে ভেসে এলে সঙ্গে সঙ্গে পুঁতে ফেলা হচ্ছে।
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বোট মালিক সমিতির সদস্য সৈয়দ আলম বলেন, আগে সন্ধ্যার পর সৈকতে অসংখ্য কচ্ছপ ডিম পাড়তে উঠত। বালুচরে গর্ত খুঁড়ে ৫০ থেকে ১০০টি ডিম দিয়ে মা-কচ্ছপ সাগরে নেমে যেত। দেশি-বিদেশি পর্যটকেরা এসব দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হতো। আর এখন এই দৃশ্য খুব একটা নজরে পড়ে না। কারণ, সন্ধ্যার পর পুরো সৈকত থাকে আলোকিত। তা ছাড়া সৈকতজুড়ে হাজার হাজার মানুষের হইচইয়ের মধ্যে কচ্ছপ ডিম পাড়ার পরিবেশ হারিয়ে ফেলে। নির্জন সৈকতে কিছু কচ্ছপ ডিম দিলেও তা কুকুরের দল খেয়ে ফেলে।
ভ্রমণে আসা মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল হামিদ বলেন, ‘এত সুন্দর একটি দ্বীপে কচ্ছপ নিরাপদে ডিম পাড়তে পারছে না ভাবতে অবাক লাগছে। সৈকত ঘুরে কয়েকটি মা-কচ্ছপের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখলাম। মৃতদেহ থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লেও এসব সরানোর যেন কেউ নেই।’
উত্তরপাড়া মাছ ব্যবসায়ী জমির আহমদ বলেন, গত ডিসেম্বরে সৈকতের কয়েক কিলোমিটারে শতাধিক কচ্ছপের মৃতদেহ ভেসে আসে। এখনো মরা কচ্ছপ ভেসে আসছে। গভীর সাগরে ট্রলিং জালে আটকা পড়ে এসব কচ্ছপের মৃত্যু হচ্ছে। দুর্গন্ধ থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় লোকজন মৃত কচ্ছপগুলো বালুচরে গর্ত খুঁড়ে পুঁতে ফেলে।
ভ্রমণে আসা পরিবেশবাদী সংগঠন ‘কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলন’-এর সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, ১৩ দশমিক ৩৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ছোট্ট এই দ্বীপের বর্তমান লোকসংখ্যা প্রায় সাত হাজার। তার ওপর প্রতিদিন দ্বীপ ভ্রমণে আসছে পাঁচ থেকে ১৫ হাজার পর্যটক। কিন্তু দ্বীপের পরিবেশ রক্ষার যেন কেউ নেই। দ্বীপের চারদিকে পুঁতে রাখা নিষিদ্ধ জালে আটকা পড়ে গভীর সাগর থেকে ডিম পাড়তে আসা অসংখ্য মা-কচ্ছপ মারা যাচ্ছে। এসব নিয়ে ভাবার যেন কেউ নেই।
জানতে চাইলে সেন্ট মার্টিন ইউপির চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, সৈকতে কচ্ছপের মৃতদেহ ভেসে আসছে ঠিক। কিন্তু এসব কচ্ছপ মারা যাচ্ছে গভীর সাগরে ট্রলিং জালে আটকা পড়ে। জোয়ারের পানিতে এসব মৃতদেহ সৈকতে ভেসে এলে সঙ্গে সঙ্গে পুঁতে ফেলা হচ্ছে।
No comments