চিঠিপত্র-নাসিক নির্বাচন বয়কটে বিএনপির প্রাপ্তি
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন বয়কটে প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রাপ্তি নেই বিএনপির। নির্বাচনে সেনা মোতায়েন না হওয়ায় নির্বাচন প্রক্রিয়ার শেষ মুহূর্তে এসে রণে ভঙ্গ দেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। তার বক্তব্য থেকে বোঝা গেল, দলের হাইকমান্ড থেকে আসা নির্দেশে উইকেটের পতন হলো। তাদের ধারণা ছিল, এটি একটি গরম ইস্যু হবে। কিন্তু ফলাফলের জের টানতে গিয়ে দেখা যায় তা কোনো ভালো রেজাল্ট নয়। কেননা
বিরোধীদলীয় প্রার্থী মাঠে না থাকায় নির্বাচন কমিশন এ যাবৎকালের মধ্যে সেরা যে নির্বাচনটি করতে সমর্থ হলো, তা ওই প্রার্থী মাঠে থাকলে এমন একটি ঝরঝরে নির্বাচন অনুষ্ঠান এ দেশে হয়তো সম্ভব হতো না। তারা মাঠে থাকলে তবেই বোঝা যেত কার কী ভূমিকা। এখন বিএনপি একে পাতানো নির্বাচনই বলুক আর ভাইবোনের নির্বাচনই বলুক ফেয়ার একটি নির্বাচন নিয়ে অযথা রঙ্গ করার সময় সাধারণ মানুষের নেই। তারা এখন ওসব ছেড়ে বিজয় নিয়ে কথা বলছেন। ক্লিন ইমেজের আইভীর বিজয়কে নিয়ে সবাই নতুন সম্ভাবনার স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন। যদি বিএনপি প্রার্র্থী মাঠে থাকতেন সম্ভাব্য এ প্রার্থী হয়তো বিজয় লাভ করতে পারতেন। কিন্তু বিএনপির বয়কট চালটি যথাযথভাবে ঠেকিয়ে দিয়েছে সরকার। তাদেরই দুই প্রার্থীর মধ্যকার ভোটযুদ্ধে বিপুল পুলিশ ও র্যাব নামিয়ে দিয়ে শুধু শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষার দায়িত্বটুকু পালন করেছে সরকার। সরকারের অনেক ভুল সিদ্ধান্তও কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে এর মধ্য দিয়ে। যেহেতু সুযোগ নিজেরাই হাতছাড়া করেছে বিএনপি। কাজেই শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত নাসিক নির্বাচন নিয়ে কটূক্তি করা থেকে তাদের বিরত থাকা উচিত।
মোসলেম আবু শফী
প্রভাষক, মুজিব কলেজ, সখীপুর টাঙ্গাইল
ভাংচুর-হত্যার রাজনীতি বন্ধ হোক
নির্বাচনের সময় জনগণকে দেওয়া প্রত্যাশার কথা অনেক রাজনীতিক ভুলে যান। কাজের কাজ না করে নিজের খালি ভাণ্ডার ভরার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। জনগণের জন্য জোড়াতালি দিয়ে কিছু করলেও তার দায়ভার জনগণকেই নিতে হয়। ভোগান্তিও পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে। নির্বাচনের আগে ফলাফল যাই হোক মেনে নেওয়ার অঙ্গীকার করলেও নির্বাচনের পড়ে ভোট কারচুপি হয়েছে বলে শুরু হয়ে যায় আন্দোলনের নামে ভাংচুর, হত্যা। নষ্ট হয় জনগণের সম্পত্তি। একজন রাজনৈতিক নেতা খুন হলে তার জন্য সমস্যায় পড়তে হয় শত শত নিরীহ মানুষকে। নরসিংদীর পৌর মেয়রকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে রাস্তায় ভাংচুর, গাড়ি পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে, রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয় একটি এগারো সিন্দুর ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছে। রেলওয়ে সরকারি সম্পত্তি সাধারণ মানুষের সেবার জন্য। ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় কোটি টাকার সরকারি সম্পদ নষ্ট হয়েছে। ঈদে বাড়িফেরা মানুষগুলোকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এর দায়ভার কে নেবে ? একজন মানুষ মারা গেলেও তাকে নিয়ে শুরু হয় রাজনীতি। ভাংচুর, হরতাল আর হত্যার রাজনীতি আমাদের দেশে বন্ধ হবে কবে?
