জিন্স রঙিন তারুণ্য by রিয়াসাদ হোসাইন সানভী
তারুণ্য মানেই যেন একটি নাগরিক ব্যাপার! এমন ধারণার পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্ক থাকতে পারে; থাকা উচিত। তবে শহুরে হাওয়া এ শব্দটির গায়ে লাগুক বা না লাগুক, এ প্রজন্মের পোশাক ভাবনা ও খাদ্যাভ্যাস থেকে শুরু করে সঙ্গীতের ধারা নির্বাচন_ সবকিছুতেই থাকে সময়ের সঙ্গে তাল মেলানোর তাড়া।এই যেমন পোশাক-আশাকের কথাই ধরা যাক না। কয়েকদিন আগেই চলে গেল ঈদ। সবসময়ই দেখা যায় ঈদের কেনাকাটায় সবচেয়ে এগিয়ে তরুণরাই।
নিত্যনতুন ডিজাইনের পোশাক কখন কোনটি বাজারে আসবে_ সবই তার নখদর্পণে, আবার লম্বা পাঞ্জাবির চল ফিরিয়ে আনা কিংবা হিন্দি সিনেমার রঙচঙে চরিত্রগুলোর মুখরোচক নামের সব পোশাকের বাজার কাটতি কিন্তু প্রধানত নির্ভর করে তারুণ্যের পছন্দ-অপছন্দের ওপর। অথবা দেশীয় ফ্যাশন উদ্যোক্তাদের রুচিশীল প্রচেষ্টাও সফল হচ্ছে তারুণ্যের পোশাক ভাবনার মর্জির ওপর। তবে বিষয় যখন তারুণ্যের পোশাক ভাবনার অন্দরের কথকতা নিয়ে, তখন এসে যায় কিছু বিশেষ পোশাকের কথা এবং এর সঙ্গে জড়িত সামাজিক, রাজনৈতিক ও মনস্তাত্তি্বক যোগাযোগ।
স্থান সংকুলানের অভাবে যেহেতু সব পোশাক নিয়ে আলোচনা করা সম্ভব নয়, তাই আজকের আলোচনা ডেনিমের কাপড়ের তৈরি পোশাকের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যাক। ডেনিম কাপড়! একটু খটকা লাগলেও সবার জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে, জিন্স কাপড়ের সংস্করণ ডেনিম। ইতিহাস না কপচিয়ে বরং মুখ ফেরানো যাক ডেনিম বা জিন্সের সঙ্গে তারুণ্যের প্রত্যক্ষ যোগসূত্রের দিকে।
'জিন্স প্যান্ট না পরলে শক্তি পাই না'_ বহুদিন আগে পরিচিত একজনের বলা কথাটি বরং প্রাসঙ্গিকই মনে হয়। যে তারুণ্যের কণ্ঠে ভর করে কবিয়াল মনের অনুভূতি উঠে আসে শহুরে অলৌকিকতায়_ সেই প্রাসঙ্গিকভাবেই যেন হাজির জিন্স। অথবা 'রঙচটা জিন্সের প্যান্ট পরে জ্বলন্ত সিগারেট হাতে ধরে' মার্কা চটুলতায়ও জিন্স অন্যতম অনুষঙ্গ। তবে 'রঙচটা বা জ্বলন্ত সিগারেট'-এর শব্দগুলো নির্ভর করে এই পোশাকটি প্রজন্মান্তরে বহমান থাকেনি, বরং সেই নাগরিক কবিয়ালরাই প্রমাণ করেছেন বিজ্ঞজনের দৃষ্টিতে পোশাকের মতো কোনো ঠুনকো জিনিস নিয়েও লেখার প্রাসঙ্গিকতাকে।
