কল্পনা চাকমা- এ কোন সহনশীলতার সংস্কৃতি? by জোবাইদা নাসরীন
১৬ বছর আগে অপহূত হয়েছিলেন তৎকালীন হিল উইমেন ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক কল্পনা চাকমা। দফায় দফায় সরকার বদল হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি হয়, কত জমির মালিকানার পরিবর্তন হয়, নিত্যনতুন রাজনৈতিক দোলাচলে পাহাড় বিভক্ত হয়, জুম পাহাড়ে ‘উন্নয়ন’ মালিকানার অংশীদারি বাড়ে, কল্পনার শোকে মারা যান কল্পনার মা, কিন্তু অপহূত সেই কল্পনার কোনো খোঁজ মিলল না।
কল্পনার অপহরণ ঘটনাটি বহির্বিশ্বের মিডিয়ায় আলোচিত ছিল। এই অপহরণের বিরুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশের বিবেকবান মানুষ প্রতিবাদে ফেটে পড়েছিলেন। সেই সময় সেনা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনাটিকে একটি ‘গুজব’, ‘প্রেমঘটিত ব্যাপার’, ‘কল্পনাকে ত্রিপুরায় দেখা গেছে’ বলে নানা প্রকার গল্প তৈরি করে সেগুলো প্রচার করার চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু সে চেষ্টা সফল হয়নি। সবার একটিই দাবি ছিল, কল্পনা যদি বেঁচে থাকেন, তাহলে তাঁকে জনসমক্ষে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হোক। কিন্তু সেটা করতে ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন।
১৯৯৬ সালের ১১ জুন দিবাগত রাতে কল্পনা চাকমা অপহূত হন। এর সঙ্গে কয়েকজন সেনাসদস্যের জড়িত ছিলেন বলে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদনে অভিযোগ রয়েছে। ১৯৯৬ সালের ১১ জুন রাতে আসন্ন নির্বাচনে মশগুল যখন পুরো দেশ, সেই রাতেই রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার নিউ লাল্যাঘোনা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে অপহরণের শিকার হন কল্পনা।
১৯৯৬ সালে কল্পনার পরিবার কর্তৃক দায়ের করা অপহরণ মামলার পুলিশি তদন্ত শেষে ২০১০ সালে একটি পুলিশি রিপোর্ট দেওয়া হয়, যাতে অভিযুক্ত ও প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের এড়িয়ে যাওয়া হয়। পুলিশি রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে কল্পনার পরিবারের পক্ষ থেকে পুনরায় সিআইডি তদন্তের আবেদন জানানো হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ২০১০ সালের ২ সেপ্টেম্বর সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন। তার পর থেকে দীর্ঘ দুই বছর ধরে তদন্তের পর অতিসমপ্রতি চট্টগ্রাম সিআইডি চূড়ান্ত তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে এবং ওই তদন্তেও অভিযুক্ত ও প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১৩ জানুয়ারি সিআইডির পেশ করা ওই চূড়ান্ত রিপোর্টের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে এবং কল্পনা চাকমার ভাই কালিন্দী কুমার চাকমাকে উপস্থিত থাকার জন্য আদালত নির্দেশ দিয়েছেন। এই রিপোর্টও প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক ও হিল উইমেন ফেডারেশন। সবাই চায়, কল্পনা চাকমা অপহরণের ঘটনার স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত।
প্রতিবছরই ঘুরেফিরে আসে কল্পনা চাকমার অপহরণের বিচারের বিষয়টি। কিন্তু সেটি আর হয় না। আমরা মনে করি, আবার ভুলে যাই। আমরা প্রতিবাদী হই, আবার হারিয়ে যাই। প্রতিদিন নিত্যনতুন নির্যাতনের সংবাদ দেখি আর ভুলে যাই আগের ক্ষত। ১৬ বছর ধরে কল্পনার ক্ষত আমাদের মনে, কিন্তু আমরা সেই ক্ষতে ক্রমেই মলম দিয়ে যাচ্ছি সহনশীলতার সংস্কৃতির চাদর গায়ে জড়িয়ে। আর একই তদন্ত রিপোর্ট প্রসব করে নতুন কমিটি। তদন্তের সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে আমাদের সহনশীল মনন।
দুই.
