টিপাইমুখ নিয়ে প্রতিবাদ করুন আমরাও সঙ্গে আছি : খালেদা by মোশাররফ বাবলু ও আবু হাসান,

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, 'আওয়ামী লীগ জনগণের সরকার নয়, তাঁবেদার সরকার। তাই টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণে কোনো প্রতিবাদ করছে না। সীমান্তে মানুষ হত্যার প্রতিবাদ করছে না। ওরা ৫২ নদীতে বাঁধ দিয়েছে। যে কারণে আমাদের নদীগুলো শুকিয়ে গেছে।' তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, 'ভয়ের কিছু নেই। প্রতিবাদ করুন, আমরাও আপনাদের সঙ্গে থাকব। এই নদী শুধু ভারতের নয়, এতে আমাদের ন্যায্য অধিকার রয়েছে।


প্রতিবাদ করে অধিকার আদায় করতে হবে।' গতকাল মঙ্গলবার ধামরাইয়ের হার্ডিঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল আয়োজিত এক ছাত্র গণজমায়েতে তিনি এসব কথা বলেন। দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৪৭তম জন্মদিন উপলক্ষে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বক্তব্যের আগে খালেদা জিয়া মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১২টি ল্যাপটপ বিতরণ করেন। এ ছাড়া তিনি গরিব ও দুস্থদের মধ্যে গরু-ছাগল ও সেলাই মেশিন বিতরণ করেন।

খালেদা জিয়া বলেন, সরকারকে যেকোনো মূল্যে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। আওয়ামী লীগ ভালোভাবে জানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তারা এমনভাবে পরাজিত হবে যে মানুষের কাছে মুখ দেখাতেও পারবে না। এজন্যই তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় পায়।
বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে খালেদা জিয়া অনুষ্ঠানস্থলে পেঁৗছেন। তাঁকে স্বাগত জানাতে মিরপুর টেকনিক্যাল থেকে অনুষ্ঠানস্থল পর্যন্ত দুই শতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়। জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবিযুক্ত ব্যানার ফেস্টুন দিয়ে এসব সুসজ্জিত করা হয়। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের দুই পাশে নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা খালেদা জিয়াকে হাত নেড়ে স্বাগত জানান। তিনিও হাত নেড়ে জবাব দেন। এ সময় মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলে দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীদের।
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, তারেক রহমানই এ দেশের রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন এনেছিল। তৃণমূল পর্যায়ে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধান করে দেশ গড়ার চিন্তা করেছিল। দেশের গ্রাম, রাস্তা, পুকুর, মসজিদ, কালভার্ট, স্কুল, কলেজসহ দেশের মানুষের সার্বিক পরিসংখ্যান সে সংগ্রহ করেছিল। কোন এলাকায় কোন সমস্যা তাও কম্পিউটারে ধারণ করেছিল। তারেক এ দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে চেয়েছিল। এ জন্যই শুরু হয় তার বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র। জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধেও এ ধরনের ষড়যন্ত্র হয়। কিন্তু দেশের জনগণ তা বাস্তবায়ন হতে দেয়নি। তারেক রহমানের বিরুদ্ধেও কোনো ষড়যন্ত্র দেশবাসী বাস্তবায়িত হতে দেবে না।
খালেদা জিয়া তারেকের জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করে বলেন, 'সে যেন আপনাদের মাঝে সুস্থ হয়ে ফিরে আসতে পারে সেজন্য দোয়া করবেন।' তিনি তারেক রহমানের মা হিসেবে জনগণকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। একই সঙ্গে সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে যুব সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।
