ভারতের ক্যাচ ফেলার মহড়া, দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের

প্রথম দুই টেস্টেই হার, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থায় শেষ টেস্টে খেলতে নামার আগে জানা গেল এ ম্যাচে খেলতে পারছেন না দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান শিবনারায়ণ চন্দরপল। কিন্তু মুম্বাই টেস্টের প্রথম দিনে সব দুশ্চিন্তা একেবারে উড়িয়ে দিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের চার তরুণ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। এক থেকে চার নম্বর পর্যন্ত নামা চার ব্যাটসম্যানই পেরিয়েছেন ৫০, সুবাদে প্রথম দিনশেষে ২ উইকেটে ২৬৭ রান তুলে নিয়ে হোয়াইটওয়াশের শঙ্কা কিছুটা দূরে ঠেলে দিয়েছে সফরকারীরা।


অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন একটা হয়েছে ভারতীয় দলেও। উমেশ যাদবকে বিশ্রাম দিয়ে আরেক তরুণ পেসার বরুণ অ্যারনকে দলে নিয়েছে তাঁরা। টস জিতে ভারত ফিল্ডিং নেওয়ার পর তিনি আর ঈশান্ত শর্মা দুজনই ১৪০ কিলোমিটারের চেয়ে বেশি গতিতে বল করেছেন ধারাবাহিকভাবে। কিন্তু ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের ন্যাড়া উইকেটে ব্যাটসম্যানদের খুব একটা ঝামেলায় ফেলতে পারেননি তাঁরা কেউই। তাই নবম ওভারেই স্পিনের দ্বারস্থ হতে হয় মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। কিন্তু তাতেও খুব একটা কাজ হয়নি। আর বোলারদের কাজটাকে আরেকটু কঠিন করে দিয়ে ভারতের ফিল্ডাররাও যেন মেতেছিলেন ক্যাচ ফেলার প্রতিযোগিতায়! ভিভিএস লক্ষ্মণ, বীরেন্দর শেবাগ, রাহুল দ্রাবিড় এমনকি ধোনি নিজেও শামিল হয়েছেন সে প্রতিযোগিতায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরাও সুযোগটাকে কাজে লাগিয়েছেন দারুণভাবে। ক্রেগ ব্র্যাথওয়েট আর অ্যাড্রিয়ান বারাথ গত পাঁচ বছরের মধ্যে টেস্টে নিজেদের সেরা সূচনা এনে দিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে, গড়েছেন ১৩৭ রানের জুটি। ১৩ রানের ভেতর এ দুজনকেই ফিরিয়ে দিয়ে ভারতকে সাময়িকভাবে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন, কিন্তু তৃতীয় উইকেটে ১৩০ রানের হার-না-মানা জুটি গড়ে আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকেই চালকের আসনে ফিরিয়েছেন ড্যারেন ব্র্যাভো ও কার্ক এডওয়ার্ডস। ১৪৮ বলে আটটি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬২ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন বারাথ; ১৮৪ বলে ৬৮ রান করার পথে ব্র্যাথওয়েটও আটবারই বলকে পাঠিয়েছেন সীমানার বাইরে। তবে তিনি হয়েছেন শর্ট লেগে বিরাট কোহলির শিকার। ১১৭ বলে ৬৫ রানের অপরাজিত ইনিংসে ১০টি বাউন্ডারি মেরেছেন এডওয়ার্ডস আর ৯৮ বলে ব্র্যাভোর ৫৭ রানের ইনিংসটি সাজানো সাত বাউন্ডারিতে। ক্রিকইনফো
সংক্ষিপ্ত স্কোর : ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস ২৬৭/২ (বারাথ ৬২, ব্র্যাথওয়েট ৬৮, এডওয়ার্ডস ৬৫*, ব্র্যাভো ৫৭*; অশ্বিন ২/৮৬)।


No comments

Powered by Blogger.