হারে টেস্ট ক্রিকেটের জয় দেখছেন স্মিথ
ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইডেন টেস্টের প্রথম বলটা ক্রিজে পড়ার সময় গ্যালারিতে দর্শক ছিল ২০০ জন! ৬৭ হাজার দর্শকের ইডেনে যা সিন্ধুতে বিন্দুও নয়। খাঁ খাঁ ইডেন দেখে ওয়ানডে আর টোয়েন্টি টোয়েন্টির উচ্ছলতায় টেস্টের মৃত্যুঘণ্টা শুনছিলেন অনেকে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়ার জোহানেসবার্গ টেস্টের পর গ্রায়েম স্মিথ জানাচ্ছেন, এখনই টেস্টের 'জুরাসিক পার্ক' হয়ে যাওয়ার সময় হয়নি।
২ উইকেটে হারলেও দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক বললেন, 'জয় হয়েছে টেস্ট ক্রিকেটের। আমরা হারলেও সিরিজটা দেখা হবে ইতিবাচকভাবে। দুটি দলই উজাড় করে দিয়েছে নিজেদের শতভাগ, যা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে টেস্ট ক্রিকেটের এগিয়ে যাওয়ার পথচলায়।' অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দুই দলের সিরিজ মাত্র দুই টেস্টের হওয়ায় সমালোচনাও করেছেন অনেকে। আর একটা টেস্ট থাকলে আরো কিছু রোমাঞ্চ নিশ্চয়ই অপেক্ষা করত দর্শকদের জন্য।
জোহানেসবার্গের নিউ ওয়ান্ডারার্সে ৩১০ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল না কোনো দলের। অস্ট্রেলিয়া করে দেখিয়েছে সেটাই। তাও আবার ১৯ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর। রিকি পন্টিং, ব্র্যাড হাডিন, মিচেল জনসনদের দলে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। অথচ প্রয়োজনের সময় জ্বলে উঠলেন এ ত্রয়ীই। পন্টিংয়ের ৬২, হাডিনের ৫৫ আর জনসনের অপরাজিত ৪০ রানই তাঁদের এনে দিয়েছে অসাধারণ এক জয়, যা দিয়ে ২ টেস্টের সিরিজে সমতাও ফিরিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অথচ দ্বিতীয় ইনিংসে একটা পর্যায়ে ৩ উইকেটে ২৩৭ রানে থাকার সময় যেমন ম্যাচটা অস্ট্রেলিয়ার ধরা-ছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। তেমনি চতুর্থ ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে ১৬৫ রানে ৫ উইকেটে পরিণত করেও তারা সম্ভাবনা জাগিয়েছিল ম্যাচ জয়ের। কাজে লাগাতে পারেনি একটিও। তাই স্মিথের হতাশা, 'আমরা আমাদের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। ম্যাচে দুর্দান্তভাবে ফিরে আসার কৃতিত্বটা দিতেই হবে ওদের। পন্টিংয়ের ইনিংসটা পথ দেখিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে। যাদের বিপক্ষে খেলেছি তাদের মধ্যে পন্টিংকেই সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলোয়াড় মনে হয় আমার।'
৬২ রান করার পথে গত এক বছর ও ১৩ ইনিংসে প্রথম ৫০ ছাড়ানো ইনিংস খেলেছেন পন্টিং। হাডিন ৫৫ করতে খেলেছেন ১০৬ বল, তবে গত ১৭ ইনিংসে এবারই প্রথম ১০০ বা এর বেশি বল খেললেন তিনি। বল হাতে ফর্ম হারালেও জনসনের ৪৭ বলে ৪০ রানের ইনিংসটি দারুণ কাজে লেগেছে অস্ট্রেলিয়ানদের। জোহানেসবার্গ টেস্টটা তাই হতাশার নাম হয়েই থাকবে স্মিথদের কাছে। মাইকেল ক্লার্কের কাছে আবার উল্টোটা। কেপটাউনের 'ভুতুড়ে' টেস্টে হারার পর জোহানেসবার্গে জিততে পেরে দারুণ উচ্ছ্বসিত তিনি, 'মনে থাকবে এ টেস্টটা। পন্টিং, হ্যাডিন, জনসনরা যেমন অসাধারণ ব্যাট করেছে তেমনি দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে আমাদের ম্যাচে ফিরিয়েছিল (প্যাট) কামিন্স। এ ছেলেটা অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের সম্পদ। ওকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে আমাদের।'
