সাক্ষাৎকার-সিল্ক স্মিতার মতো সাহসী হওয়ার চেষ্টা করেছি by অনন্য রেজা করিম
দ্য ডার্টি পিকচার' ছবিটি নির্মাণের আগে থেকেই ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২ ডিসেম্বর ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে। দক্ষিণী ছবির একসময়ের হট সেনসেশন সিল্ক স্মিতার বাস্তব জীবনের ঘটনাবলি নিয়ে নির্মিত বায়োগ্রাফিক্যাল ছবিটিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিদ্যা বালান। এত দিন বিভিন্ন ছবিতে তাঁকে যে রূপে দেখা গেছে, এর চেয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত ও ভিন্ন ইমেজে তাঁকে দেখা যাবে এ ছবিতে।
ছবিটি বিদ্যার ক্যারিয়ারে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অভিনীত চরিত্র ও ছবিটি নিয়ে বিদ্যা বালান সম্প্রতি বেশ কিছু সাক্ষাৎকারে অনেক কথা বলেছেন। সেই সাক্ষাৎকারগুলোর চুম্বক অংশ এখানে তুলে ধরেছেন অনন্য রেজা করিম
'দ্য ডার্টি পিকচার'-এ আপনার আবেদনময়ী রূপ নিয়ে অনেক ধরনের কথা হচ্ছে। দর্শক আপনাকে যে রূপে দেখে এসেছে, এখানে তার সম্পূর্ণ বিপরীত এক ইমেজের চরিত্রে দর্শকদের সামনে আসছেন। এ রকম একটি চরিত্রে নিজেকে মানিয়ে নেওয়াটা আপনার জন্য কঠিন ছিল। এ ক্ষেত্রে কতটা সার্থক বলে মনে করছেন নিজেকে?
বিদ্যা বালান : আমি তো নিজেকে হানড্রেড পার্সেন্ট উজাড় করে দিয়েছিলাম। অভিনীত চরিত্রটির একদম গভীরে পেঁৗছে যেতে যা করার প্রয়োজন ছিল তার সবই করেছি। এ জন্য শরীরের ওজন বাড়িয়ে মোটা হয়েছি, প্রচণ্ড জ্বর নিয়েও শুটিং করেছি, বাথটাবের ময়লা পানিতে শরীর ডুবিয়ে অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হয়েছি, ধূমপান করেছি, অভিনীত চরিত্রটির দাবি মেটাতে খোলামেলা সাজপোশাকে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছি, বিচিত্র উত্তেজক অঙ্গভঙ্গির নাচগানের দৃশ্যে পারফর্ম করেছি। এর আগে কোনো ছবিতে অভিনয়ের জন্য আমাকে এতটা ত্যাগ স্বীকার করতে হয়নি। 'দ্য ডার্টি পিকচার' ছবিটি আমার অভিনয়জীবনেই শুধু নয়, ব্যক্তিজীবনের জন্যও বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল। এ ক্ষেত্রে আমি কতটা সার্থক হয়েছি সেটা বিচার করবেন দর্শক-সমালোচক সবাই। তবে এ ছবিতে আমার কাজ নিয়ে আমি বেশ সন্তুষ্ট ও পরিতৃপ্ত।
ছবিটির প্রমো দেখে অনেক দর্শক আপনাকে 'ফ্যান্টাসি', 'মাসালা বেবি', 'পাটাখা', 'বুম্বাট'_এ রকম বিচিত্র সম্বোধনে অভিহিত করছেন। এ ব্যাপারটা আপনার জন্য অস্বস্তিকর মনে হচ্ছে, নাকি মনে আলাদা অনুভূতি ছড়িয়ে দিচ্ছে?
বিদ্যা : আমি আসলে ব্যাপারটা ভীষণ উপভোগ করছি। ছবিটি মুক্তির আগেই প্রমো দেখে দর্শক যেভাবে উত্তেজিত হয়ে উঠেছেন, ছবিটি দেখার পর তাঁদের কী অবস্থা হবে ভেবে বেশ মজা পাচ্ছি। আমি 'দ্য ডার্টি পিকচার'-এর যে চরিত্রটি রূপায়ণ করেছি, সেটি একটি বাস্তব চরিত্র, অনেকেই তাঁকে চেনেন। এখানে বাহুল্য কিছু নেই। বাস্তব জীবনের একটি চরিত্রকে আমি সেলুলয়েডে রূপায়ণ করেছি ঠিক তার মতো করেই। যাকে দেখে দর্শক চমকে উঠছেন, তাঁরা নানাভাবে তাঁদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। এসবই ওই চরিত্রটির জন্য প্রাপ্য। আমি স্রেফ তার রূপায়ণকারী একজন অভিনেত্রী মাত্র।
এ ছবিতে আপনি এতটা সাহসী হলেন কিভাবে? আপনি তেমন সাহসী ছিলেন না এর আগে।
বিদ্যা : ওহ্, তাই বুঝি! সাহসী-দুঃসাহসী সবই হয়েছি অভিনীত চরিত্রটি যথাযথভাবে রূপায়ণের জন্য। একজন অভিনেত্রী হিসেবে চেয়েছি চরিত্রটিকে জীবন্ত করে তুলতে। এখানে কোনো কিছুতে ছাড় দেওয়ার সুযোগ ছিল না। আমাকে আবেদনময়ী ইমেজে দেখে হয়তো অনেক দর্শক চমকে উঠেছেন। এখানে অস্বাভাবিকতা কিছু নেই। প্রত্যেক নারীর মধ্যেই এই আবেদনময় রূপটা বিদ্যমান। আমরা মেয়েরা জানি, কিভাবে পুরুষদের আকৃষ্ট করতে হয়_'দ্য ডার্টি পিকচার' ছবিতে আমি আমার আবেদনময় রূপটাকে পুরোপুরিভাবে তুলে ধরেছি। বলতে দ্বিধা নেই, ব্যাপারটা বেশ উপভোগও করেছি। এ ছবির প্রযোজক একতা কাপুর ও পরিচালক মিলন লুথারিয়া আমাকে তেমন সুযোগ দিয়েছেন বলেই আমি তা করতে পেরেছি।
'দ্য ডার্টি পিকচার'কে কেউ কেউ যৌনতাসর্বস্ব ছবি বলে অভিহিত করছেন। এ সম্পর্কে আপনি কী বলেন?
