পাকিস্তানকে শুল্কমুক্ত সুবিধা না দিতে ইইউর প্রতি বিজিএমইএর অনুরোধ
পাকিস্তানি তৈরি পোশাক পণ্যকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিলে দেশের প্রধান রফতানি খাত এবং সার্বিক অর্থনীতি নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। এ কারণে পাকিস্তানকে শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা না দেওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতি আবারও আহ্বান জানিয়েছে এ খাতের ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিজিএমইএ। গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশি পোশাকের বাজার সম্প্রসারণবিষয়ক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি
জার্মানির রাষ্ট্রদূত এবং উপস্থিত জার্মানিভিত্তিক সংস্থা জিআইজেড প্রতিনিধিদের কাছে এ অনুরোধ জানিয়েছে তারা। তৈরি পোশাকে বাংলাদেশের ব্র্যান্ড ইমেজ এবং বাজার সম্প্রসারণে সহায়ক ডকুমেন্টারি 'অ্যামেজিং পিপল অব বাংলাদেশ' এর উদ্বোধন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাজধানীর বিজিএমইএ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন। প্রধান অতিথি ছিলেন জার্মানির রাষ্ট্রদূত হলজার মাইকেল। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ-জার্মানি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিজিসিসিআই) সভাপতি সাইফুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক ড্যানিয়েল সাইডল, জার্মানি ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনের (জিআইজেড) বাংলাদেশ প্রধান ওলফ হ্যান্ডলগটেন ও প্রোগ্রাম পরিচালক ম্যাগনুস সামিদ এবং বিজিএমইএ প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বন্যার কারণে ৮টি গার্মেন্ট ও টেক্সটাইল পণ্যে জিএসপি সুবিধা দাবি করেছে পাকিস্তান। কিন্তু বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার শর্ত অনুযায়ী এ সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই। ইইউতে বাংলাদেশও একই পণ্য রফতানি করার কারণে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হব। রাষ্ট্রদূতের কাছে তিনি বলেন, ট্রেড ও এইডকে না মিলিয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে। তবে এ প্রসঙ্গে কোনো কথা বলেননি হলগার মাইকেল। তিনি বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে জার্মানির সুসম্পর্ক রয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জার্মানি সফরে এ সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। বাংলাদেশ এবং জার্মানি সরকারের দ্বিপক্ষীয় চুক্তির অধীনে এ প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করা হয়। এতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বিভিন্ন দিক উপস্থাপন করা হচ্ছে। নতুন বাজার সম্প্রসারণে এ ডকুমেন্টারি সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
No comments