ক্ষেতলালে কর্মসৃজন কর্মসূচির অধীন ২৫টি প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ- শ্রমিকেরা করছেন প্রকল্প সভাপতির জমির কাজ
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় কর্মসৃজন কর্মসূচির অধীন ২৫টি প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে অনিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে। প্রকল্পের সভাপতিরা ভুয়া শ্রমিকদের তালিকা দিয়ে টাকা আত্মসাৎ এবং প্রকল্পের শ্রমিকদের দিয়ে নিজেদের জমি ও পুকুরপাড় ভরাটের কাজ করিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচির আওতায় উপজেলার আলমপুর, বড়াইল, মামুদপুর, তুলসিগঙ্গা এবং বড়তারা ইউনিয়নে ২৫টি প্রকল্পের কাজ চলছে। সরকার এসব প্রকল্পের বিপরীতে শ্রমিকদের মজুরি বাবদ ৩৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এসব প্রকল্পে ৫০৫ জন শ্রমিকের কাজ করার কথা। গত ২২ নভেম্বর থেকে কাজ শুরু হয়েছে। ১ জানুয়ারি এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেশ কয়েক দিন সরকারি ছুটি থাকায় কোনো কাজ হয়নি। এ কারণে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ চলবে। প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত শ্রমিকদের কাজ করার কথা।
আলমপুর ইউনিয়নে দৌলতপুর গ্রামে কার্তিকের বাড়ি থেকে আওলাদের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা ভরাট প্রকল্পে ২৫ জন শ্রমিকের কাজ করার কথা। গত ২৬ ডিসেম্বর বেলা দেড়টায় সেখানে গিয়ে একজন শ্রমিককেও কাজ করতে দেখা যায়নি। একই ইউনিয়নের কাপাশঠিকরি গ্রামের ভেতর দিয়ে বেরুঞ্জ খাড়ি পর্যন্ত রাস্তা ভরাট প্রকল্পে ২৪ জন শ্রমিকের কাজ করার কথা। কিন্তু বেলা সোয়া দুইটার দিকে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, উল্লিখিত দুই প্রকল্পে ৪৯ জন শ্রমিকের কাজ করার কথা। কিন্তু প্রতিদিন ওই দুই প্রকল্পে অনেক কম শ্রমিক কাজ করছেন।
ওই দুটি প্রকল্পের সভাপতি আলমপুর ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আশরাফুল ইসলাম জানান, সব শ্রমিকই কাজ করছিলেন, আপনারা আসার আগে শ্রমিকেরা হয়তো কাজ শেষ করেছেন। তিনি ভুয়া তালিকা দিয়ে ব্যাংক থেকে শ্রমিকদের নামে টাকা তুলে তা আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বড়াইল ইউনিয়নের হবিবরের বাড়ি থেকে ইছহাকের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা ভরাট প্রকল্পে ১৭ জন শ্রমিকের কাজ করার কথা। গত ২৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে সেখানে গিয়ে ১৩ জন শ্রমিককে পাওয়া গেছে। তবে তাঁরা ওই সময় সেখানে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। স্থানীয় লোকজন জানান, শ্রমিকেরা নির্ধারিত প্রকল্পে কাজ না করে প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য লাইলি বেগমের বাড়ির পুকুরপাড় ও বাড়ি জমি ভরাট করছেন।
এ ব্যাপারে শ্রমিক ছোবেদা বলেন, ‘প্রকল্পের সভাপতি যেখানে কাজ করতে বলছেন, সেখানে কাজ করছি।’
ওই গ্রামের কৃষক আনিছুর রহমান ও ব্যবসায়ী মোতালেব সরকার জানান, তাঁদের গ্রামের রাস্তা বর্ষার সময় জলাবদ্ধ থাকে। সেখানে কাজ না করে সরকারি টাকায় মহিলা সদস্য বাড়ি করার উদ্দেশ্যে শ্রমিকদের দিয়ে নিজের জমি ভরাটের কাজ করিয়ে নিচ্ছেন। প্রকল্পের সভাপতি লাইলি বেগম বলেন, ‘শ্রমিকদের অতিরিক্ত টাকা দিয়ে নিজের জমি ভরাট করছি।’
মামুদপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের মাঠ ভরাট এবং দেওগ্রাম জিন্নার বাড়ি থেকে হাফিজিয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত রাস্তা ভরাট প্রকল্পে ৪৮ জন শ্রমিক কাজ করার কথা। কয়েক দিন আগে ওই দুটি প্রকল্পের এলাকায় গিয়ে ৪২ জন শ্রমিককে কাজ করতে দেখা গেছে। প্রকল্পগুলোর সভাপতি ইউপি সদস্য মুক্তার হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি না। তবে কেউ কাজ না করলে তাঁকে অনুপস্থিত দেখাব।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামীম এহসান বলেন, ‘আমরা কয়েকজন অফিসার মিলে প্রকল্পগুলো পর্যবেক্ষণ করছি। যাঁরা অনিয়ম করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আলমপুর ইউনিয়নে দৌলতপুর গ্রামে কার্তিকের বাড়ি থেকে আওলাদের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা ভরাট প্রকল্পে ২৫ জন শ্রমিকের কাজ করার কথা। গত ২৬ ডিসেম্বর বেলা দেড়টায় সেখানে গিয়ে একজন শ্রমিককেও কাজ করতে দেখা যায়নি। একই ইউনিয়নের কাপাশঠিকরি গ্রামের ভেতর দিয়ে বেরুঞ্জ খাড়ি পর্যন্ত রাস্তা ভরাট প্রকল্পে ২৪ জন শ্রমিকের কাজ করার কথা। কিন্তু বেলা সোয়া দুইটার দিকে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানান, উল্লিখিত দুই প্রকল্পে ৪৯ জন শ্রমিকের কাজ করার কথা। কিন্তু প্রতিদিন ওই দুই প্রকল্পে অনেক কম শ্রমিক কাজ করছেন।
ওই দুটি প্রকল্পের সভাপতি আলমপুর ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আশরাফুল ইসলাম জানান, সব শ্রমিকই কাজ করছিলেন, আপনারা আসার আগে শ্রমিকেরা হয়তো কাজ শেষ করেছেন। তিনি ভুয়া তালিকা দিয়ে ব্যাংক থেকে শ্রমিকদের নামে টাকা তুলে তা আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বড়াইল ইউনিয়নের হবিবরের বাড়ি থেকে ইছহাকের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা ভরাট প্রকল্পে ১৭ জন শ্রমিকের কাজ করার কথা। গত ২৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে সেখানে গিয়ে ১৩ জন শ্রমিককে পাওয়া গেছে। তবে তাঁরা ওই সময় সেখানে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। স্থানীয় লোকজন জানান, শ্রমিকেরা নির্ধারিত প্রকল্পে কাজ না করে প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য লাইলি বেগমের বাড়ির পুকুরপাড় ও বাড়ি জমি ভরাট করছেন।
এ ব্যাপারে শ্রমিক ছোবেদা বলেন, ‘প্রকল্পের সভাপতি যেখানে কাজ করতে বলছেন, সেখানে কাজ করছি।’
ওই গ্রামের কৃষক আনিছুর রহমান ও ব্যবসায়ী মোতালেব সরকার জানান, তাঁদের গ্রামের রাস্তা বর্ষার সময় জলাবদ্ধ থাকে। সেখানে কাজ না করে সরকারি টাকায় মহিলা সদস্য বাড়ি করার উদ্দেশ্যে শ্রমিকদের দিয়ে নিজের জমি ভরাটের কাজ করিয়ে নিচ্ছেন। প্রকল্পের সভাপতি লাইলি বেগম বলেন, ‘শ্রমিকদের অতিরিক্ত টাকা দিয়ে নিজের জমি ভরাট করছি।’
মামুদপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের মাঠ ভরাট এবং দেওগ্রাম জিন্নার বাড়ি থেকে হাফিজিয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত রাস্তা ভরাট প্রকল্পে ৪৮ জন শ্রমিক কাজ করার কথা। কয়েক দিন আগে ওই দুটি প্রকল্পের এলাকায় গিয়ে ৪২ জন শ্রমিককে কাজ করতে দেখা গেছে। প্রকল্পগুলোর সভাপতি ইউপি সদস্য মুক্তার হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি না। তবে কেউ কাজ না করলে তাঁকে অনুপস্থিত দেখাব।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামীম এহসান বলেন, ‘আমরা কয়েকজন অফিসার মিলে প্রকল্পগুলো পর্যবেক্ষণ করছি। যাঁরা অনিয়ম করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
No comments