মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার-একাত্তরের সাকা ভয়ংকর by এম বদি-উজ-জামান

ট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার রামজয় মহাজন লেনের বাসিন্দা মতিলাল চৌধুরী ও শান্তি কুসুমের সন্ধান গত ৪০ বছরেও মেলেনি। তাঁদের ১৯৭১ সালের ৫ এপ্রিল বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর (সাকা চৌধুরী) বাড়ি গুডহিলে। একই সঙ্গে ধরে নেওয়া হয় সুনীলসহ আরো ছয়জনকে। এর মধ্যে মতিলাল চৌধুরীর কর্মচারী সুনীলকে ছেড়ে দেওয়া হয় মারাত্মক আহত অবস্থায়।


কিন্তু মতিলাল, শান্তি কুসুমসহ অন্য ছয়জনের সন্ধান আজও মেলেনি। তদন্ত সংস্থার ধারণা, মতিলালসহ ছয়জনকে নির্যাতন করে হত্যার পর তাঁদের লাশ গুম করা হয়েছে।
শুধু মতিলাল বা শান্তি কুসুম নয়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত মাত্র পাঁচ মাসে রাউজানসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ৪৩৭ ব্যক্তিকে হত্যার সঙ্গে সাকা চৌধুরী জড়িত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে রাউজানের শাকপুরা, ঊনসত্তরপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে গণহত্যা চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। শুধু রাউজানেই ৯টি গণহত্যা চালানো হয়েছে। সাকা চৌধুরীর উপস্থিতি ও নির্দেশে তাঁর সহযোগীরা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে এসব গণহত্যা চালায়। মূলত হিন্দু সম্প্রদায় ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের নিশ্চিহ্ন করার জন্যই এসব হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে তথ্য পেয়েছে তদন্ত সংস্থা।
সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো বিচারের জন্য ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নজরে আনা হয়েছে। বারবার রাজনৈতিক দল বদলকারী বর্তমানে বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী এখন বিচারের মুখোমুখি। তদন্ত সংস্থা দীর্ঘ তদন্ত শেষে সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ৩২টি গুরুতর অপরাধের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ এনে গত ৪ অক্টোবর ১১৯ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে। এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টও দাখিল করা হয়। এ তথ্য ট্রাইব্যুনালকে জানানো হয়। গত ২ অক্টোবর তদন্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম এক প্রেস ব্রিফিং করে সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে তদন্ত সম্পন্ন করার ঘোষণা দেন। ৪ অক্টোবর বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনালে সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে অপরাধগুলো সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম। এর পর প্রসিকিউশন ইউনিট তদন্ত প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই করে সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে ২৫টি গুরুতর অপরাধের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে গত ১৪ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ফরমাল চার্জ (আনুষ্ঠানিক অভিযোগনামা) দাখিল করে। আগামীকাল ২৪ নভেম্বর ফরমাল চার্জের কপি সাকা চৌধুরীর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে জমা দেওয়া হয়েছে। সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের এসব অভিযোগে ১৪৬ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
গত ৪ অক্টোবর তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে সংক্ষিপ্ত আকারে উপস্থাপন করে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে সদর এবং নিজের এলাকা রাউজানে সাকা চৌধুরী মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অপরাধ করেন। তাঁর বিরুদ্ধে ৩২টি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। এসব অপরাধের সঙ্গে সাকা সরাসরি যুক্ত ছিলেন। একাত্তর সালে সাকা চৌধুরীর চট্টগ্রাম শহরের বাসভবন 'গুডহিল'কে টর্চার সেন্টার করা হয়। সেখানে ক্রমাগতভাবে শহরের মুক্তিযোদ্ধা, হিন্দুধর্মের লোকজন, শিল্পী-সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও নারীদের ধরে এনে নির্যাতনের পর হত্যা করা হতো। শুধু তাই নয়, সাকার নিজের এলাকা রাউজানের ডা. নূতন চন্দ্র সিংহ ও মধ্য গহিরার ডা. মাখন লাল শর্মাসহ গহিরা