কনের নয়, বোনের সাজ by রয়া মুনতাসীর
সাজের কথা উঠলেই তিরের বেগে প্রশ্ন ছুটে আসছে; কিশোরীদের নাকি সাজতে মানা, দেখতে ভালো লাগে না। কিন্তু কনের বোন বলে কথা। বিয়েতে সবার নজর কিন্তু তাঁর দিকেও থাকবে।
এ ক্ষেত্রে নিজেকে সাজিয়ে তোলার পর্বটি বাড়িতেই সেরে ফেলতে হয় অনেক সময়। সহজে সাজতে পারবেন, এমন কয়েকটি সাজ তুলে ধরা হলো নকশার এই আয়োজনে।
রূপবিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান বলেন, কম সাজেই কিশোরীদের বেশি ভালো লাগে। তবে পরিবারের কাছের কারও বিয়েতে সাজার সুযোগটা চলে আসে। এ ক্ষেত্রে মেকআপের বেসটা খুব ভালোভাবে করে চোখের সাজটা জমকালোভাবে করা যেতে পারে। ফিউশনধর্মী লুক আনা যায়।
একই বয়সের অনেকজন থাকলে একই থিম ধরে সবাই সাজা যায়। সাজে কোনো একটি অংশ একই রকম হতে পারে। চোখের সাজ কিংবা চুল বাঁধার স্টাইলটি এক রকম করে করা যায়। বেনারসি বা কাতান নয়; বরং অন্য উপকরণে তৈরি পোশাকই কিশোরী বয়সটার জন্য বেশি উপযুক্ত। শিফন, জর্জেট, মসলিন কিংবা নেটের তৈরি পোশাক বা শাড়ি বেছে নিন।
ফ্যাশন ডিজাইনার মায়া রহমান জানান, এ বয়সের জন্য শাড়ি, টিউনিক, আনারকলি চুড়িদার-কামিজ, জমকালো কাফতান ও কিমোনো মানানসই হবে। পোশাকটা একটু পাশ্চাত্য ছাঁটে কাটা হতে পারে। তবে পোশাকের ওপরের কাজটা দেশীয় নকশায় হলে দেখতে বেশি ভালো লাগবে। পোশাকের রং যা-ই হোক না কেন, উজ্জ্বলতার ছোঁয়া থাকতে হবে। কাফতান ও কিমোনোর সঙ্গে জমকালো স্কার্ফ ব্যবহার করা যেতে পারে। খুব ভারী গয়না না পরাই ভালো বলে জানান মায়া রহমান। শাড়ির নকশার ক্ষেত্রে কালার ব্লকিং কনসেপ্টটি বেছে নেওয়া যেতে পারে। আঁচলে একধরনের নকশা, কুঁচিতে আরেক রঙের নকশা থাকলে কিশোর বয়সটির ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানিয়ে যাবে।
ব্লাউজটি আকর্ষণীয় করে তৈরি করলে সাজে বৈচিত্র্য চলে আসবে। ব্লাউজে কিমোনো হাই নেক ও বোট নেক ভালো লাগবে। বড় হাতা, ছোট হাতা ও স্লিভলেস হাতা ব্যবহার করা যেতে পারে। পাতলা শাড়ি হলে জ্যাকেট ব্লাউজ দিয়েও পরা যেতে পারে। তবে ব্লাউজ যদি বেশি ভারী কাজের হয়, তাহলে শাড়িটি হালকা কাজের হতে হবে।
১. চোখের ওপরে কমলা রং ব্যবহারে উজ্জ্বল লাগবে
২. চোখের নিচেও ব্রাশ দিয়ে হালকাভাবে লাগিয়ে নিন
৩. কাজল গাঢ় করে টানুন
৪. এবার ব্রাশ দিয়ে নিচের অংশের কাজল ব্লেন্ড করে দিন
৫. ওপরের পাতার মাঝের থেকে শেষের অংশটুকু কালো রং দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন
৬. যেকোনো চোখের সাজে সম্পূর্ণ ভাব আনতে মাসকারা ব্যবহার করতে হবে