'জিন্স আমার সবসময়ের প্রিয় পোশাক। যদিও এখন একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছি এবং সেই প্রতিষ্ঠানের একটি নির্দিষ্ট পোশাক নীতিমালা আছে। তবুও অফিসের বাইরে, বিশেষ করে কোনো জায়গায় বেড়াতে গেলে বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমার প্রথম পছন্দ জিন্স'_ বলছিলেন সদ্য স্নাতকোত্তর শেষ করে চাকরিতে যোগ দেওয়া নাবিল আহমেদ।
ডিজাইনে একের পর এক পরিবর্তন এলেও জিন্স তার মূল রূপে টিকে আছে। এর পেছনে রয়েছে মূলত প্রধান ক্রেতাগোষ্ঠী তরুণদের জিন্সের পোশাককে নিত্যসঙ্গী করার প্রবণতার ওপর। এর মূল অনুসন্ধান করতে গেলে খুব বেশি গভীরে যেতে হয় না। মূলত গতানুগতিক ধারা থেকে একটু আলাদা থাকার প্রবণতা এবং আইডলদের প্রভাবই তারুণ্যের পোশাক হিসেবে জিন্সকে বেছে নেওয়ার মূল কারণ।
তারুণ্য সবসময় পরিবর্তনকামী। সামাজিক, রাজনৈতিক যে কোনো ব্যবস্থার দ্রুত পরিবর্তনে থাকে তারুণ্যের অবদান। পূর্ব প্রজন্মের সঙ্গে উত্তর প্রজন্মের মানসিকতায়ও থাকে ভিন্নতা। এ ভিন্নতা সবখানে। এমনকি বিস্মৃত থাকতে পারে ব্যক্তিগত জীবন প্রণালির নানা অনুষঙ্গও। আর জিন্স যেহেতু পোশাক হিসেবে নিজেই তারুণ্যের ট্রেডমার্কের অবস্থানে, তাই পরিবর্তনকামী উচ্ছল তারুণ্যের প্রতীক হিসেবে জিন্সকে চিহ্নিত করা কি খুব অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়?
অন্যদিকে জিন্স পছন্দ করার আরেকটি প্রধান নিয়ামক আইডলদের প্রভাব। শোনার ক্ষেত্রে সঙ্গীতের কোন ধারা পছন্দ করছে তরুণরা? কোন ধরনের সিনেমা পছন্দ তাদের? কিংবা সঙ্গীত অথবা সিনেমার হিরোরা কী ধরনের পোশাক পরছেন? সেসবের কি প্রভাব পড়ছে তরুণ মনে? এর উত্তর এক কথায় আসতে পারে_ হ্যাঁ, পড়ছে। জিন্স এ ক্ষেত্রেও তাই অবধারিতভাবে চলে আসে পছন্দের শীর্ষে।
তবে শেষ কথাটি যেন কোনো বিশ্লেষণ বা কোনো যুক্তির ধার ধারে না। মননশীলতার আকাশে তারুণ্য বিচরণ করুক বা না করুক, কোনো আইডল প্রভাবিত করুক বা না করুক তারুণ্যের যেন জিন্সেই স্বস্তি।
স্থান সংকুলানের অভাবে যেহেতু সব পোশাক নিয়ে আলোচনা করা সম্ভব নয়, তাই আজকের আলোচনা ডেনিমের কাপড়ের তৈরি পোশাকের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যাক। ডেনিম কাপড়! একটু খটকা লাগলেও সবার জ্ঞাতার্থে জানানো যাচ্ছে যে, জিন্স কাপড়ের সংস্করণ ডেনিম। ইতিহাস না কপচিয়ে বরং মুখ ফেরানো যাক ডেনিম বা জিন্সের সঙ্গে তারুণ্যের প্রত্যক্ষ যোগসূত্রের দিকে।
