শীতের সবজি গাজর উপকারী

ধুনিক বিশ্বে গাজর অতি পরিচিত একটি সবজি। প্রাচীনকালেই গ্রিক এবং রোমানরা এ সবজিটি খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করেছিল।গাজরে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিন, শ্বেতসার, ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস।ষ গবেষকদের তথ্যমতে, গাজরের আদিভূমি ভূমধ্যসাগরীয় এলাকা।প্রতি ১০০ গ্রাম গাজরে যেসব উপাদান আছে তা হলো_ আমিষ ১.২ গ্রাম, শর্করা ২.৭ গ্রাম, চর্বি ০.২ গ্রাম, খনিজ লবণ ০.৯ গ্রাম, ভিটামিন-এ ৮৩৫ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন-বি-১


০.০৪ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-বি-২ ০.০৫ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-সি ১৫ মিলিগ্রাম, ফলিক এসিড ১৪ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩৩ মিলিগ্রাম, লৌহ ২.২ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ৮২৮৫ মাইক্রোগ্রাম, খাদ্যশক্তি ৪১ কিলোক্যালরি এবং আঁশ ৩.০ গ্রাম।
গাজরে আছে লুটিন জাতীয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। প্রতিদিন মাঝারি ধরনের একটি গাজর খেলে ফুসফুসে ক্যান্সারের ঝুঁকি ৫০ শতাংশ কমে যায়।
ষ মানুষের কোষের ডিএনএতে ক্ষতির কারণে বেশ কিছু ক্রনিক অসুখ শরীরে বাসা বাঁধে। গাজরে থাকা ক্যারোটিনয়েডসগুলো [বিটা, আলফা ও লাইকোপেন] এ ক্ষতি কমিয়ে দিতে পারে। প্রতিরোধ করতে পারে শরীরে বয়সের ছাপ পড়া।
অ্যাজমা, এমফাইজেমাসহ ফুসফুসের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করা যায় বেশি করে গাজর খাওয়ার মাধ্যমে।
ষ গর্ভবতী মায়েরা নিয়মিত গাজরের জুস খেলে শিশুর জণ্ডিস হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।
রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় গাজর।
ষ গাজর দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ষ কৃমি নাশে সবজিটি অসম্ভব কার্যকর।
ষ নিয়মিত গাজর খেলে ত্বকের খসখসে ভাব, ব্রণ, সোরিয়াসিসসহ ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়।
গাজর শিশুদের রিকেট ও টিটানি রোগ প্রতিরোধ করে। গাজরের রস খাওয়ালে শিশুদের হজমে সুবিধা হয়।
ষ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে গাজর।
ঋতা আলম

No comments

Powered by Blogger.