নারীর জন্য বাংলা কিংবা ইংরেজি নববর্ষ—কোনোটিই হয়তো অর্থ বহন করে না। নারীর প্রতি সহিংসতার সংবাদ না নিয়ে কোনো নববর্ষ আসেনি। এই এক মাসেই ঢাকায় নিজ কর্মস্থলে ধর্ষণ এবং হত্যার শিকার হয়েছেন ডা. সাজিয়া, রাঙামাটিতে থ্যুচিং মারমা। যথারীতি প্রতিবাদ সমাবেশ, মানববন্ধন হয়েছে। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রে মেডিকেলের ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং পরে তাঁর মৃত্যুকে নিয়ে আমরা যখন বিভিন্ন সেমিনার কিংবা ফোরামে কথা বলছি, তখন পর্যন্ত এ দেশের অনেকেই জানতে পারেননি গণধর্ষণের শিকার টাঙ্গাইলের সেই স্কুলছাত্রীর কথা। নিজের দেশের মেয়েটির খবর পৌঁছাতে লেগেছে ১২ দিন। তত দিনে মেয়েটি মানসিক ভারসাম্যহীন। কিন্তু তাতেই কিছুই হয় না। কারণ, আমরা সয়ে যাওয়া রাজনীতির সঙ্গেই নিজেদের এভাবেই জড়িয়ে ফেলেছি। আমরা পত্রিকায় খবর পড়ে আঁতকে উঠব, হু-হা করে হতাশা প্রকাশ করব, আহা রে! জাতীয় শব্দ উচ্চারণ করে দুঃখ প্রকাশ করব, কিন্তু সেখানেই শেষ। কিন্তু অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা যেতে চাই না।
প্রতিদিনই এই ধর্ষণ এবং হত্যার সংবাদ পড়তে পড়তে এগুলোর প্রতি আমাদের মানসিক সহনশীলতা তৈরি হয়ে গেছে। আমরা পড়ি, মন খারাপ হয়, নিজে অনিরাপত্তাবোধ করি, কিন্তু এর বেশি কিছুই না। এ বছরের প্রথম মাসে প্রায় প্রতিদিনই প্রেসক্লাব, সংসদ ভবন কিংবা শাহবাগ মোড়ে জাদুঘরের সামনে সমাবেশ হয়েছে, মানববন্ধন হয়েছে, উচ্চারিত হয়েছে মানবতার কাছে সেরা আকুতি—‘আমরা বাঁচতে চাই’, ‘আমরা ন্যায়বিচার চাই’। নারীকে বাইরে বের হতে নিষেধ করার পরিবর্তে পুরুষের আচরণের প্রতি নজর দেওয়ার আহ্বান এসেছে। কিন্তু আমরা একবারও ভাবি না এই সহনশীলতা আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? আমরা প্রতিনিয়তই আস্থা হারিয়ে ফেলছি নিকটজনদের ওপর। অবিশ্বাসের দোলায় দুলে ওঠে অতি চেনা-জানা সম্পর্ক।
তিন.
