আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুরু- পুনর্বিচার চেয়ে করা কাদের মোল্লার আবেদনও খারিজ
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা পুনর্বিচারের আবেদনও খারিজ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের এ ট্রাইব্যুনাল গতকাল সোমবার এ আবেদন খারিজ করেন। পরে এ মামলায় আসামিপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন শুরু করে।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত দুই ট্রাইব্যুনালে এ নিয়ে পাঁচটি মামলা পুনর্বিচারের আবেদন খারিজ হলো। এর আগে ৩ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনাল-১ জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম, বর্তমান আমির মতিউর রহমান নিজামী ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আবেদন এবং ট্রাইব্যুনাল-২ দলটির অপর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের করা আবেদন খারিজ করেন।
গতকাল ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হলে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মামলাটি পুনর্বিচারের আবেদনের শুনানি করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী তাজুল ইসলাম। এ সময় আসামির কাঠগড়ায় কাদের মোল্লা উপস্থিত ছিলেন। পরে ট্রাইব্যুনাল আদেশে বলেন, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা পুনর্বিচারের আবেদন যে যুক্তিতে খারিজ করা হয়েছিল, সেই একই যুক্তিতে এই আবেদনও খারিজ করা হলো।
আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুরু: পুনর্বিচারের আবেদন খারিজ হওয়ার পর আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক এ মামলায় যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। গত ২৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়।
যুক্তি উপস্থাপনকালে আবদুর রাজ্জাক বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩ প্রণয়ন করা হয়েছিল ১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনার বিচারের জন্য। তাদের সহযোগী ও সাধারণ অপরাধীদের বিচারের জন্য ১৯৭২ সালে দালাল অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল। এ ছাড়া ওই ১৯৫ জন সেনাকে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। মূল অপরাধীদের বিচার না করে সহযোগীদের বিচার করা যায় না। তিনি বলেন, এটি একটি রাজনৈতিক মামলা। বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে এ মামলার আসামি কাদের মোল্লা বিভিন্ন সভায় অংশ নিয়েছেন। এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম ৪০ বছর পর শুরু করা হয়েছে। তাতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু এর সপক্ষে রাষ্ট্রপক্ষ সঠিক কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।
আবদুর রাজ্জাক মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আরও কয়েকটি আইনগত দিক নিয়ে যুক্তি তুলে ধরেন। যুক্তি উপস্থাপন অসমাপ্ত অবস্থায় এ মামলার কার্যক্রম আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি করেন ট্রাইব্যুনাল।
কাদের মোল্লা নয়, জরিমানা দেবেন আইনজীবী: একই ধরনের আবেদন চারবার করায় কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে দেওয়া ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ গতকাল পুনর্বিবেচনা করেন ট্রাইব্যুনাল-২। কাদের মোল্লার আইনজীবী ফরিদ উদ্দিন খান ওই আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়ে বলেন, আইনজীবীদের ভুলের কারণে তাঁকে জরিমানা করা হয়েছে। এ দায় আইনজীবীদের।
পরে ট্রাইব্যুনাল আদেশে বলেন, কাদের মোল্লাকে জরিমানা দিতে হবে না। তাঁর আইনজীবী ফরিদ উদ্দিন পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা দেবেন। জরিমানার এ টাকা ৯ জানুয়ারির মধ্যে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামে দান করে এ-সংক্রান্ত রসিদ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার কাদের মোল্লাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
গোলাম আযমের পক্ষে আসামিপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ আজ: বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে দুই সদস্যের (চেয়ারম্যান অনুপস্থিত ছিলেন) ট্রাইব্যুনাল-১ গতকাল গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মামলায় আসামিপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন। মামলার কার্যক্রম একদিন মুলতবির আবেদন জানিয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার আসামিপক্ষের প্রথম সাক্ষী ও গোলাম আযমের ছেলে আবদুল্লাহিল আমান আজমী তাঁর অসমাপ্ত জবানবন্দি দেবেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জেয়াদ-আল-মালুম এ আবেদনের বিরোধিতা করেন। পরে মঙ্গলবার আসামিপক্ষের সাক্ষী হাজিরের নিশ্চয়তা নিয়ে ট্রাইব্যুনাল এক দিনের জন্য কার্যক্রম মুলতবি করেন।