খালেদা জিয়া আরো বলেন, দেশের মুদ্রাস্ফীতি ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেলে জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। কাগজের নোট ছাপিয়ে তারা মুদ্রাস্ফীতি রোধ করতে চায়। কিন্তু তা পারবে না। যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, তাতে সরকার দেশ চালাতে পারবে না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই দেশে জাল টাকার ব্যবসা শুরু হয়। সব অপকর্মের সঙ্গে আওয়ামী লীগ জড়িত। তিনি আরো বলেন, 'দেশে ধান উঠেছে অথচ কৃষকরা ধানের দাম পাচ্ছে না। সরকার কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনছে না। উপরন্তু কৃষি উপকরণের দাম বাড়িয়েছে। আমাদের সময়ের ২৬০ টাকার ইউরিয়া সার এখন এক হাজার ৬০ টাকায় বিক্রি হয়। অথচ তারা বিনা মূল্যে সার দেওয়ার কথা বলেছিল। এ অবস্থায় কৃষকরা ভবিষ্যতে কৃষি কাজ করতে উৎসাহিত হবে না। একই অবস্থা পাটের ও চামড়ার। ব্যাংক ঋণ দেওয়ায় কোরবানির চামড়ার দাম পড়ে গেছে। সব চামড়া প্রতিবেশী দেশে চলে যাবে। সরকার এমন অবস্থা তৈরি করেছে যে এ দেশের কাঁচামাল চলে যাচ্ছে প্রতিবেশী দেশে। সেখান থেকে আসছে তৈরি পণ্য। এভাবে আমাদের দেশীয় শিল্প ধ্বংস করা হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশকে আধিপত্য বিস্তারের সব ব্যবস্থা করে দিয়েছে সরকার। সন্দেহ হয় বাংলাদেশের সত্যিকার স্বাধীনতা আছে কি না। এ প্রশ্ন এ দেশের মানুষের।'
বিএনপিপ্রধান বলেন, জিয়া দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই স্বাধীন দেশ কোনো দেশের প্রদেশ হতে পারে না। যুবকরা তা হতে দেবে না। তিনি যুবকদের বলেন, 'সারা বিশ্বের মানুষ জেগে উঠেছে। তোমরা টেলিভিশন ফেসবুক খুলে দেখো। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যুবকরা আন্দোলন করছে। তোমাদের শুধু ঘরে বসে থাকলে চলবে না। তাহলে কোনো চাকরি পাবে না, ব্যবসাও করতে পারবে না।'
খালেদা জিয়া বলেন, 'খবরের কাগজ খুললেই দেখা যায় প্রতিদিন ভালো ভালো ছেলেদের হত্যা করা হচ্ছে। জাতীয়তাবাদী ছেলেদের হত্যা করা হচ্ছে। রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। জেল-জুলুম, হত্যা-নির্যাতন করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে না। আমরা থাকতে দেব না। দেশের মানুষ আজ জেগেছে। নিজেরে বাঁচার জন্য জাগতে হবে। যেকোনো মূল্যে এ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে।' তিনি বলেন, "তাদের জোটের নেতা ইনু বলেছেন, 'এ সরকার বেইমান সরকার।' তাদের জোটের লোকেরাই এসব বলছে, আমরা কী বলব? বিদ্যুৎ নিয়ে কথা বললে বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেবে। কত বড় ব্যর্থ সরকার হলে এ ধরনের কথা বলে।"
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, 'সরকার দেশকে ভয়াবহ সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের কেউ বিশ্বাস করে না। গরিব মানুষের ভিজিএফের চাল তারা বিক্রি করে দেয়। পদ্মা সেতুর টাকা আত্মসাৎ করেছে। তদন্ত করে বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। তাই টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ সরকার বলছে, বিএনপি দুর্নীতি করেছে। আমি বলি বিএনপি দুর্নীতি করেনি, আপনারাই দুর্নীতি করেছেন। নিজেরা চুরি করবেন আর অন্যের ঘাড়ে দায় চাপাবেন, তা হবে না। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, আইডিবি, জাইকা সব প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে। প্রকল্পে কাজ না হলে মানুষ কাজ পাবে না। না খেয়ে থাকবে।
সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া বলেন, স্পিকারও বলেছেন এভাবে দেশ চলতে পারে না। তাই সরকারের উচিত এখনই সংসদ ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
খালেদা জিয়া বলেন, বিএনপির সময় শেয়ারবাজার ভালো ছিল। শেয়ারবাজার থেকে এই সরকার এক লাখ কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। তাই সারা বিশ্বে ডলারের দাম কমলেও বাংলাদেশে ডলারের দাম বেড়েছে। কে কত টাকা কোথায় পাচার করছে সব তথ্য আমাদের কাছে আছে। সময়মতো সবার বিচার হবে। কাউকে ছাড়া হবে না। গরিবদের টাকাও ফেরত দেওয়া হবে।
টেলিকম সেক্টরের রেভিনিউ থেকে তিন হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, একটা দেশের জন্য তিন হাজার কোটি টাকা কিছুই নয়। এ টাকা দিয়ে কত দিন দেশ চালাতে পারবে? এই টেলিকম সেক্টরেও লুটপাট হচ্ছে। ভিওআইপির সঙ্গে কারা জড়িত সব জানা আছে। সময়মতো তাদের ধরা হবে। সব টাকা ফেরত আনা হবে। আপনাদের দুর্নীতিকে চুরি বললে ভুল হবে। আপনারা জনগণকে বোকা বানিয়ে ডাকাতি করছেন। একবার ক্ষমতায় এসে আপনাদের পরিবারের সদস্যরা ব্যাংক ডাকাতি করেছিল। এবার আপনারা গরিবের টাকা ডাকাতি করেছেন। একদিন এসবের হিসাব দিতে হবে। তিনি বলেন, এই সরকারের আমলে পাঁচ সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। দেশের মানুষ কেউ নিরাপদ নয়। এই সাংবাদিক ভাইয়েরাও এখন ভালো নেই। তাঁরাও পরিবার নিয়ে ভালোভাবে থাকতে পারছেন না।
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধ করে যখন দেশ স্বাধীন করতে পেরেছি তখন এই জালিম সরকারের বিরুদ্ধেও লড়াই করে দেশ রক্ষা করতে পারব ইনশাআল্লাহ। এ মাসের ২৬-২৭ তারিখে খুলনা রোডমার্চ, এরপর চট্টগ্রাম রোডমার্চের পর যে সরকার হটাও কর্মসূচি দেব সেই কর্মসূচিতে মা-বোন সবাইকে অংশগ্রহণ করতে হবে। যুবকদেরও অংশ নিতে হবে। তিনি বলেন, ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি ফখরুদ্দীন-মইন উদ্দিনরা নির্বাচন বানচাল করে ক্ষমতায় এসেছিল। তারা তারেক রহমানকে বিদেশে চলে যেতে বাধ্য করতে চেয়েছিল। কিন্তু সে বিদেশে যেতে রাজি না হওয়ায় তাকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করে তার মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সে এখনো ভালোভাবে হাঁটতে পারে না।
খালেদা জিয়া বলেন, একসময় তারা আমাকেও দেশের বাইরে যেতে বলেছিল। আমি একই কথা বলেছিলাম_দেশের বাইরে আমার কিছু নেই। কোথাও আমার ঠিকানা নেই। এই দেশের মাটি ও মানুষই আমার ঠিকানা। তাদের ছেড়ে আমি কোথাও যাব না। তখন তারা কোকোকে ধরে নিয়ে গেল। আমাকে এসে বলল, আপনি যদি বিদেশে না যান তাহলে কোকোর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দেব। তবুও আমি রাজি হইনি। তিনি বলেন, আজকে বিচার বিভাগ স্বাধীন নয়। দেশের একজন বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বলেছেন, বিচার বিভাগে চেহারা দেখে রায় দেওয়া হয়। এই অবস্থার অবসান হতেই হবে।
খালেদা জিয়া বলেন, এই আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসেনি। তারা ক্ষমতায় এসেছে মইন উদ্দিন-ফখরুদ্দীন আর বিদেশের বস্তা বস্তা টাকায়। তারা ক্ষমতায় আসার আগে যেসব ওয়াদা করেছিল একটাও পালন করেনি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সব আওয়ামী লীগের দখলে। ভর্তি হতে গেলে ছাত্রলীগকে টাকা দিতে হয়। মেয়েদের ওপর অত্যাচার চালায়। দেশের কোনো মানুষ ব্যবসা করতে পারে না। সব ব্যবসা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ করবে।