আর আমাদের এই সহ্য করার ক্ষমতার কারণেই পাহাড় থেকে কল্পনারা হারিয়ে যান। তুমা চিং মারমা, সুজাতা চাকমা কিংবা চার বছর বয়সী ইতি মণি চাকমারা ধর্ষণের শিকার হয়। তবু পাহাড়ের কণ্ঠ রুদ্ধ হয় না। কল্পনাদের কণ্ঠ শোনা যায়। আর শোনা যায় বলেই তাঁদের বিরুদ্ধে তৈরি করতে হয় নানা কল্পকাহিনি। কল্পনা না থাকলেও কল্পনা এখনো সংগ্রামের প্রতীক পাহাড়ে, সমতলে। তাই তো তার অপহরণ রিপোর্ট নিয়ে ১৬ বছর পরেও চলে নানা জটিলতা।
১৩ জানুয়ারি শুরু হবে সিআইডির রিপোর্টের ওপর শুনানি। আমরা মনে-প্রাণে ভাবতে চাই, আমাদের বন্ধু কল্পনা বেঁচে আছেন, আমরা তাঁকে দেখতে চাই আমাদের সামনে। আমরা চাই না সিআইডির রিপোর্টও প্রমাণবিহীন, পক্ষপাতমূলক রিপোর্ট হিসেবে উপস্থাপিত হোক। জাতিগত নিপীড়ন, নারী-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সমবেত শক্তিই পারবে এই সহনশীল নির্যাতনের পাটাতন ভাঙতে। সহ্য ক্ষমতার পরীক্ষা নয়, এর বিরুদ্ধে মিলিত প্রতিরোধ না হলে হয়তো সবাই আমরা কম-বেশি আক্রান্ত হব, ধর্ষণের শিকার হব, অপহূত হব। এই অনিরাপত্তা বোধটিই এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি তাড়া করে।
জোবাইদা নাসরীন: শিক্ষক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
zobaidanasreen@gmail.com
১৯৯৬ সালের ১১ জুন দিবাগত রাতে কল্পনা চাকমা অপহূত হন। এর সঙ্গে কয়েকজন সেনাসদস্যের জড়িত ছিলেন বলে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদনে অভিযোগ রয়েছে। ১৯৯৬ সালের ১১ জুন রাতে আসন্ন নির্বাচনে মশগুল যখন পুরো দেশ, সেই রাতেই রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার নিউ লাল্যাঘোনা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে অপহরণের শিকার হন কল্পনা।
১৯৯৬ সালে কল্পনার পরিবার কর্তৃক দায়ের করা অপহরণ মামলার পুলিশি তদন্ত শেষে ২০১০ সালে একটি পুলিশি রিপোর্ট দেওয়া হয়, যাতে অভিযুক্ত ও প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের এড়িয়ে যাওয়া হয়। পুলিশি রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে কল্পনার পরিবারের পক্ষ থেকে পুনরায় সিআইডি তদন্তের আবেদন জানানো হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ২০১০ সালের ২ সেপ্টেম্বর সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন। তার পর থেকে দীর্ঘ দুই বছর ধরে তদন্তের পর অতিসমপ্রতি চট্টগ্রাম সিআইডি চূড়ান্ত তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে এবং ওই তদন্তেও অভিযুক্ত ও প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১৩ জানুয়ারি সিআইডির পেশ করা ওই চূড়ান্ত রিপোর্টের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে এবং কল্পনা চাকমার ভাই কালিন্দী কুমার চাকমাকে উপস্থিত থাকার জন্য আদালত নির্দেশ দিয়েছেন। এই রিপোর্টও প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক ও হিল উইমেন ফেডারেশন। সবাই চায়, কল্পনা চাকমা অপহরণের ঘটনার স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত।
প্রতিবছরই ঘুরেফিরে আসে কল্পনা চাকমার অপহরণের বিচারের বিষয়টি। কিন্তু সেটি আর হয় না। আমরা মনে করি, আবার ভুলে যাই। আমরা প্রতিবাদী হই, আবার হারিয়ে যাই। প্রতিদিন নিত্যনতুন নির্যাতনের সংবাদ দেখি আর ভুলে যাই আগের ক্ষত। ১৬ বছর ধরে কল্পনার ক্ষত আমাদের মনে, কিন্তু আমরা সেই ক্ষতে ক্রমেই মলম দিয়ে যাচ্ছি সহনশীলতার সংস্কৃতির চাদর গায়ে জড়িয়ে। আর একই তদন্ত রিপোর্ট প্রসব করে নতুন কমিটি। তদন্তের সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে আমাদের সহনশীল মনন।
দুই.
