নিরুত্তাপ, নিরাসক্ত রোনালদো

ছরে কয়টি এল ক্লাসিকো-ই বা হয়! সত্যিকার অর্থে বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদের ওই লড়াইগুলোতেই পরস্পরের মুখোমুখি হন লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। কিন্তু অন্য সব খেলাতেও যে প্রচ্ছন্নে থাকেন তাঁরা। বৈশ্বিক শ্রেষ্ঠত্বের অদৃশ্য এক দ্বৈরথে প্রতি ম্যাচেই লড়তে হয় তাঁদের। মেসিকে রোনালদোর বিপক্ষে, রোনালদোকে মেসির।
সাম্প্রতিক সময়ে রোনালদোকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে আরেক সমস্যার।


এ পর্তুগিজের সামনে প্রতিপক্ষ সমর্থকরা মেসির নামে জয়ধ্বনি দিয়ে তৈরি করছেন সেই পরিস্থিতি। সেপ্টেম্বরে সাইপ্রাসের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচের সময় গ্যালারি থেকে ওঠে 'মেসি, মেসি' চিৎকার। ইউরোর প্লে-অফ খেলতে বসনিয়া-হার্জেগোভিনা গেলে বিমানবন্দরে রোনালদোকে অভ্যর্থনা (!) জানানো হয় অভিন্ন ধ্বনিতে। বিশ্বসেরা ফুটবলারের দ্বৈরথে মেসির চেয়ে এ পর্তুগিজ যে পিছিয়ে আছেন, সেটি মনে করিয়ে রিয়াল-তারকাকে খেপানোর জন্যই হয়তো এ টোটকা!
রোনালদো কিন্তু খেপছেন না। অন্তত মুখে তা-ই বলেছেন তিনি, 'তারা যদি অমন করে চিৎকার করে কিংবা চুপচাপ থাকে_দুটোই আমার কাছে সমান। এসব আমাকে উসকে দেয় না। আর তাতে আমার খেলার ধরনও পাল্টে যাবে না। সত্যি বলতে কী, আমি বিষয়টিকে পাত্তাই দিচ্ছি না।' তা না হয় না দিলেন। কিন্তু ফিফা ব্যালন ডি'অর জিতে বৈশ্বিক শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় তোলার জন্য নিশ্চয়ই মুখিয়ে আছেন রোনালদো। এ নিয়েও উদ্বেগের লেশমাত্র নেই তাঁর কণ্ঠে, 'জানি না পুরস্কারটি আমি জিততে পারব কি না। তবে আমার কাছে সেটি মূল বিবেচ্য বিষয় না। এ নিয়ে আমি বিন্দুমাত্র চিন্তিত নই। এ মুহূর্তে মাদ্রিদ ভালো খেলছে, আমি ভালো করছি, আমাদের জাতীয় দল ইউরোর চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করেছে। সব মিলিয়ে আমি তাই খুশি।'
রোনালদোকে ঘিরে একটি গুঞ্জন মাথাচাড়া দিচ্ছে কিছুদিন ধরে। তিনি নাকি রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে যাচ্ছেন। অর্থনৈতিক সুদিন ফেরার পর ক্লাবটি খুব করে চাইছে এ পর্তুগিজ সুপারস্টারকে নিয়ে আসতে। কিন্তু সে সম্ভাবনায় জল ঢেলেছেন রোনালদো, 'আমি জানি ওরা বিখ্যাত ক্লাব। কিন্তু আমি রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ছি না_এ কথা শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়েই বলতে পারি।' গোল ডটকম

No comments

Powered by Blogger.