তীব্র শীতে জবুথবু উত্তরের মানুষ
তীব্র শীতে উত্তরাঞ্চলের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। কুড়িগ্রামে শীতজনিত রোগে দুটি শিশু মারা গেছে। কনকনে ঠান্ডার কারণে খু্ব প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় জবুথবু হয়ে পড়েছে এ জনপদের মানুষ। দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের মুখ দেখা যায় না।
তীব্র ঠান্ডায় দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট বেড়েছে।
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
কুড়িগ্রাম: হিমেল হাওয়ায় কুড়িগ্রামে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। রংপুর আবহাওয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় শীতজনিত রোগে আক্রান্ত দুটি শিশু সদর হাসপাতালে মারা গেছে। এরা হচ্ছে মুক্তি (১১) মাস ও চার দিন বয়সী একটি শিশু। ডায়ারিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত আরও ৩৬টি শিশু চিকিৎসাধীন। জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, জেলায় এ পর্যন্ত ১৭ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
নীলফামারী: দিনমজুর ও কৃষিশ্রমিকেরা তীব্র শীতে কাজে যেতে পারছেন না। গতকাল জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল সকাল ১০টা পর্যন্ত ভারী যানবাহনগুলোকে বাতি জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। সদর উপজেলার ইটাখোলা গ্রামের দিনমজুর ইনসান আলী বলেন, ‘ঠান্ডাতে ঘর থাকি বেরা যায়ছে না। ঘর থাকি বেরের না পাইরলে কাম করি কেমন করি। আর কাম না কইরলে হামার গরিব মাইনষের কষ্ট তো হইবে। ঠান্ডা এত বেশি যে আইতে দিনে আগুন তাপির নাগে।’ টুপামারী ইউনিয়নের দোগাছি গ্রামের রিকশাচালক সাহেব আলী বলেন, ‘ঠান্ডার জইন্যে রিকশা চালানো যায় না। তা-ও পেটের দায় বেরাইছি। কিন্তু এত ঠান্ডাত মানুষ ঘর থাকি বেরায়ছে না। ভাড়া পাই কোনঠে।’ নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে সোমবার শিশু বিভাগে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত ৩০টি শিশু ভর্তি ছিল। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ফজলুল হক বলেন, শীতের কারণে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশিসহ নানা রোগে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
পঞ্চগড়: গতকাল সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত তিন দিনে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত অসংখ্য শিশু চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসে। তীব্র শীতে আলু ও ধানের চারায় কোল্ড ইনজুরি রোগ দেখা দিয়েছে।
আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
কুড়িগ্রাম: হিমেল হাওয়ায় কুড়িগ্রামে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। রংপুর আবহাওয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় শীতজনিত রোগে আক্রান্ত দুটি শিশু সদর হাসপাতালে মারা গেছে। এরা হচ্ছে মুক্তি (১১) মাস ও চার দিন বয়সী একটি শিশু। ডায়ারিয়া, নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত আরও ৩৬টি শিশু চিকিৎসাধীন। জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, জেলায় এ পর্যন্ত ১৭ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
নীলফামারী: দিনমজুর ও কৃষিশ্রমিকেরা তীব্র শীতে কাজে যেতে পারছেন না। গতকাল জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘন কুয়াশার কারণে গতকাল সকাল ১০টা পর্যন্ত ভারী যানবাহনগুলোকে বাতি জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। সদর উপজেলার ইটাখোলা গ্রামের দিনমজুর ইনসান আলী বলেন, ‘ঠান্ডাতে ঘর থাকি বেরা যায়ছে না। ঘর থাকি বেরের না পাইরলে কাম করি কেমন করি। আর কাম না কইরলে হামার গরিব মাইনষের কষ্ট তো হইবে। ঠান্ডা এত বেশি যে আইতে দিনে আগুন তাপির নাগে।’ টুপামারী ইউনিয়নের দোগাছি গ্রামের রিকশাচালক সাহেব আলী বলেন, ‘ঠান্ডার জইন্যে রিকশা চালানো যায় না। তা-ও পেটের দায় বেরাইছি। কিন্তু এত ঠান্ডাত মানুষ ঘর থাকি বেরায়ছে না। ভাড়া পাই কোনঠে।’ নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে সোমবার শিশু বিভাগে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত ৩০টি শিশু ভর্তি ছিল। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ফজলুল হক বলেন, শীতের কারণে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশিসহ নানা রোগে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
পঞ্চগড়: গতকাল সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত তিন দিনে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত অসংখ্য শিশু চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসে। তীব্র শীতে আলু ও ধানের চারায় কোল্ড ইনজুরি রোগ দেখা দিয়েছে।
No comments