বসুন্ধরা সিমেন্টের সেমিনারে বক্তারা-অপরিকল্পিত দালান গড়ে কোটি মানুষকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে
আধুনিক নগরজীবনের প্রায় সব সুযোগ-সুবিধা এখন ঢাকা শহরে রয়েছে। এ কারণে প্রতিনিয়ত শত শত মানুষ জীবন ও জীবিকার সন্ধানে ছুটে আসছেন রাজধানীতে। অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠছে দালানকোঠা। আর অপরিকল্পিতভাবে দালানকোঠা গড়ে কোটি মানুষকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এ শহরে ভূকম্পনের ঝুঁকি যেভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
গত সোমবার রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইইবি) সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত 'র্যাশনাল, প্রোসেস অ্যান্ড এলিমেন্টস অব ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট মাস্টার প্ল্যান ফর ঢাকা' শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন। আইইবি, ঢাকা সেন্টার ও বাংলাদেশ আর্থকোয়েক সোসাইটি (বিইএস) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারটি আয়োজনে সহযোগিতা করে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিইএসের সভাপতি অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ঢাকা শহরে যেভাবে অপরিকল্পিতভাবে দালানকোঠা গড়ে উঠছে তাতে কোটি মানুষকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। পুরান ঢাকার শাঁখারি বাজারের দালান ধসের উদাহরণ দিয়ে জামিলুর রেজা বলেন, 'যেকোনো মুহূর্তে একটি বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে শহরের লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষ করে, ঢাকা শহরের বিভিন্ন তৈরি পোশাক কারখানার হাজার হাজার শ্রমিক নিহত বা আহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।' এ কারণে তিনি ঝুঁকি মোকাবিলায় পূর্বপ্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে পরিকল্পিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
তবে গুরুত্বপূর্ণ এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারের উদাসীনতার কথা উল্লেখ করে আইইবি, ঢাকা সেন্টারের চেয়ারম্যান মুনীর উদ্দিন আহমেদ বলেন, 'ভূমিকম্পের মতো মারাত্মক দুর্যোগ মোকাবিলায় গত ৪০ বছরে সরকারের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। এমনকি এখনো তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই। ভূমিকম্প-পরবর্তী উদ্ধার কর্মসূচি পরিচালনার মতো আধুনিক প্রযুক্তিও নেই।'
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আর্থকোয়েক অ্যান্ড মেগাসিটিজ ইনিশিয়েটিভ (আইএমআই) ইউএসএর চেয়ারম্যান ড. ফুয়াদ বেনডিমেরেড। এ সময় তিনি ঢাকা শহরের মতো ভূকম্পনপ্রবণ এলাকার ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ওপর একটি বিষদ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এই পরিকল্পনাটি ইস্তাম্বুল, আম্মান, কাঠমাণ্ডু, মুম্বাই ও ম্যানিলাসহ বেশ কয়েকটি মেগাসিটির ভূকম্পনের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আলোকে তৈরি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সেমিনারে ফুয়াদ বেনডিমেরেড বলেন, মেগাসিটি হিসেবে পরিচিত ঢাকা শহর বর্তমানে বিশ্বের কাছে ভূকম্পনপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। এ শহরের ভূকম্পনে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকিও অনেক বেশি। তাই ঝুঁকি প্রশমনে একটি মহাপরিকল্পনা (মাস্টার প্ল্যান) গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বলেন, ১০ থেকে ১৫ বছর মেয়াদি এই মহাপরিকল্পনার জন্য বেশ বড়সড় একটি বাজেটের প্রয়োজন রয়েছে এবং এটি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের ভিন্নধর্মী একটি প্রশিক্ষণও দিতে হবে।
সেমিনারে ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইইবি)-এর সভাপতি প্রকৌশলী মো. নূরুল হুদা বলেন, ভূমিকম্পের ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যে দুর্যোগব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগব্যবস্থা কমিটির সঙ্গে কাজ করছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। ঢাকা শহরকে পরিকল্পিত, পরিবেশবান্ধব ও বাসযোগ্য করার লক্ষ্যে রাজউক পর্যায়ক্রমে ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) বাস্তবায়নের কাজ হাতে নিয়েছে এবং সরকার ড্যাপ বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আগামী দিনগুলোয় ড্যাপ বাস্তবায়নের জন্য তিনি সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