বিরোধীদলীয় নেতা আরো বলেন, দেশের ব্যাংকে টাকা নেই। প্রতিদিন ১২০ কোটি টাকার ওপর ঋণ নিচ্ছে সরকার। এতে ব্যাংকগুলো দেউলিয়া হওয়ার পথে। মানুষ চেক দিয়ে নিজের অ্যাকাউন্টের টাকাও পাচ্ছে না। সরকার ঋণ নেওয়ার ফলে ব্যবসায়ীরা ঋণ পাচ্ছেন না। দেশের অর্থনীতি আজ রসাতলে। শিল্প-কলকারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। গার্মেন্ট শিল্পগুলো প্রতিবেশী দেশ কিনে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
গণজমায়েতে ঢাকা, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল জেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিলসহকারে অংশ নেন। বিদ্যালয়ের মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে জনতার ঢল পাশের ঈদগাহ, পৌরসভা ভবন, থানা রোড, ইসলামপুর গোডাউন মোড় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। খালেদা জিয়া অনুষ্ঠানস্থলে পেঁৗছালে জনতা করতালি ও বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে প্রিয় নেত্রীকে বরণ করে নেয়। গণজমায়েতে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু। পরিচালনা করেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম।
সমাবেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বাংলাদেশ থেকে বিদেশে টাকা পাঠানোর কোনো সাক্ষী নেই এর পরও মানি লন্ডারিংয়ের মামলা দেওয়া হয়েছে। আট বছর আগের গ্রেনেড হামলার মামলায় জড়ানো হয়েছে। দেশনেত্রীকে সহায়তা করা জন্য তারেক রহমানকে আমাদের এখন খুবই দরকার। তিনি বলেন, আসুন আমরা সবাই দেশনেত্রীর ডাকে দুর্বার গণ-আন্দোলন গড়ে তুলি। যেন এই সরকার পদত্যাগে বাধ্য হয়।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, নির্যাতনের শিকার তারেক রহমান আজ লন্ডনে চিকিৎসারত। ফখরুদ্দীন-মইন উদ্দিনের সরকার তারেক রহমানকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিল। এখন আবার তিনি যাতে দেশে আসতে না পারেন সেই ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, বর্তমান তাঁবেদার সরকারের আমলে দেশ দেউলিয়া হয়ে গেছে। অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। ভারত বরাক নদীতে টিপাইমুখে বাঁধ দিচ্ছে, অথচ নতজানু সরকার কোনো প্রতিবাদ করতে পারছে না। গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
মির্জা আব্বাস বলেন, দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য তারেক রহমানকে প্রয়োজন। একদিন তিনি দেশে ফিরে আসবেন। তিনি বলেন, তারেক রহমানের জনপ্রিয়তাই এই সরকারের ভীতির কারণ।
সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল মান্নান, যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানি এমপি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিমউদ্দিন আলম, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবীর খোকন, যুববিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ধামরাই বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান তমিজউদ্দিন, ধামরাই পৌরসভার মেয়র দেওয়ান নাজিমউদ্দিন মঞ্জু, ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রেজাউল কবীর পল, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ প্রমুখ। এ ছাড়া মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা, যুগ্ম মহাসচিব বরকতউল্লাহ বুলু প্রমুখ।
গণজমায়েত শেষে খালেদা জিয়া ধামরাইয়ে মুন্নু সিরামিকস রেস্ট হাউসে ওঠেন এবং স্থানীয় বিএনপির নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান হারুনার রশিদ খান মুন্নুর মেয়ে আফরোজা খানম রীতা। এরপর তিনি ঢাকায় চলে যান।

No comments

Powered by Blogger.