৭. গাঢ় কমলা রঙের লিপস্টিক বেছে নিন
১. আইলাইনার বা কাজল দিয়ে চোখ টানতে পারেন। নিচের দিকে অর্ধেক কালো এবং অর্ধেক সোনালি আইশ্যাডো লাগান।
২. কাজলটি টানা টানা করে দিন
৩-৪. গাঢ় লাল নিন লিপস্টিকের জন্য
৫. শেষ পর্বে সামনের চুলগুলোকে আবার কোঁকড়া করে নিন। পেছনের চুলগুলোকে একপাশে নিয়ে খোঁপা করুন
কনের নয়, বোনের সাজ
১. যেকোনো মেকআপের জন্যই বেস খুব ভালো করে করতে হবে
২. কাজল দিয়ে ভুরুর অংশকে গুছিয়ে এঁকে নিন
৩. চোখের পাতার নিচের দিকে হালকা নীল, ওপরে রুপালি রঙের হাইলাইট ব্যবহার করতে হবে
৪. নিচের থেকে ওপরের দিকে ব্লাশঅন টানতে হবে
৫. মোটা করে কাজল দিন
৬. হালকা রঙের লিপস্টিক দিন
৭. সবশেষে মাসকারা দিন
কনের নয়, বোনের সাজ
১. বেস মেকআপের পর চোখের সাজের আগে অবশ্যই নিচে আলগা করে পাউডার দিয়ে দেবেন। এতে করে চোখের নিচে কোনো ধরনের দাগ লেগে যাবে না।
২. চোখের নিচের অংশের কাজল ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিন হালকা করে। এতে একটু স্মোকি ভাব আসবে
৩. চোখের পাতার ওপরে গাঢ় নীল রঙের আইশ্যাডো দেওয়া হচ্ছে। গাঢ় নীল টোন আনার জন্য দরকার হলে কালো রঙের আইশ্যাডো ব্লেন্ড করে দিন
৪. হালকা রঙের লিপস্টিক বেছে নিন। এতে চোখের সাজটি প্রাধান্য পাবে
৫. সবশেষে আলগাভাবে লাগানো পাউডারটি ব্রাশ দিয়ে সরিয়ে দিন
ভাই বা বোনের বিয়েতে সাজতে পারেন নানা ঢঙে। মডেল: বিপাশা ও আশা পোশাক: ড্রেসিডেল সাজ: পারসোনা
প্রথম আলো স্টুডিওতে ছবিগুলো তুলেছেন কবির হোসেন
রূপবিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান বলেন, কম সাজেই কিশোরীদের বেশি ভালো লাগে। তবে পরিবারের কাছের কারও বিয়েতে সাজার সুযোগটা চলে আসে। এ ক্ষেত্রে মেকআপের বেসটা খুব ভালোভাবে করে চোখের সাজটা জমকালোভাবে করা যেতে পারে। ফিউশনধর্মী লুক আনা যায়।
একই বয়সের অনেকজন থাকলে একই থিম ধরে সবাই সাজা যায়। সাজে কোনো একটি অংশ একই রকম হতে পারে। চোখের সাজ কিংবা চুল বাঁধার স্টাইলটি এক রকম করে করা যায়। বেনারসি বা কাতান নয়; বরং অন্য উপকরণে তৈরি পোশাকই কিশোরী বয়সটার জন্য বেশি উপযুক্ত। শিফন, জর্জেট, মসলিন কিংবা নেটের তৈরি পোশাক বা শাড়ি বেছে নিন।
ফ্যাশন ডিজাইনার মায়া রহমান জানান, এ বয়সের জন্য শাড়ি, টিউনিক, আনারকলি চুড়িদার-কামিজ, জমকালো কাফতান ও কিমোনো মানানসই হবে। পোশাকটা একটু পাশ্চাত্য ছাঁটে কাটা হতে পারে। তবে পোশাকের ওপরের কাজটা দেশীয় নকশায় হলে দেখতে বেশি ভালো লাগবে। পোশাকের রং যা-ই হোক না কেন, উজ্জ্বলতার ছোঁয়া থাকতে হবে। কাফতান ও কিমোনোর সঙ্গে জমকালো স্কার্ফ ব্যবহার করা যেতে পারে। খুব ভারী গয়না না পরাই ভালো বলে জানান মায়া রহমান। শাড়ির নকশার ক্ষেত্রে কালার ব্লকিং কনসেপ্টটি বেছে নেওয়া যেতে পারে। আঁচলে একধরনের নকশা, কুঁচিতে আরেক রঙের নকশা থাকলে কিশোর বয়সটির ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানিয়ে যাবে।
