প্রকল্পে অনিয়ম-পিছিয়ে যাচ্ছে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন
প্রকল্প আছে। আছে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ। কিন্তু প্রকল্পের কাজই শুরু হয়নি। প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের টাকাও খরচ করা হয়নি বা খরচ করা যায়নি। সময়ের ব্যবধানে প্রকল্প ব্যয় বেড়ে গেছে। এখন প্রকল্প শুরু করতে গেলে লাগবে বাড়তি বরাদ্দ। সেই বাড়তি বরাদ্দের অপেক্ষায় থাকতে গিয়ে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে উন্নয়ন।
প্রয়োজনীয় বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সরকারের অনেক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ এখনো শুরু হয়নি বলে পত্রিকান্তরে প্রকাশিত
প্রয়োজনীয় বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও সরকারের অনেক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ এখনো শুরু হয়নি বলে পত্রিকান্তরে প্রকাশিত
খবরে বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সিডরে বিধ্বস্ত এলাকার উন্নয়নের একটি প্রকল্প। এ প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল দেড় কোটি টাকা। এই দেড় কোটি টাকার একটি টাকাও ব্যয় হয়নি। খরচ হয়নি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উন্নয়নের ৬৭ কোটি টাকা। মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে মিরপুরে একটি হাসপাতাল নির্মাণের জন্য বরাদ্দ ছিল ১০ কোটি টাকা। সেই টাকাও ব্যয় করা হয়নি। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটি হাসপাতালের স্বপ্ন এখনো স্বপ্নই রয়ে গেছে। খরচ হয়নি চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের উন্নয়নের টাকাও। এ রকম ৬৪টি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয় করতে পারেনি বা ব্যয় করেনি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট বিভাগ। উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা এসব অর্থ ব্যয় না করার পেছনে কিছু যুক্তি থাকতে পারে। সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো মনে করতে পারে, বরাদ্দ করা অর্থ ওই কাজের জন্য অপ্রতুল। সে ক্ষেত্রে কাজ শুরু করে বাড়তি বরাদ্দ চাওয়া যেতে পারত। কিন্তু তা না করে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করাই হয়নি। এতে নতুন করে এ প্রকল্পগুলো শুরু করতে গেলে ব্যয় বাড়বে। বাড়বে অর্থছাড়-সংক্রান্ত জটিলতাও। একই সঙ্গে এতগুলো প্রকল্প শুরু করতে না পারার পেছনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আগ্রহের অভাবের বিষয়টিও উঠে আসে। ধারণা করা যেতে পারে, সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা প্রকল্প বাস্তবায়নে আন্তরিক ছিলেন না।
পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, গত অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে মোট এক হাজার ১১৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এডিপির ব্যাপারে বাংলাদেশের বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশে প্রতিবছরই সরকার একটি বিশাল এডিপি গ্রহণ করে। কিন্তু বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেখা যায় সরকারের গ্রহণ করা এডিপি কখনো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। এডিপি বাস্তবায়নের সাফল্য বা ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে একটি সরকারের সফলতা ও ব্যর্থতার চিত্র কিছুটা হলেও ফুটে ওঠে। এডিপিকে কেন্দ্র করে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য দেখা দেয়। আয় বৃদ্ধি হয়, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। কাজেই অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এডিপি বাস্তবায়নের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
সরকারের এসব প্রকল্পের মধ্যে যেমন এলাকার উন্নয়ন জড়িত, তেমনি এসব প্রকল্পের জন্য আনা বৈদেশিক মুদ্রা যথাসময়ে যথানিয়মে ব্যবহার না করলে দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তাই উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শুরু ও শেষ হওয়া বাঞ্ছনীয়।
পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, গত অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে মোট এক হাজার ১১৯টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এডিপির ব্যাপারে বাংলাদেশের বাস্তবতা হচ্ছে, বাংলাদেশে প্রতিবছরই সরকার একটি বিশাল এডিপি গ্রহণ করে। কিন্তু বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দেখা যায় সরকারের গ্রহণ করা এডিপি কখনো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। এডিপি বাস্তবায়নের সাফল্য বা ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে একটি সরকারের সফলতা ও ব্যর্থতার চিত্র কিছুটা হলেও ফুটে ওঠে। এডিপিকে কেন্দ্র করে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য দেখা দেয়। আয় বৃদ্ধি হয়, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। কাজেই অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এডিপি বাস্তবায়নের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
সরকারের এসব প্রকল্পের মধ্যে যেমন এলাকার উন্নয়ন জড়িত, তেমনি এসব প্রকল্পের জন্য আনা বৈদেশিক মুদ্রা যথাসময়ে যথানিয়মে ব্যবহার না করলে দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তাই উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শুরু ও শেষ হওয়া বাঞ্ছনীয়।
No comments