নারীর জন্য বাংলা কিংবা ইংরেজি নববর্ষ—কোনোটিই হয়তো অর্থ বহন করে না। নারীর প্রতি সহিংসতার সংবাদ না নিয়ে কোনো নববর্ষ আসেনি। এই এক মাসেই ঢাকায় নিজ কর্মস্থলে ধর্ষণ এবং হত্যার শিকার হয়েছেন ডা. সাজিয়া, রাঙামাটিতে থ্যুচিং মারমা। যথারীতি প্রতিবাদ সমাবেশ, মানববন্ধন হয়েছে। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রে মেডিকেলের ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং পরে তাঁর মৃত্যুকে নিয়ে আমরা যখন বিভিন্ন সেমিনার কিংবা ফোরামে কথা বলছি, তখন পর্যন্ত এ দেশের অনেকেই জানতে পারেননি গণধর্ষণের শিকার টাঙ্গাইলের সেই স্কুলছাত্রীর কথা। নিজের দেশের মেয়েটির খবর পৌঁছাতে লেগেছে ১২ দিন। তত দিনে মেয়েটি মানসিক ভারসাম্যহীন। কিন্তু তাতেই কিছুই হয় না। কারণ, আমরা সয়ে যাওয়া রাজনীতির সঙ্গেই নিজেদের এভাবেই জড়িয়ে ফেলেছি। আমরা পত্রিকায় খবর পড়ে আঁতকে উঠব, হু-হা করে হতাশা প্রকাশ করব, আহা রে! জাতীয় শব্দ উচ্চারণ করে দুঃখ প্রকাশ করব, কিন্তু সেখানেই শেষ। কিন্তু অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা যেতে চাই না।
প্রতিদিনই এই ধর্ষণ এবং হত্যার সংবাদ পড়তে পড়তে এগুলোর প্রতি আমাদের মানসিক সহনশীলতা তৈরি হয়ে গেছে। আমরা পড়ি, মন খারাপ হয়, নিজে অনিরাপত্তাবোধ করি, কিন্তু এর বেশি কিছুই না। এ বছরের প্রথম মাসে প্রায় প্রতিদিনই প্রেসক্লাব, সংসদ ভবন কিংবা শাহবাগ মোড়ে জাদুঘরের সামনে সমাবেশ হয়েছে, মানববন্ধন হয়েছে, উচ্চারিত হয়েছে মানবতার কাছে সেরা আকুতি—‘আমরা বাঁচতে চাই’, ‘আমরা ন্যায়বিচার চাই’। নারীকে বাইরে বের হতে নিষেধ করার পরিবর্তে পুরুষের আচরণের প্রতি নজর দেওয়ার আহ্বান এসেছে। কিন্তু আমরা একবারও ভাবি না এই সহনশীলতা আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? আমরা প্রতিনিয়তই আস্থা হারিয়ে ফেলছি নিকটজনদের ওপর। অবিশ্বাসের দোলায় দুলে ওঠে অতি চেনা-জানা সম্পর্ক।
তিন.
আর আমাদের এই সহ্য করার ক্ষমতার কারণেই পাহাড় থেকে কল্পনারা হারিয়ে যান। তুমা চিং মারমা, সুজাতা চাকমা কিংবা চার বছর বয়সী ইতি মণি চাকমারা ধর্ষণের শিকার হয়। তবু পাহাড়ের কণ্ঠ রুদ্ধ হয় না। কল্পনাদের কণ্ঠ শোনা যায়। আর শোনা যায় বলেই তাঁদের বিরুদ্ধে তৈরি করতে হয় নানা কল্পকাহিনি। কল্পনা না থাকলেও কল্পনা এখনো সংগ্রামের প্রতীক পাহাড়ে, সমতলে। তাই তো তার অপহরণ রিপোর্ট নিয়ে ১৬ বছর পরেও চলে নানা জটিলতা।
১৩ জানুয়ারি শুরু হবে সিআইডির রিপোর্টের ওপর শুনানি। আমরা মনে-প্রাণে ভাবতে চাই, আমাদের বন্ধু কল্পনা বেঁচে আছেন, আমরা তাঁকে দেখতে চাই আমাদের সামনে। আমরা চাই না সিআইডির রিপোর্টও প্রমাণবিহীন, পক্ষপাতমূলক রিপোর্ট হিসেবে উপস্থাপিত হোক। জাতিগত নিপীড়ন, নারী-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সমবেত শক্তিই পারবে এই সহনশীল নির্যাতনের পাটাতন ভাঙতে। সহ্য ক্ষমতার পরীক্ষা নয়, এর বিরুদ্ধে মিলিত প্রতিরোধ না হলে হয়তো সবাই আমরা কম-বেশি আক্রান্ত হব, ধর্ষণের শিকার হব, অপহূত হব। এই অনিরাপত্তা বোধটিই এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি তাড়া করে।
জোবাইদা নাসরীন: শিক্ষক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
zobaidanasreen@gmail.com
No comments