অভিষেক টেস্টে ৭ উইকেট নেওয়ায় ম্যাচসেরা হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান এ তরুণ পেসারই। সিরিজসেরা হয়েছেন আবার আরেক অভিষিক্ত অলরাউন্ডার ভারলন ফিল্যান্ডার। কেপটাউনের (৩/৬৩ ও ৫/১৫) মতো জোহানেসবার্গেও (১/৪৭ ও ৫/৭০) ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। সর্বশেষ ২০০৩ সালে অভিষেকের পর প্রথম দুই টেস্টে ইনিংসে ৫ উইকেট করে নিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিদেল এডওয়ার্ডস ও ইংল্যান্ডের রিচার্ড জনসন। ওয়েবসাইট
জোহানেসবার্গের নিউ ওয়ান্ডারার্সে ৩১০ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল না কোনো দলের। অস্ট্রেলিয়া করে দেখিয়েছে সেটাই। তাও আবার ১৯ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর। রিকি পন্টিং, ব্র্যাড হাডিন, মিচেল জনসনদের দলে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। অথচ প্রয়োজনের সময় জ্বলে উঠলেন এ ত্রয়ীই। পন্টিংয়ের ৬২, হাডিনের ৫৫ আর জনসনের অপরাজিত ৪০ রানই তাঁদের এনে দিয়েছে অসাধারণ এক জয়, যা দিয়ে ২ টেস্টের সিরিজে সমতাও ফিরিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অথচ দ্বিতীয় ইনিংসে একটা পর্যায়ে ৩ উইকেটে ২৩৭ রানে থাকার সময় যেমন ম্যাচটা অস্ট্রেলিয়ার ধরা-ছোঁয়ার বাইরে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। তেমনি চতুর্থ ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে ১৬৫ রানে ৫ উইকেটে পরিণত করেও তারা সম্ভাবনা জাগিয়েছিল ম্যাচ জয়ের। কাজে লাগাতে পারেনি একটিও। তাই স্মিথের হতাশা, 'আমরা আমাদের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। ম্যাচে দুর্দান্তভাবে ফিরে আসার কৃতিত্বটা দিতেই হবে ওদের। পন্টিংয়ের ইনিংসটা পথ দেখিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে। যাদের বিপক্ষে খেলেছি তাদের মধ্যে পন্টিংকেই সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলোয়াড় মনে হয় আমার।'
৬২ রান করার পথে গত এক বছর ও ১৩ ইনিংসে প্রথম ৫০ ছাড়ানো ইনিংস খেলেছেন পন্টিং। হাডিন ৫৫ করতে খেলেছেন ১০৬ বল, তবে গত ১৭ ইনিংসে এবারই প্রথম ১০০ বা এর বেশি বল খেললেন তিনি। বল হাতে ফর্ম হারালেও জনসনের ৪৭ বলে ৪০ রানের ইনিংসটি দারুণ কাজে লেগেছে অস্ট্রেলিয়ানদের। জোহানেসবার্গ টেস্টটা তাই হতাশার নাম হয়েই থাকবে স্মিথদের কাছে। মাইকেল ক্লার্কের কাছে আবার উল্টোটা। কেপটাউনের 'ভুতুড়ে' টেস্টে হারার পর জোহানেসবার্গে জিততে পেরে দারুণ উচ্ছ্বসিত তিনি, 'মনে থাকবে এ টেস্টটা। পন্টিং, হ্যাডিন, জনসনরা যেমন অসাধারণ ব্যাট করেছে তেমনি দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে আমাদের ম্যাচে ফিরিয়েছিল (প্যাট) কামিন্স। এ ছেলেটা অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের সম্পদ। ওকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে আমাদের।'
অভিষেক টেস্টে ৭ উইকেট নেওয়ায় ম্যাচসেরা হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান এ তরুণ পেসারই। সিরিজসেরা হয়েছেন আবার আরেক অভিষিক্ত অলরাউন্ডার ভারলন ফিল্যান্ডার। কেপটাউনের (৩/৬৩ ও ৫/১৫) মতো জোহানেসবার্গেও (১/৪৭ ও ৫/৭০) ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। সর্বশেষ ২০০৩ সালে অভিষেকের পর প্রথম দুই টেস্টে ইনিংসে ৫ উইকেট করে নিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিদেল এডওয়ার্ডস ও ইংল্যান্ডের রিচার্ড জনসন। ওয়েবসাইট
No comments