লেন্সই ভেসে উঠবে ই-মেইল!
টারমিনেটর ধাঁচের সায়েন্স ফিকশন চলচ্চিত্রেই সচরাচর এমনটি দেখা যায়। যন্ত্র-মানবের চোখে ভেসে উঠছে কম্পিউটারজাত হলোগ্রাফিক ছবি। এবার বাস্তবের মানুষের ক্ষেত্রেও বিষয়টি সত্য হয়ে ওঠার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, তাঁরা এমন ধরনের কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত কন্টাক্ট লেন্স উদ্ভাবনের পথে রয়েছেন, যার মাধ্যমে আপনার চোখের সামনেই কোনো টেঙ্ট, ই-মেইল বার্তা বা ছবি ভেসে উঠবে।
খরগোশের চোখে এ ধরনের লেন্সের নমুনা পরীক্ষায়ও সাফল্য পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। জার্নাল অব মাইক্রোমেকানিকস অ্যান্ড মাইক্রোইঞ্জিনিয়ারিং নামের সাময়িকীতে সম্প্রতি গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক শূন্যে ইমেজ তৈরি করতে সক্ষম কন্টাক্ট লেন্স তৈরির কাজ করছেন। ফিনল্যান্ডের আলতো বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকও এ ব্যাপারে তাঁদের সহায়তা করছেন। তাঁরা এমন লেন্স তৈরি করতে চাইছেন, যার মাধ্যমে ব্যক্তির চোখের সামনে ই-মেইল বা এরকম যেকোনো ধরনের বার্তা আপনা আপনিই ভেসে উঠবে। চোখের সামনে এক ধরনের হলোগ্রাফিক ইমেজ তৈরি হবে। মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারের বার্তা এলইডি আলোর মাধ্যমে রূপান্তরিত হয়ে সরাসরি চোখে প্রতিফলিত হবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, গাড়ি চালানোর সময় এ ধরনের কন্টাক্ট লেন্স পরিহিত চালক চোখের সামনে রাস্তার দিকনির্দেশনা বা গাড়ির গতির হিসাব ছবির মতো দেখতে পাবেন।
প্রাথমিক পরীক্ষায় এ ধরনের লেন্সকে নিরাপদ ও প্রয়োগযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন গবেষকরা। তবে মানুষের ব্যবহারোপযোগী করে তোলার জন্য লেন্সটির আরো মানোন্নয়নের প্রয়োজন। লেন্সটির শক্তির ভালো কোনো উৎস আবিষ্কার করতে হবে। বতর্মানে লেন্সের যে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তা কেবল তারহীন ব্যাটারির কয়েক সেন্টিমিটারের মধ্যে এলেই কাজ করতে পারে। এর ছবি ফুটিয়ে তোলার ক্ষমতাও বেশ সীমিত। লক্ষ্য অনুযায়ী লেন্সটি উদ্ভাবনে সফল হলে তা ভিডিও গেমসের জগৎকে নতুন এক পর্যায়ে নিয়ে যাবে। বায়োসেন্সরের মাধ্যমে লেন্সটি তার ব্যহারকারীর রক্তে শর্করার পরিমাণসহ চিকিৎসাসংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যও জানাতে পারবে।
গবেষকদলের প্রধান অধ্যাপক বাবাক পারভিস বলেন, 'আমাদের আগামী লক্ষ্য হবে লেন্সের মাধ্যমে পূর্বনির্ধারিত কয়েকটি লেখার ইমেজ ফুটিয়ে তোলা।' লেন্সের মাধ্যমে শূন্যে ভেসে ওঠা ইমেজের ওপর মানুষের চোখকে ফোকাস করার জটিল কাজটিও তাঁরা সফলভাবে করতে পেরেছেন বলে জানান বাবাক পারভিস। সূত্র : বিবিসি, মেইল অনলাইন।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক শূন্যে ইমেজ তৈরি করতে সক্ষম কন্টাক্ট লেন্স তৈরির কাজ করছেন। ফিনল্যান্ডের আলতো বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকও এ ব্যাপারে তাঁদের সহায়তা করছেন। তাঁরা এমন লেন্স তৈরি করতে চাইছেন, যার মাধ্যমে ব্যক্তির চোখের সামনে ই-মেইল বা এরকম যেকোনো ধরনের বার্তা আপনা আপনিই ভেসে উঠবে। চোখের সামনে এক ধরনের হলোগ্রাফিক ইমেজ তৈরি হবে। মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারের বার্তা এলইডি আলোর মাধ্যমে রূপান্তরিত হয়ে সরাসরি চোখে প্রতিফলিত হবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, গাড়ি চালানোর সময় এ ধরনের কন্টাক্ট লেন্স পরিহিত চালক চোখের সামনে রাস্তার দিকনির্দেশনা বা গাড়ির গতির হিসাব ছবির মতো দেখতে পাবেন।
প্রাথমিক পরীক্ষায় এ ধরনের লেন্সকে নিরাপদ ও প্রয়োগযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন গবেষকরা। তবে মানুষের ব্যবহারোপযোগী করে তোলার জন্য লেন্সটির আরো মানোন্নয়নের প্রয়োজন। লেন্সটির শক্তির ভালো কোনো উৎস আবিষ্কার করতে হবে। বতর্মানে লেন্সের যে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তা কেবল তারহীন ব্যাটারির কয়েক সেন্টিমিটারের মধ্যে এলেই কাজ করতে পারে। এর ছবি ফুটিয়ে তোলার ক্ষমতাও বেশ সীমিত। লক্ষ্য অনুযায়ী লেন্সটি উদ্ভাবনে সফল হলে তা ভিডিও গেমসের জগৎকে নতুন এক পর্যায়ে নিয়ে যাবে। বায়োসেন্সরের মাধ্যমে লেন্সটি তার ব্যহারকারীর রক্তে শর্করার পরিমাণসহ চিকিৎসাসংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যও জানাতে পারবে।
গবেষকদলের প্রধান অধ্যাপক বাবাক পারভিস বলেন, 'আমাদের আগামী লক্ষ্য হবে লেন্সের মাধ্যমে পূর্বনির্ধারিত কয়েকটি লেখার ইমেজ ফুটিয়ে তোলা।' লেন্সের মাধ্যমে শূন্যে ভেসে ওঠা ইমেজের ওপর মানুষের চোখকে ফোকাস করার জটিল কাজটিও তাঁরা সফলভাবে করতে পেরেছেন বলে জানান বাবাক পারভিস। সূত্র : বিবিসি, মেইল অনলাইন।
No comments