এদিকে বেসরকারি টিভি চ্যানেল এটিএন নিউজ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত টিভি চ্যানেল বিটিভির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনেছে আসামিপক্ষ। ১০ জানুয়ারি এ আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত দুই ট্রাইব্যুনালে এ নিয়ে পাঁচটি মামলা পুনর্বিচারের আবেদন খারিজ হলো। এর আগে ৩ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনাল-১ জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম, বর্তমান আমির মতিউর রহমান নিজামী ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আবেদন এবং ট্রাইব্যুনাল-২ দলটির অপর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের করা আবেদন খারিজ করেন।
গতকাল ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হলে কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মামলাটি পুনর্বিচারের আবেদনের শুনানি করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী তাজুল ইসলাম। এ সময় আসামির কাঠগড়ায় কাদের মোল্লা উপস্থিত ছিলেন। পরে ট্রাইব্যুনাল আদেশে বলেন, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা পুনর্বিচারের আবেদন যে যুক্তিতে খারিজ করা হয়েছিল, সেই একই যুক্তিতে এই আবেদনও খারিজ করা হলো।
আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুরু: পুনর্বিচারের আবেদন খারিজ হওয়ার পর আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক এ মামলায় যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। গত ২৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ হয়।
যুক্তি উপস্থাপনকালে আবদুর রাজ্জাক বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩ প্রণয়ন করা হয়েছিল ১৯৫ জন পাকিস্তানি সেনার বিচারের জন্য। তাদের সহযোগী ও সাধারণ অপরাধীদের বিচারের জন্য ১৯৭২ সালে দালাল অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছিল। এ ছাড়া ওই ১৯৫ জন সেনাকে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। মূল অপরাধীদের বিচার না করে সহযোগীদের বিচার করা যায় না। তিনি বলেন, এটি একটি রাজনৈতিক মামলা। বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে এ মামলার আসামি কাদের মোল্লা বিভিন্ন সভায় অংশ নিয়েছেন। এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম ৪০ বছর পর শুরু করা হয়েছে। তাতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু এর সপক্ষে রাষ্ট্রপক্ষ সঠিক কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।
আবদুর রাজ্জাক মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আরও কয়েকটি আইনগত দিক নিয়ে যুক্তি তুলে ধরেন। যুক্তি উপস্থাপন অসমাপ্ত অবস্থায় এ মামলার কার্যক্রম আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি করেন ট্রাইব্যুনাল।
কাদের মোল্লা নয়, জরিমানা দেবেন আইনজীবী: একই ধরনের আবেদন চারবার করায় কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে দেওয়া ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ গতকাল পুনর্বিবেচনা করেন ট্রাইব্যুনাল-২। কাদের মোল্লার আইনজীবী ফরিদ উদ্দিন খান ওই আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়ে বলেন, আইনজীবীদের ভুলের কারণে তাঁকে জরিমানা করা হয়েছে। এ দায় আইনজীবীদের।
পরে ট্রাইব্যুনাল আদেশে বলেন, কাদের মোল্লাকে জরিমানা দিতে হবে না। তাঁর আইনজীবী ফরিদ উদ্দিন পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা দেবেন। জরিমানার এ টাকা ৯ জানুয়ারির মধ্যে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামে দান করে এ-সংক্রান্ত রসিদ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার কাদের মোল্লাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
গোলাম আযমের পক্ষে আসামিপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণ আজ: বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে দুই সদস্যের (চেয়ারম্যান অনুপস্থিত ছিলেন) ট্রাইব্যুনাল-১ গতকাল গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মামলায় আসামিপক্ষের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন। মামলার কার্যক্রম একদিন মুলতবির আবেদন জানিয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার আসামিপক্ষের প্রথম সাক্ষী ও গোলাম আযমের ছেলে আবদুল্লাহিল আমান আজমী তাঁর অসমাপ্ত জবানবন্দি দেবেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জেয়াদ-আল-মালুম এ আবেদনের বিরোধিতা করেন। পরে মঙ্গলবার আসামিপক্ষের সাক্ষী হাজিরের নিশ্চয়তা নিয়ে ট্রাইব্যুনাল এক দিনের জন্য কার্যক্রম মুলতবি করেন।
এদিকে বেসরকারি টিভি চ্যানেল এটিএন নিউজ এবং রাষ্ট্রায়ত্ত টিভি চ্যানেল বিটিভির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনেছে আসামিপক্ষ। ১০ জানুয়ারি এ আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।
No comments