ব্লাউজটি আকর্ষণীয় করে তৈরি করলে সাজে বৈচিত্র্য চলে আসবে। ব্লাউজে কিমোনো হাই নেক ও বোট নেক ভালো লাগবে। বড় হাতা, ছোট হাতা ও স্লিভলেস হাতা ব্যবহার করা যেতে পারে। পাতলা শাড়ি হলে জ্যাকেট ব্লাউজ দিয়েও পরা যেতে পারে। তবে ব্লাউজ যদি বেশি ভারী কাজের হয়, তাহলে শাড়িটি হালকা কাজের হতে হবে।
১. চোখের ওপরে কমলা রং ব্যবহারে উজ্জ্বল লাগবে
২. চোখের নিচেও ব্রাশ দিয়ে হালকাভাবে লাগিয়ে নিন
৩. কাজল গাঢ় করে টানুন
৪. এবার ব্রাশ দিয়ে নিচের অংশের কাজল ব্লেন্ড করে দিন
৫. ওপরের পাতার মাঝের থেকে শেষের অংশটুকু কালো রং দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন
৬. যেকোনো চোখের সাজে সম্পূর্ণ ভাব আনতে মাসকারা ব্যবহার করতে হবে
৭. গাঢ় কমলা রঙের লিপস্টিক বেছে নিন
১. আইলাইনার বা কাজল দিয়ে চোখ টানতে পারেন। নিচের দিকে অর্ধেক কালো এবং অর্ধেক সোনালি আইশ্যাডো লাগান।
২. কাজলটি টানা টানা করে দিন
৩-৪. গাঢ় লাল নিন লিপস্টিকের জন্য
৫. শেষ পর্বে সামনের চুলগুলোকে আবার কোঁকড়া করে নিন। পেছনের চুলগুলোকে একপাশে নিয়ে খোঁপা করুন
কনের নয়, বোনের সাজ
১. যেকোনো মেকআপের জন্যই বেস খুব ভালো করে করতে হবে
২. কাজল দিয়ে ভুরুর অংশকে গুছিয়ে এঁকে নিন
৩. চোখের পাতার নিচের দিকে হালকা নীল, ওপরে রুপালি রঙের হাইলাইট ব্যবহার করতে হবে
৪. নিচের থেকে ওপরের দিকে ব্লাশঅন টানতে হবে
৫. মোটা করে কাজল দিন
৬. হালকা রঙের লিপস্টিক দিন
৭. সবশেষে মাসকারা দিন
কনের নয়, বোনের সাজ
১. বেস মেকআপের পর চোখের সাজের আগে অবশ্যই নিচে আলগা করে পাউডার দিয়ে দেবেন। এতে করে চোখের নিচে কোনো ধরনের দাগ লেগে যাবে না।
২. চোখের নিচের অংশের কাজল ব্রাশ দিয়ে ঘষে নিন হালকা করে। এতে একটু স্মোকি ভাব আসবে
৩. চোখের পাতার ওপরে গাঢ় নীল রঙের আইশ্যাডো দেওয়া হচ্ছে। গাঢ় নীল টোন আনার জন্য দরকার হলে কালো রঙের আইশ্যাডো ব্লেন্ড করে দিন
৪. হালকা রঙের লিপস্টিক বেছে নিন। এতে চোখের সাজটি প্রাধান্য পাবে
৫. সবশেষে আলগাভাবে লাগানো পাউডারটি ব্রাশ দিয়ে সরিয়ে দিন
ভাই বা বোনের বিয়েতে সাজতে পারেন নানা ঢঙে। মডেল: বিপাশা ও আশা পোশাক: ড্রেসিডেল সাজ: পারসোনা
প্রথম আলো স্টুডিওতে ছবিগুলো তুলেছেন কবির হোসেন
No comments