ওয়ারেন বাফেট : একজন বিস্ময়কর ব্যক্তি by আবু এন এম ওয়াহিদ
বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে তিন নম্বর হলেন আমেরিকার ওয়ারেন বাফেট। মেঙ্েিকার টেলিকমিউনিকেশন টাইকুন কার্লোস স্লিম এবং মাইক্রোসফটের বিল গেটসের পরই তাঁর স্থান। ব্যবসা জগতে তিনি 'ওরাকল অব ওমাহা' বা 'ওমাহার বিচক্ষণ জন' বলে পরিচিত। তিনি মাল্টিবিলিয়ন ডলার কনগ্লোমারেট 'বার্কশায়ার হ্যাথাও'-এর মূল মালিক এবং চেয়ারম্যান। বর্তমানে তাঁর নিট সম্পদের পরিমাণ তিন হাজার ৭০০ কোটি ডলার।
২০০৬ সালে যখন তাঁর নিজস্ব শেয়ারের মূল্য ছিল পাঁচ হাজার ১৭৫ কোটি ডলার, তখন তিনি তাঁর সম্পদের ৮৫ শতাংশ (চার হাজার ৪০০ কোটি ডলার) কয়েকটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করার ঘোষণা দিয়ে বিশ্ব মিডিয়ার নজর কাড়েন। ১৯৩০ সালের ৩০ আগস্ট আমেরিকার নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যের ওমাহা শহরে ওয়ারেন বাফেটের জন্ম। প্রেইরি অঞ্চলের একটি রিমোট ছোট্ট শহরে জন্ম হলেও তাঁর বেড়ে ওঠা একটি সচ্ছল পরিবারে, সুন্দর পরিবেশে। তাঁর বাবা হাওয়ার্ড বাফেট প্রথম জীবনে একজন স্টক ব্রোকার হলেও পরে নেব্রাস্কা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁর মা লেইলা বাফেট ছিলেন একজন গৃহকর্ত্রী। ওয়ারেন বাফেট আন্ডার গ্র্যাজুয়েট লেখাপড়া করেন ইউনিভার্সিটি অব নেব্রাস্কায়, লিংকন ক্যাম্পাসে। তারপর মাস্টার ডিগ্রি নেন নিউ ইয়র্কের বিখ্যাত কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে।
এই দানবীর ও সফল ব্যবসায়ীর ব্যক্তিগত জীবনযাপন সম্পর্কে কতগুলো মজার তথ্য পাওয়া গেছে ইন্টারনেট সূত্রে। বাফেট তাঁর জীবনে প্রথম শেয়ার কিনেছিলেন ১১ বছর বয়সে। এখন তিনি মনে করেন, ওই কাজ তাঁর আরো আগে শুরু করা উচিত ছিল। ছোটবেলায় তিনি প্রতিবেশীদের ঘরে ঘরে পেপার বিলি করতেন। তা থেকে যা সঞ্চয় হয়েছিল, তা দিয়ে তিনি একটি ছোট্ট খামার কিনেছিলেন, মাত্র ১৪ বছর বয়সে। এর আগের বছর একান্ত নিজস্ব উদ্যোগে তিনি একটি ছোট ব্যবসাও শুরু করেছিলেন। ওয়ারেন বাফেট তাঁর হোম টাউনে ৫০ বছরের বেশি পুরনো একটি বাড়িতে থাকেন। এই বাড়িটি তিনি তাঁর বিয়ের পর ১৯৫৮ সালে কিনেছিলেন মাত্র ৩১ হাজার ৫০০ ডলার দিয়ে ওমাহার একটি উচ্চ-মধ্যবিত্ত আবাসিক এলাকায়। বর্তমানে এ এলাকায় একটি বাড়ির দাম হবে পাঁচ-ছয় লাখ ডলার। তাঁর বাড়ির চারদিকে কোনো দেয়াল বা বেড়া নেই, গেট নেই, দারোয়ান নেই, নেই কোনো সার্ভেইল্যান্স ক্যামেরা। বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি হয়েও তিনি অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং সাধারণ জীবন যাপন করেন। তিনি নিজে গাড়ি চালান। তাঁর কোনো ড্রাইভার নেই, নেই কোনো দেহরক্ষী। মাঝেমধ্যে তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে বাসেও চলাফেরা করেন। সাধারণ মানুষের ভিড়ে সাধারণ দোকানপাটে কেনাকাটা করেন। অন্যান্য ধনকুবেরের মতো তাঁর কোনো প্রাইভেট জেট প্লেন নেই, যদিও তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাইভেট জেট কম্পানির মালিক।