বিশ্বাসপাড়া, জগৎমল্লপাড়া, ঊনসত্তরপাড়াসহ হিন্দু অধ্যুষিত পুরো এলাকা আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তদন্ত প্রতিবেদনের সঙ্গে একাত্তর সাল এবং তার পরে সাকা চৌধুরী সম্পর্কে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন, এক হাজার ২৭৫ পৃষ্ঠার আনুষঙ্গিক নথিপত্র এবং ১৮টি সিডি জমা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য ও প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দি সাক্ষ্য হিসেবে দাখিল করা হয়েছে। সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে ১৯৭৩ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনের ৩(২)(ক), ৩(২)(গ)(১ ও ২) এবং ৩(২)(ছ) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
ফরমাল চার্জে কোন ২৫টি অভিযোগ আনা হয়েছে, সে বিষয়ে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম ও রানা দাসগুপ্তের কাছে জানতে চাওয়া হলে তাঁরা তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, ন্যায়বিচারের স্বার্থে কোনো কথা বলা যাবে না। আদালত অভিযোগ গঠন করার পর সব জানতে পারবেন। এর আগে কোনো তথ্য জানানো ঠিক হবে না। এতে বিচারকাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাকা চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের জন্য ১৫ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনালে আবেদন করে তদন্ত সংস্থা। এর কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই ১৬ ডিসেম্বর ভোর রাতে বনানীর একটি বাসা থেকে তাঁকে গাড়িতে অগি্নসংযোগের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁকে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর আদালতের নির্দেশে প্রথমবারের মতো তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাঁকে ধানমণ্ডির সেফ হোমে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত সংস্থা।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় ভীত-সন্ত্রস্ত হিন্দু সম্প্রদায় যখন নিজেদের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করেছে, ঠিক তখন সাকা চৌধুরীর সহযোগী আবু মাবুদসহ দুই ব্যক্তি রাউজানের গহিরার জগৎমল্লপাড়ায় কিরণ বিকাশ চৌধুরীর বাড়িতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের জড়ো করে। শান্তি কমিটির সভা করার জন্য সেখানে তাদের জড়ো করা হয়। শান্তি কমিটির সভায় যোগ দিলে যদি জীবন বাঁচে_এ আশায় তারা যোগ দেয় কিরণ বিকাশের বাড়ির সভায়। লোক জড়ো হওয়ার পর বিষয়টি জানানো হয় সাকা চৌধুরীকে। এর কিছুক্ষণ পর সাকা চৌধুরী পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে হাজির হন। এর পর পাকিস্তানি সেনারা ব্রাশফায়ার চালায়। ঘটনাস্থলেই তেজেন্দ্র লাল নন্দী, সমির কান্তি চৌধুরী, কিরণ বিকাশ চৌধুরীসহ ৩২ জন নিহত হন। পরে নিহতদের ওই বাড়ির উঠানেই গণকবর দেওয়া হয়। মারা যায় ৩২ জন। ১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে ঘটানো হয় এ গণহত্যা। তদন্ত সংস্থা এ গণকবর পরিদর্শনও করে।
একই দিন বিকেল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে রাউজানের ঊনসত্তরপাড়ায় চালানো হয় গণহত্যা। সাকা চৌধুরীর উপস্থিতিতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ব্রাশফায়ারে চরণ পাল, বাবুল মালীসহ ৭০ জনকে হত্যা করে। হিন্দু সম্প্রদায়কে নিশ্চিহ্ন করার জন্য এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। জানা যায়, হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ এলাকায় থাকবে কি থাকবে না, এমন অবস্থার মধ্যে একই এলাকার ক্ষিতিশ চন্দ্র মহাজনের বাড়ির পেছনে পুকুরপাড়ে ডাকা হয় শান্তি কমিটির সভা। এলাকার লোকজন সেখানে উপস্থিত হওয়ার পর সাকা চৌধুরীসহ পাকিস্তানি সেনারাও হাজির হয়। সভার শুরুতেই সাকার সহযোগীরা গালাগালি শুরু করে। একপর্যায়ে সেনাবাহিনী ব্রাশফায়ার করে। এতে ৭০ জনের বেশি ব্যক্তি নিহত হয়। তবে তদন্ত সংস্থা ৫০ জনকে শনাক্ত করতে পেরেছে বলে জানা গেছে। হত্যার পর সেখানেই নিহতদের গণকবর দেওয়া হয়। এই গণকবরটিও পরিদর্শন করেছে তদন্ত সংস্থা।