রফিকুল ইসলাম সাগর
বনানী, ঢাকা
লক্ষ্মীপুর জেলায় রেললাইন চাই
উন্নয়ন তথা সমৃদ্ধির স্বর্ণশিখরে পেঁৗছতে সর্বাগ্রে প্রয়োজন আধুনিক ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। কিন্তু এ লক্ষ্মীপুর অঞ্চলে এখন পর্যন্ত আধুনিক ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। সড়কপথে রাজধানী ঢাকা যেতে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ অতিক্রম করে কুমিল্লা জেলার লাকসাম হয়ে ঘুরে যেতে হয়। অথচ ১৯৯৭ সালে গৃহীত লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ-কচুয়া-গৌরীপুর (দাউদকান্দি) মহাসড়কটি বাস্তবায়িত হলে মাত্র ২-৩ ঘণ্টায় ঢাকা যেতে পারত লক্ষ্মীপুরসহ চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলার মানুষ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেখানে আধুনিক প্রযুক্তি ও দ্রুতগতির বিভিন্ন ট্রেন (ম্যাগনেটিক ট্রেন, ইলেকট্রিক ট্রেন প্রভৃতি) প্রচলন করে যোগাযোগ ক্ষেত্রে বৈপল্গবিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে, সেখানে দেশের অনেক জেলায় এখনও রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়নি। বিশেষ করে লক্ষ্মীপুর সম্ভবত দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের (বৃহত্তর নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চল) একমাত্র জেলা যেখানে আজও রেল সংযোগ স্থাপিত হয়নি। বর্তমান সরকার সুষম উন্নয়নে বিশ্বাসী। তাই অবহেলিত ও উন্নয়নে পশ্চাৎপদ এ জেলাকে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের ধারায় সম্পৃক্ত করতে অনতিবিলম্বে এ জেলাকে রেল সংযোগের আওতায় আনা এ অঞ্চলের গণমানুষের প্রাণের দাবি।
ফয়সল হাসান
দক্ষিণ বাঞ্ছানগর, লক্ষ্মীপুর
মোসলেম আবু শফী
প্রভাষক, মুজিব কলেজ, সখীপুর টাঙ্গাইল
ভাংচুর-হত্যার রাজনীতি বন্ধ হোক
নির্বাচনের সময় জনগণকে দেওয়া প্রত্যাশার কথা অনেক রাজনীতিক ভুলে যান। কাজের কাজ না করে নিজের খালি ভাণ্ডার ভরার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। জনগণের জন্য জোড়াতালি দিয়ে কিছু করলেও তার দায়ভার জনগণকেই নিতে হয়। ভোগান্তিও পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে। নির্বাচনের আগে ফলাফল যাই হোক মেনে নেওয়ার অঙ্গীকার করলেও নির্বাচনের পড়ে ভোট কারচুপি হয়েছে বলে শুরু হয়ে যায় আন্দোলনের নামে ভাংচুর, হত্যা। নষ্ট হয় জনগণের সম্পত্তি। একজন রাজনৈতিক নেতা খুন হলে তার জন্য সমস্যায় পড়তে হয় শত শত নিরীহ মানুষকে। নরসিংদীর পৌর মেয়রকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার পরিপ্রেক্ষিতে রাস্তায় ভাংচুর, গাড়ি পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে, রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয় একটি এগারো সিন্দুর ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছে। রেলওয়ে সরকারি সম্পত্তি সাধারণ মানুষের সেবার জন্য। ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় কোটি টাকার সরকারি সম্পদ নষ্ট হয়েছে। ঈদে বাড়িফেরা মানুষগুলোকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এর দায়ভার কে নেবে ? একজন মানুষ মারা গেলেও তাকে নিয়ে শুরু হয় রাজনীতি। ভাংচুর, হরতাল আর হত্যার রাজনীতি আমাদের দেশে বন্ধ হবে কবে?
রফিকুল ইসলাম সাগর
বনানী, ঢাকা
লক্ষ্মীপুর জেলায় রেললাইন চাই
উন্নয়ন তথা সমৃদ্ধির স্বর্ণশিখরে পেঁৗছতে সর্বাগ্রে প্রয়োজন আধুনিক ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। কিন্তু এ লক্ষ্মীপুর অঞ্চলে এখন পর্যন্ত আধুনিক ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। সড়কপথে রাজধানী ঢাকা যেতে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ অতিক্রম করে কুমিল্লা জেলার লাকসাম হয়ে ঘুরে যেতে হয়। অথচ ১৯৯৭ সালে গৃহীত লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ-কচুয়া-গৌরীপুর (দাউদকান্দি) মহাসড়কটি বাস্তবায়িত হলে মাত্র ২-৩ ঘণ্টায় ঢাকা যেতে পারত লক্ষ্মীপুরসহ চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলার মানুষ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেখানে আধুনিক প্রযুক্তি ও দ্রুতগতির বিভিন্ন ট্রেন (ম্যাগনেটিক ট্রেন, ইলেকট্রিক ট্রেন প্রভৃতি) প্রচলন করে যোগাযোগ ক্ষেত্রে বৈপল্গবিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে, সেখানে দেশের অনেক জেলায় এখনও রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়নি। বিশেষ করে লক্ষ্মীপুর সম্ভবত দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের (বৃহত্তর নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চল) একমাত্র জেলা যেখানে আজও রেল সংযোগ স্থাপিত হয়নি। বর্তমান সরকার সুষম উন্নয়নে বিশ্বাসী। তাই অবহেলিত ও উন্নয়নে পশ্চাৎপদ এ জেলাকে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের ধারায় সম্পৃক্ত করতে অনতিবিলম্বে এ জেলাকে রেল সংযোগের আওতায় আনা এ অঞ্চলের গণমানুষের প্রাণের দাবি।
ফয়সল হাসান
দক্ষিণ বাঞ্ছানগর, লক্ষ্মীপুর
No comments