তাঁর মূল মালিকানায় বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের অধীনে আছে ৬৩টি বড় কম্পানি। এসব কম্পানির সিইওদের সঙ্গে তিনি নিয়মিত মিটিং তো দূরের কথা, কনফারেন্সও কল করেন না। বছরের শুরুতে তিনি সবাইকে একটি চিঠির মাধ্যমে প্রতিটি কম্পানির জন্য ওই বছরের আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেন। তাঁর সব সাবসিডিয়ারি কম্পানির প্রতি তাঁর দুটি কড়া নির্দেশ_১. শেয়ারহোল্ডারদের একটি পয়সাও হারাতে দেবে না, ২. প্রথম নির্দেশ কখনো ভুলবে না। তিনি ধনী এবং সেলিব্রিটিদের সঙ্গে ওঠবোস করেন কদাচিৎ। অতিমাত্রায় ধনী হয়েও তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে চলাফেরায় অধিক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। দিনের কাজ শেষে বিকেলে বাড়িতে এলে টিভি দেখে অবসর সময় কাটান। তার আগে নিজ হাতে মাইক্রোওয়েভ ওভেনে এক ব্যাগ পপকর্ন ফোটান এবং পপকর্ন খেতে খেতে টিভি দেখেন। তাঁর কোনো সেলফোন নেই; এবং তাঁর ডেস্কে একটি কম্পিউটারও নেই। পাঁচ বছর আগে বিল গেটস ওয়ারেন বাফেটের সঙ্গে একটি মিটিংয়ের পরিকল্পনা করেন। যেহেতু ওয়ারেন বাফেটের সঙ্গে বিল গেটসের তেমন কিছুই কমন নেই, তাই বিল গেটস মাত্র ৩০ মিনিট সময় রেখেছিলেন ওয়ারেন বাফেটের জন্য। কিন্তু শুরু হওয়ার পর দুই ধনকুবেরের মধ্যে সেই মিটিং চলছিল দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা ধরে। ওয়ারেন বাফেটের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিল গেটস এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে তাঁর মতো ব্যক্তি শত ব্যস্ততা সত্ত্বেও ওই দীর্ঘ আলোচনা চালিয়ে যেতে একটুও অনীহা প্রকাশ করেননি। ওয়ারেন বাফেটের অনুদানের সিংহ ভাগই যাবে 'বিল অ্যান্ড ম্যালিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন'-এ। অবশিষ্ট অংশ যাবে তাঁর তিন ছেলেমেয়ের নামে প্রতিষ্ঠিত আলাদা তিনটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে এবং আরো দু-একটি চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশনে। ওয়ারেন বাফেট তাঁর মালিকানাধীন 'বার্কশায়ার হ্যাথাও'-এর শেয়ার একসঙ্গে না দিয়ে কিস্তিতে কিস্তিতে দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে তুলে দেবেন।
ইন্টারনেট সূত্রে ওয়ারেন বাফেটের আরেকটি প্রতিশ্রুতির সন্ধান পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায়, তিনি তাঁর অবশিষ্ট ১৫ শতাংশ সম্পত্তির মধ্যে মাত্র ১ শতাংশ রেখে বাকি ১৪ শতাংশও দান করে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এই প্রতিজ্ঞাপত্রে তিনি বলেছেন তাঁর মৃত্যুর ১০ বছরের মধ্যে তাঁর সমুদয় সম্পত্তির ৯৯ শতাংশ সাধারণ জনগণের কল্যাণে ব্যয় করে ফেলতে। বিচিত্র অভিজ্ঞতায় ভরা ওয়ারেন বাফেটের দীর্ঘ জীবন। এখন তাঁর বয়স ৮১ বছর। বর্তমানে ঋণভারে জর্জরিত মার্কিন ফেডারেল সরকারের প্রতি তাঁর উদাত্ত আহ্বান, 'খরচ কমাও এবং ধনীদের ওপর ট্যাঙ্ বাড়াও'। ধনী হয়েও তিনি ধনীদের ওপর ট্যাঙ্ বাড়ানোর কথা বলে বিশ্বের বিবেকমান মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ঠিকই, কিন্তু পাষাণ-হৃদয় আমেরিকান মিলিয়নেয়ার এবং কংগ্রেসম্যানদের মন গলাতে পারেননি। আমেরিকার উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কংগ্রেসম্যান দেশের সাধারণ মানুষের চেয়ে ধনী লোক; এবং করপোরেট জায়ান্টদের স্বার্থই তাঁরা বেশি করে দেখেন। কারণ তাদের সাহায্যে এবং টাকায় তাঁরা নির্বাচিত হন। বিশ্বের তাবৎ তরুণ-তরুণীর প্রতি ওয়ারেন বাফেটের উপদেশ, 'ইনভেস্ট ইন ইয়োরসেলফ অ্যান্ড স্টে অ্যাওয়ে ফ্রম ক্রেডিট কার্ডস'। অর্থাৎ 'লেখাপড়া করো এবং ঋণ থেকে দূরে থাক'। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ওয়ারেন বাফেটের জীবন থেকে শিক্ষা নেবেন_দেশের জনগণ কি এই আশা করতে পারে?
