বিপদ সামলাও-বুদ্ধি দিয়ে by আশিক মুস্তাফা
ঘরে অতিথি আসার আগে কলিংবেল চেপে আসে। কিন্তু বিপদটা তাও করে না। হঠাৎ এসে সব প্ল্যান-প্রোগ্রাম মাটিতে মিশিয়ে দেয়। হতাশায় ভাসিয়ে টুপ করে একটা ডুব দিয়ে হারিয়ে যায়। বিপদ কখনও সময় মাথায় নিয়ে আসে না। যার ঘাড়ে ভর করে, তার অবস্থা সম্পর্কে মোটেও ভাবে না। যে কোনো সময় যে কাউকে নাকানি-চুবানি খাওয়ানোই তার কাজ। তাই বলে বিপদকে তো তোমরা মাথা চাড়া হয়ে দাঁড়াতে দিতে পার না।
শোন, বিপদে পড়লে নিজেই তা সামলে ওঠ। রাজ্যের বন্ধু-বান্ধব থাকলেও তুমি যখন বিপদে পড়বে তারা তখন লেজ গুটিয়ে পালাবে। বিপদ কাটিয়ে নিজেকে নিজেরই রক্ষা করতে হবে। তবে আগে থেকে কিছু বিষয় মাথায় রেখে চললে বিপদ তোমাকে কাবু করতে পারবে না সহজে। যেমন ধর_
ূ রাস্তায় চলার পথে যে গাড়িটাতে তুমি উঠলে, তার নম্বরটা আস্তে কোথাও টুকে রাখবে। যে শহরে তুমি থাক, সে শহরের পুলিশের নম্বরটাও মাথায় রেখ। ফায়ার সার্ভিসের নম্বরটা তো জানাই থাকে সবার; নাকি!
ূ অচেনা জায়গায় প্রিয় মানুষের সঙ্গে সময় কাটাতে যাওয়াই মানে বিপদকে কাঁধে নিয়ে চলা। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় বন্ধু-বান্ধবদের সহযোগিতা নিতে পার। যদি মনে কর বিপদ ভালো করেই জেঁকে বসছে, তখন পরিবারকে ফোন করে জানিয়ে দাও।
ূ কেউ যদি হঠাৎ তোমার পিছু নেয়, তাকে বুঝতে না দিয়ে উল্টো ঘুরে তাকাও তার দিকে। জানোই তো, যারা পিছু নেয় বা ফলো করে, স্বাভাবিকভাবেই তারা আত্মবিশ্বাসী হতে পারে না। তাই ঘুরে দাঁড়ালেই ভড়কে যাবে সে। তবে, জায়গাটা কতটা তোমার অনুকূলে_ সেটাও মাথায় রেখ।
ূে খলার মাঠ বা ক্লাসে কোনো ঝামেলা হলে চাইবে সেটা ঘটনাস্থলেই শেষ করে দিতে। বাইরে গড়াতে দেবে না। তা না হলে বিপদ আছে!
ূ রাস্তায় কেউ গায়ে হাত তুললে প্রথমদিন কিছু না বলে চুপচাপ এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। তবে বারবার করলে তাকে রুখে দাও। প্রয়োজনে নরম হও। নরমে কাজ না হলে গরম হয়ে ভয় পাইয়ে দাও।
ূ এ বয়সটায় রক্ত গরম থাকে সব সময়। তাই বলে, হুটহাট করে যার তার সঙ্গে মারামারি লাগিয়ে বসো না। তবে কারও হাত থেকে যদি নিজেকে বাঁচাতে হয়, তাহলেও শুরুতেই ঝাঁপিয়ে না পড়ে আশপাশের অবস্থা দেখ। কেউ যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়, তাহলে তো সোনায় সোহাগা!
তবে ভাই, কখন কোন বিপদ কাকে পেয়ে বসে_ তা কেউ বলতে পারে না। চোখ-কান খোলা রাখলেই হয়। বিপদ কাটানো কোনো ব্যাপারই হয় না তখন!
ূ রাস্তায় চলার পথে যে গাড়িটাতে তুমি উঠলে, তার নম্বরটা আস্তে কোথাও টুকে রাখবে। যে শহরে তুমি থাক, সে শহরের পুলিশের নম্বরটাও মাথায় রেখ। ফায়ার সার্ভিসের নম্বরটা তো জানাই থাকে সবার; নাকি!
ূ অচেনা জায়গায় প্রিয় মানুষের সঙ্গে সময় কাটাতে যাওয়াই মানে বিপদকে কাঁধে নিয়ে চলা। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় বন্ধু-বান্ধবদের সহযোগিতা নিতে পার। যদি মনে কর বিপদ ভালো করেই জেঁকে বসছে, তখন পরিবারকে ফোন করে জানিয়ে দাও।
ূ কেউ যদি হঠাৎ তোমার পিছু নেয়, তাকে বুঝতে না দিয়ে উল্টো ঘুরে তাকাও তার দিকে। জানোই তো, যারা পিছু নেয় বা ফলো করে, স্বাভাবিকভাবেই তারা আত্মবিশ্বাসী হতে পারে না। তাই ঘুরে দাঁড়ালেই ভড়কে যাবে সে। তবে, জায়গাটা কতটা তোমার অনুকূলে_ সেটাও মাথায় রেখ।
ূে খলার মাঠ বা ক্লাসে কোনো ঝামেলা হলে চাইবে সেটা ঘটনাস্থলেই শেষ করে দিতে। বাইরে গড়াতে দেবে না। তা না হলে বিপদ আছে!
ূ রাস্তায় কেউ গায়ে হাত তুললে প্রথমদিন কিছু না বলে চুপচাপ এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। তবে বারবার করলে তাকে রুখে দাও। প্রয়োজনে নরম হও। নরমে কাজ না হলে গরম হয়ে ভয় পাইয়ে দাও।
ূ এ বয়সটায় রক্ত গরম থাকে সব সময়। তাই বলে, হুটহাট করে যার তার সঙ্গে মারামারি লাগিয়ে বসো না। তবে কারও হাত থেকে যদি নিজেকে বাঁচাতে হয়, তাহলেও শুরুতেই ঝাঁপিয়ে না পড়ে আশপাশের অবস্থা দেখ। কেউ যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়, তাহলে তো সোনায় সোহাগা!
তবে ভাই, কখন কোন বিপদ কাকে পেয়ে বসে_ তা কেউ বলতে পারে না। চোখ-কান খোলা রাখলেই হয়। বিপদ কাটানো কোনো ব্যাপারই হয় না তখন!
No comments