চট্টগ্রামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে সবচেয়ে বর্বর হত্যাকাণ্ড ঘটে রাউজানের শাকপুরা গ্রামে। এখানকার হিন্দু ও মুসলমানদের এক জায়গায় করে গণহত্যা চালানো হয়। এ গ্রামে হিন্দু-মুসলমান মিলে তিন শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। তবে নিহতদের মধ্যে ফয়েজ আহমেদ, আলাল আহমেদ, আহাম্মদ ছফা, নিকুঞ্জ শীলসহ ৫২ জনকে শনাক্ত করা গেছে বলে তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। জানা যায়, পাকিস্তানি বাহিনীর আসার খবর পেয়ে এলাকার হিন্দু-মুসলমানরা শাকপুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। পরে পাকিস্তানি সেনারা সেখানে ব্রাশফায়ার চালায়। এতে তিন শতাধিক ব্যক্তি নিহত হয় বলে তদন্ত সংস্থা তথ্য পেয়েছে।
শুধু গ্রামের নিরীহ ব্যক্তিদের হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি সাকা চৌধুরী, হানাদার ও তাদের দোসররা। পথচারীদের ধরে এনেও নির্যাতনের পর হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ পেয়েছে তদন্ত সংস্থা।
জানা গেছে, একাত্তরের ১৭ এপ্রিল চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মোজাফফর আহমেদ ও তাঁর ছেলে শেখ আলমগীরকে খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়কের হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড থেকে ধরে স্থানীয় সেনাক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নির্যাতন চালিয়ে তাঁদের হত্যা করা হয়।
১৩ এপ্রিল রাউজানের মধ্য গহিরার হিন্দুপাড়ায় সাকা চৌধুরীর উপস্থিতিতে আরেকটি গণহত্যা চালানো হয়। এদিন সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৮টার মধ্যে ডা. মাখন লাল শর্মার বাড়িতে পাকিস্তানি সেনারা হামলা চালিয়ে পাঁচজনকে হত্যা করে।
একই দিন সকাল সাড়ে ৮টার পর গহিরার বিশ্বাসপাড়ায় গণহত্যা চালানো হয়। এখানে দয়াল হরিসহ পাঁচজনকে ব্রাশফায়ারে হত্যা করা হয়। হত্যার পর সেখান থেকে চলে যাওয়ার আগে লুটপাট করা হয়। এরপর বিভিন্ন হিন্দু বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
একই দিন দুপুর ১টার দিকে রাউজানের সুলতানপুরের বণিকপাড়ায় নেপাল চন্দ্র ধরসহ চারজনকে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর সাকা চৌধুরী সেখানে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে সাক্ষ্য পেয়েছে তদন্ত সংস্থা।
সাকা চৌধুরী ও তাঁর সহেযোগীদের বিরুদ্ধে ১০ মে ঘাসি মাঝিরপাড় এলাকায় নুরুল আলম, আয়েশা খাতুন, জানে আলম ও আবুল কালামকে হত্যা করার অভিযোগ পেয়েছে তদন্ত সংস্থা। এ জায়গা থেকে সাকা চৌধুরীর নেতৃত্বে তাঁর সহযোগীরা পাঁচ নারীকে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে তুলে দেয়। সেখানে তাঁদের ধর্ষণ করা হয় বলে প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত সংস্থা।
এ ছাড়া রাউজানের সুলতানপুরে ৫ মে বিজয় কৃষ্ণ চৌধুরীসহ তিনজনকে জবাই করে হত্যা, গহিরার নূতন চন্দ্র সিংহ, রাউজান থানার কদুরখিল হিন্দুপাড়ার শান্তি দেব, রাউজানের কর্তার দিঘিরপাড় এলাকার মো. হানিফকে অপহরণ করে হত্যা, একই থানার সতীশ চন্দ্র পালিতকে হত্যা, চট্টগ্রামের ওয়াজেদ মিয়াকে অপহরণ করে হত্যা, মাহবুব আলমকে হত্যা, বোয়ালখালীর এখলাস মিয়াকে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগ পেয়েছে তদন্ত সংস্থা। এর মধ্যে সতীশ চন্দ্রের মরদেহ পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হয়।
এসব হত্যাকাণ্ড ছাড়াও সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য মো. সালেহউদ্দিনকে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার মোহরার গ্রাম থেকে অপহরণ করে ১৫ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত নির্যাতন করা হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্যরা তাঁকে ছাড়িয়ে নিলে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার হাজারী লেনের জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর বাড়িতে নিজামউদ্দিনসহ সাতজনকে নির্যাতন করা হয়। পরে নিজামউদ্দিনকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ডাবলমুরিং থানার সদরঘাটের নুরুল আনোয়ার চৌধুরীসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে সাকার বাড়ি গুডহিলে নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে তদন্ত সংস্থার কাছে।
হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতনের অভিযোগের পাশাপাশি রাউজানের ডাবুয়া গ্রামের মানিক ধরের বাড়িসহ বিভিন্ন এলাকার হিন্দু বাড়িতে লুটপাটের অভিযোগও রয়েছে সাকা চৌধুরী ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে।

No comments

Powered by Blogger.