লেখক : অধ্যাপক, টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটি; এডিটর, জার্নাল অব ডেভেলপিং এরিয়াজ
awahid@tnstate.edu
এই দানবীর ও সফল ব্যবসায়ীর ব্যক্তিগত জীবনযাপন সম্পর্কে কতগুলো মজার তথ্য পাওয়া গেছে ইন্টারনেট সূত্রে। বাফেট তাঁর জীবনে প্রথম শেয়ার কিনেছিলেন ১১ বছর বয়সে। এখন তিনি মনে করেন, ওই কাজ তাঁর আরো আগে শুরু করা উচিত ছিল। ছোটবেলায় তিনি প্রতিবেশীদের ঘরে ঘরে পেপার বিলি করতেন। তা থেকে যা সঞ্চয় হয়েছিল, তা দিয়ে তিনি একটি ছোট্ট খামার কিনেছিলেন, মাত্র ১৪ বছর বয়সে। এর আগের বছর একান্ত নিজস্ব উদ্যোগে তিনি একটি ছোট ব্যবসাও শুরু করেছিলেন। ওয়ারেন বাফেট তাঁর হোম টাউনে ৫০ বছরের বেশি পুরনো একটি বাড়িতে থাকেন। এই বাড়িটি তিনি তাঁর বিয়ের পর ১৯৫৮ সালে কিনেছিলেন মাত্র ৩১ হাজার ৫০০ ডলার দিয়ে ওমাহার একটি উচ্চ-মধ্যবিত্ত আবাসিক এলাকায়। বর্তমানে এ এলাকায় একটি বাড়ির দাম হবে পাঁচ-ছয় লাখ ডলার। তাঁর বাড়ির চারদিকে কোনো দেয়াল বা বেড়া নেই, গেট নেই, দারোয়ান নেই, নেই কোনো সার্ভেইল্যান্স ক্যামেরা। বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি হয়েও তিনি অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং সাধারণ জীবন যাপন করেন। তিনি নিজে গাড়ি চালান। তাঁর কোনো ড্রাইভার নেই, নেই কোনো দেহরক্ষী। মাঝেমধ্যে তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে বাসেও চলাফেরা করেন। সাধারণ মানুষের ভিড়ে সাধারণ দোকানপাটে কেনাকাটা করেন। অন্যান্য ধনকুবেরের মতো তাঁর কোনো প্রাইভেট জেট প্লেন নেই, যদিও তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাইভেট জেট কম্পানির মালিক।
তাঁর মূল মালিকানায় বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের অধীনে আছে ৬৩টি বড় কম্পানি। এসব কম্পানির সিইওদের সঙ্গে তিনি নিয়মিত মিটিং তো দূরের কথা, কনফারেন্সও কল করেন না। বছরের শুরুতে তিনি সবাইকে একটি চিঠির মাধ্যমে প্রতিটি কম্পানির জন্য ওই বছরের আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেন। তাঁর সব সাবসিডিয়ারি কম্পানির প্রতি তাঁর দুটি কড়া নির্দেশ_১. শেয়ারহোল্ডারদের একটি পয়সাও হারাতে দেবে না, ২. প্রথম নির্দেশ কখনো ভুলবে না। তিনি ধনী এবং সেলিব্রিটিদের সঙ্গে ওঠবোস করেন কদাচিৎ। অতিমাত্রায় ধনী হয়েও তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে চলাফেরায় অধিক স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। দিনের কাজ শেষে বিকেলে বাড়িতে এলে টিভি দেখে অবসর সময় কাটান। তার আগে নিজ হাতে মাইক্রোওয়েভ ওভেনে এক ব্যাগ পপকর্ন ফোটান এবং পপকর্ন খেতে খেতে টিভি দেখেন। তাঁর কোনো সেলফোন নেই; এবং তাঁর ডেস্কে একটি কম্পিউটারও নেই। পাঁচ বছর আগে বিল গেটস ওয়ারেন বাফেটের সঙ্গে একটি মিটিংয়ের পরিকল্পনা করেন। যেহেতু ওয়ারেন