সেমিনারে উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্নের জবাব দেন আইএমআইয়ের চেয়ারম্যান ড. ফুয়াদ বেনডিমেরেড ও বিইএসের সভাপতি অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী। সেমিনারটি আয়োজনে সহযোগিতা করায় দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপকে আনুষ্ঠানিক ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে সেমিনারের সমাপ্তি ঘোষণা করেন আইইবি, ঢাকা সেন্টারের ভাইস চেয়ারম্যান এম শাহাদাত হোসেন (শেলী)।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিইএসের সভাপতি অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ঢাকা শহরে যেভাবে অপরিকল্পিতভাবে দালানকোঠা গড়ে উঠছে তাতে কোটি মানুষকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। পুরান ঢাকার শাঁখারি বাজারের দালান ধসের উদাহরণ দিয়ে জামিলুর রেজা বলেন, 'যেকোনো মুহূর্তে একটি বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে শহরের লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষ করে, ঢাকা শহরের বিভিন্ন তৈরি পোশাক কারখানার হাজার হাজার শ্রমিক নিহত বা আহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।' এ কারণে তিনি ঝুঁকি মোকাবিলায় পূর্বপ্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে পরিকল্পিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
তবে গুরুত্বপূর্ণ এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারের উদাসীনতার কথা উল্লেখ করে আইইবি, ঢাকা সেন্টারের চেয়ারম্যান মুনীর উদ্দিন আহমেদ বলেন, 'ভূমিকম্পের মতো মারাত্মক দুর্যোগ মোকাবিলায় গত ৪০ বছরে সরকারের কোনো পরিকল্পনা ছিল না। এমনকি এখনো তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই। ভূমিকম্প-পরবর্তী উদ্ধার কর্মসূচি পরিচালনার মতো আধুনিক প্রযুক্তিও নেই।'
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আর্থকোয়েক অ্যান্ড মেগাসিটিজ ইনিশিয়েটিভ (আইএমআই) ইউএসএর চেয়ারম্যান ড. ফুয়াদ বেনডিমেরেড। এ সময় তিনি ঢাকা শহরের মতো ভূকম্পনপ্রবণ এলাকার ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার ওপর একটি বিষদ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এই পরিকল্পনাটি ইস্তাম্বুল, আম্মান, কাঠমাণ্ডু, মুম্বাই ও ম্যানিলাসহ বেশ কয়েকটি মেগাসিটির ভূকম্পনের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আলোকে তৈরি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
সেমিনারে ফুয়াদ বেনডিমেরেড বলেন, মেগাসিটি হিসেবে পরিচিত ঢাকা শহর বর্তমানে বিশ্বের কাছে ভূকম্পনপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। এ শহরের ভূকম্পনে ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকিও অনেক বেশি। তাই ঝুঁকি প্রশমনে একটি মহাপরিকল্পনা (মাস্টার প্ল্যান) গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বলেন, ১০ থেকে ১৫ বছর মেয়াদি এই মহাপরিকল্পনার জন্য বেশ বড়সড় একটি বাজেটের প্রয়োজন রয়েছে এবং এটি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের ভিন্নধর্মী একটি প্রশিক্ষণও দিতে হবে।
সেমিনারে ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইইবি)-এর সভাপতি প্রকৌশলী মো. নূরুল হুদা বলেন, ভূমিকম্পের ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যে দুর্যোগব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগব্যবস্থা কমিটির সঙ্গে কাজ করছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। ঢাকা শহরকে পরিকল্পিত, পরিবেশবান্ধব ও বাসযোগ্য করার লক্ষ্যে রাজউক পর্যায়ক্রমে ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) বাস্তবায়নের কাজ হাতে নিয়েছে এবং সরকার ড্যাপ বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আগামী দিনগুলোয় ড্যাপ বাস্তবায়নের জন্য তিনি সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
সেমিনারে উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্নের জবাব দেন আইএমআইয়ের চেয়ারম্যান ড. ফুয়াদ বেনডিমেরেড ও বিইএসের সভাপতি অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরী। সেমিনারটি আয়োজনে সহযোগিতা করায় দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী গোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপকে আনুষ্ঠানিক ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে সেমিনারের সমাপ্তি ঘোষণা করেন আইইবি, ঢাকা সেন্টারের ভাইস চেয়ারম্যান এম শাহাদাত হোসেন (শেলী)।
No comments