'জিন্স প্যান্ট না পরলে শক্তি পাই না'_ বহুদিন আগে পরিচিত একজনের বলা কথাটি বরং প্রাসঙ্গিকই মনে হয়। যে তারুণ্যের কণ্ঠে ভর করে কবিয়াল মনের অনুভূতি উঠে আসে শহুরে অলৌকিকতায়_ সেই প্রাসঙ্গিকভাবেই যেন হাজির জিন্স। অথবা 'রঙচটা জিন্সের প্যান্ট পরে জ্বলন্ত সিগারেট হাতে ধরে' মার্কা চটুলতায়ও জিন্স অন্যতম অনুষঙ্গ। তবে 'রঙচটা বা জ্বলন্ত সিগারেট'-এর শব্দগুলো নির্ভর করে এই পোশাকটি প্রজন্মান্তরে বহমান থাকেনি, বরং সেই নাগরিক কবিয়ালরাই প্রমাণ করেছেন বিজ্ঞজনের দৃষ্টিতে পোশাকের মতো কোনো ঠুনকো জিনিস নিয়েও লেখার প্রাসঙ্গিকতাকে।
'জিন্স আমার সবসময়ের প্রিয় পোশাক। যদিও এখন একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছি এবং সেই প্রতিষ্ঠানের একটি নির্দিষ্ট পোশাক নীতিমালা আছে। তবুও অফিসের বাইরে, বিশেষ করে কোনো জায়গায় বেড়াতে গেলে বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডায় পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমার প্রথম পছন্দ জিন্স'_ বলছিলেন সদ্য স্নাতকোত্তর শেষ করে চাকরিতে যোগ দেওয়া নাবিল আহমেদ।
ডিজাইনে একের পর এক পরিবর্তন এলেও জিন্স তার মূল রূপে টিকে আছে। এর পেছনে রয়েছে মূলত প্রধান ক্রেতাগোষ্ঠী তরুণদের জিন্সের পোশাককে নিত্যসঙ্গী করার প্রবণতার ওপর। এর মূল অনুসন্ধান করতে গেলে খুব বেশি গভীরে যেতে হয় না। মূলত গতানুগতিক ধারা থেকে একটু আলাদা থাকার প্রবণতা এবং আইডলদের প্রভাবই তারুণ্যের পোশাক হিসেবে জিন্সকে বেছে নেওয়ার মূল কারণ।
তারুণ্য সবসময় পরিবর্তনকামী। সামাজিক, রাজনৈতিক যে কোনো ব্যবস্থার দ্রুত পরিবর্তনে থাকে তারুণ্যের অবদান। পূর্ব প্রজন্মের সঙ্গে উত্তর প্রজন্মের মানসিকতায়ও থাকে ভিন্নতা। এ ভিন্নতা সবখানে। এমনকি বিস্মৃত থাকতে পারে ব্যক্তিগত জীবন প্রণালির নানা অনুষঙ্গও। আর জিন্স যেহেতু পোশাক হিসেবে নিজেই তারুণ্যের ট্রেডমার্কের অবস্থানে, তাই পরিবর্তনকামী উচ্ছল তারুণ্যের প্রতীক হিসেবে জিন্সকে চিহ্নিত করা কি খুব অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়?
অন্যদিকে জিন্স পছন্দ করার আরেকটি প্রধান নিয়ামক আইডলদের প্রভাব। শোনার ক্ষেত্রে সঙ্গীতের কোন ধারা পছন্দ করছে তরুণরা? কোন ধরনের সিনেমা পছন্দ তাদের? কিংবা সঙ্গীত অথবা সিনেমার হিরোরা কী ধরনের পোশাক পরছেন? সেসবের কি প্রভাব পড়ছে তরুণ মনে? এর উত্তর এক কথায় আসতে পারে_ হ্যাঁ, পড়ছে। জিন্স এ ক্ষেত্রেও তাই অবধারিতভাবে চলে আসে পছন্দের শীর্ষে।
তবে শেষ কথাটি যেন কোনো বিশ্লেষণ বা কোনো যুক্তির ধার ধারে না। মননশীলতার আকাশে তারুণ্য বিচরণ করুক বা না করুক, কোনো আইডল প্রভাবিত করুক বা না করুক তারুণ্যের যেন জিন্সেই স্বস্তি।
No comments