দেশ অস্থিতিশীল করতে নাটোওে ইসলামী দলের সশস্ত্র ট্রেনিং
নাটোর, ১৬ জানুয়ারি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তুলতে একটি ইসলামী রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের সশস্ত্র ট্রেনিং দেয়া হয়েছে। রাজপথে প্রতিপৰ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, পুলিশ ও সাংবাদিক প্রতিরোধই তাদের লৰ্য।
এ কথা স্বীকার করলেন খোদ এই রাজনৈতিক দলেরই এক সাবেক ছাত্রনেতা। নাটোরে জেলা ও উপজেলা সদরে প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজের পর সশস্ত্র ট্রেনিংপ্রাপ্ত ক্যাডাররা একত্রিত হয়ে মিছিল করছে। তারা ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার বিরম্নদ্ধে সেস্নাগান তুলে রাজপথ গরম করছে। অথচ স্থানীয় প্রশাসন এখন পর্যনত্ম নীরব রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।ওই রাজনৈতিক দলের সশস্ত্র ট্রেনিংপ্রাপ্ত সাবেক এক ছাত্রনেতা জানান, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দু'বছরে দলটি কেবল নাটোরেই সংগ্রহ করেছে চার হাজার সদস্য। তাদের দেয়া হয়েছে সশস্ত্র প্রশিৰণ।
ওয়ান-ইলেভেনের পর ওই ধর্মের লেবাস অাঁটা দলটি সুবিধাজনক অবস্থানে থাকায় এ সময়টা তারা পুরোপুরি কাজে লাগায় ক্যাডার সংগ্রহে। পাশাপাশি ইসলাম রৰার ধোঁয়া তুলে সাধারণ ছাত্রদের দলে ভিড়িয়েছে। তাদের মধ্য থেকে বাছাই করা সদ্যদের সশস্ত্র ট্রেনিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সশস্ত্র ট্রেনিংপ্রাপ্ত সাবেক ওই ছাত্রনেতা আরও জানান, তাদের মূল টার্গেট প্রতিপৰ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও পুলিশ। প্রতিপৰকে ঘায়েল করে দ্রম্নত নিরাপদ স্থানে সরে আসার বিষয়ে তিনি ট্রেনিং নিয়েছেন। তিনি আরও জানান, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ৰমতায় আসার পর ২০০১ সাল পর্যনত্ম তাদের ছাত্র সংগঠনের প্রায় এক হাজার কর্মীকে ট্রেনিং দেয়া হয়। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ২০০৭ সাল পর্যনত্ম তারা কর্মী সংগ্রহের দিকে নজর দেয়। মহাজোট ৰমতায় আসার পর ফের তারা ট্রেনিং কার্যক্রম শুরম্ন করে। তিনি বলেন, শহরের বাইরে নির্জন এলাকায় কয়েকটি স্পটে তাদের ট্রেনিং দেয়া হয়। শুধুমাত্র তরম্নণ ও যুবক ছাত্রদেরই ট্রেনিং দেয়া হয় বলে তিনি দাবি করেন।
No comments