বাফেটের সঙ্গে বিল গেটসের তেমন কিছুই কমন নেই, তাই বিল গেটস মাত্র ৩০ মিনিট সময় রেখেছিলেন ওয়ারেন বাফেটের জন্য। কিন্তু শুরু হওয়ার পর দুই ধনকুবেরের মধ্যে সেই মিটিং চলছিল দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা ধরে। ওয়ারেন বাফেটের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিল গেটস এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে তাঁর মতো ব্যক্তি শত ব্যস্ততা সত্ত্বেও ওই দীর্ঘ আলোচনা চালিয়ে যেতে একটুও অনীহা প্রকাশ করেননি। ওয়ারেন বাফেটের অনুদানের সিংহ ভাগই যাবে 'বিল অ্যান্ড ম্যালিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন'-এ। অবশিষ্ট অংশ যাবে তাঁর তিন ছেলেমেয়ের নামে প্রতিষ্ঠিত আলাদা তিনটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে এবং আরো দু-একটি চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশনে। ওয়ারেন বাফেট তাঁর মালিকানাধীন 'বার্কশায়ার হ্যাথাও'-এর শেয়ার একসঙ্গে না দিয়ে কিস্তিতে কিস্তিতে দাতব্য প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে তুলে দেবেন।
ইন্টারনেট সূত্রে ওয়ারেন বাফেটের আরেকটি প্রতিশ্রুতির সন্ধান পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায়, তিনি তাঁর অবশিষ্ট ১৫ শতাংশ সম্পত্তির মধ্যে মাত্র ১ শতাংশ রেখে বাকি ১৪ শতাংশও দান করে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এই প্রতিজ্ঞাপত্রে তিনি বলেছেন তাঁর মৃত্যুর ১০ বছরের মধ্যে তাঁর সমুদয় সম্পত্তির ৯৯ শতাংশ সাধারণ জনগণের কল্যাণে ব্যয় করে ফেলতে। বিচিত্র অভিজ্ঞতায় ভরা ওয়ারেন বাফেটের দীর্ঘ জীবন। এখন তাঁর বয়স ৮১ বছর। বর্তমানে ঋণভারে জর্জরিত মার্কিন ফেডারেল সরকারের প্রতি তাঁর উদাত্ত আহ্বান, 'খরচ কমাও এবং ধনীদের ওপর ট্যাঙ্ বাড়াও'। ধনী হয়েও তিনি ধনীদের ওপর ট্যাঙ্ বাড়ানোর কথা বলে বিশ্বের বিবেকমান মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ঠিকই, কিন্তু পাষাণ-হৃদয় আমেরিকান মিলিয়নেয়ার এবং কংগ্রেসম্যানদের মন গলাতে পারেননি। আমেরিকার উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কংগ্রেসম্যান দেশের সাধারণ মানুষের চেয়ে ধনী লোক; এবং করপোরেট জায়ান্টদের স্বার্থই তাঁরা বেশি করে দেখেন। কারণ তাদের সাহায্যে এবং টাকায় তাঁরা নির্বাচিত হন। বিশ্বের তাবৎ তরুণ-তরুণীর প্রতি ওয়ারেন বাফেটের উপদেশ, 'ইনভেস্ট ইন ইয়োরসেলফ অ্যান্ড স্টে অ্যাওয়ে ফ্রম ক্রেডিট কার্ডস'। অর্থাৎ 'লেখাপড়া করো এবং ঋণ থেকে দূরে থাক'। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ওয়ারেন বাফেটের জীবন থেকে শিক্ষা নেবেন_দেশের জনগণ কি এই আশা করতে পারে?
লেখক : অধ্যাপক, টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটি; এডিটর, জার্নাল অব ডেভেলপিং এরিয়াজ
awahid@tnstate.edu
No comments