বিদ্যা : আগে ছবিটি মুক্তি পাক। তারপর ছবিটি দেখে এটার ক্যাটাগরি নির্ধারণ করতে বলব সবাইকে। একজন অভিনেত্রীর জীবনের নানা চড়াই-উতরাই, ঘাত-প্রতিঘাত, দুঃখ-বেদনা, আনন্দ, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, বঞ্চনা আর একান্ত কিছু ব্যাপার ছবিটিতে তুলে ধরা হয়েছে অনেকটা সাহসীভাবে। যৌনতাকে এখানে কোনোভাবেই খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়নি। যৌনতা এসেছে বাস্তব জীবনের অনুষঙ্গ হিসেবে। এখানে যৌনতা নিয়ে বাড়াবাড়ি কিছু করা হয়নি। আজকাল বলিউডি সিনেমায় যৌনতা আরো অনেক বেশি সাহসীভাবে আসছে।
সিল্ক স্মিতার চরিত্রটি রূপায়ণ করতে গিয়ে তাঁর মতো করে নাচ-গান করা, অভিনয়, পোশাক-আশাক-সাজসজ্জায় নিজেকে তাঁর মতো করে তোলাটা বেশ কঠিন কাজ ছিল আপনার জন্য।
বিদ্যা : সিল্ক স্মিতার ছবি খুব বেশি একটা দেখিনি। অনেক আগেই তাঁর অভিনীত 'সদমা' ছবিটি দেখেছিলাম। শ্রীদেবী ও কমল হাসানের পাশাপাশি সিল্ক স্মিতার চরিত্রটিও ছিল বেশ বড়। ওখানে তাঁর অভিনয় ছিল উল্লেখ করার মতো। আসলে সিল্ক স্মিতার চরিত্রটি রূপায়ণের জন্য আমার তেমন প্রস্তুতি ছিল না। পরিচালক মিলন লুথারিয়ার একটাই নির্দেশনা ছিল, আমাকে 'বিন্দাস' হতে হবে, যে করেই হোক। সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন যে কত কঠিন কাজ, তা করতে গিয়ে টের পেয়েছি। কিভাবে কোন সূত্র ধরে এগোব, আমি কোনো ক্লুই খুঁজে পাচ্ছিলাম না শুরুতে। স্ক্রিপ্ট পাওয়ার পর তা আত্মস্থ করেছি, নিজে নিজে ঠিক করেছি কিভাবে রূপায়ণ করব তা। এখন আমার উপলব্ধি হয়েছে, পরিচালক মিলন লুথারিয়া 'বিন্দাস' বলতে কী বোঝাতে চেয়েছিলেন। সিল্ক স্মিতা ছিলেন সাহসী, আমিও তাঁর মতো হতে চেষ্টা করেছি এ ছবিতে। নিজেকে তেমনি উদার, সাহসী ও বেপরোয়াভাবে উপস্থাপন করতে গিয়ে ভেতরে ভেতরে অন্য রকম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে আমার মধ্যে।
এ ছবিতে নাসিরউদ্দিন শাহ, ইমরান হাশমি, তুষার কাপুরের মতো তিন ভিন্ন বয়সী ও ক্যাটাগরির অভিনেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করেছেন। কেমন অভিজ্ঞতা হয়েছে?
বিদ্যা : নাসিরউদ্দিন শাহ একজন সিনিয়র অভিনেতা। তাঁর সঙ্গে এর আগেও 'ইশকিয়া' ছবিতে অভিনয় করেছি। তাঁর মতো একজন দক্ষ অভিনেতার সঙ্গে আবারও কাজ করতে গিয়ে বেশ ভালো লেগেছে। ইমরান হাশমি ও তুষার কাপুরের সঙ্গে প্রথমবার অভিনয় হলেও আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করেছি। ঘনিষ্ঠ দৃশ্যগুলো চিত্রায়ণে কোনো রকম অশালীনতাকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়নি। নাসিরউদ্দিন শাহ, ইমরান হাশমি, তুষার কাপুর এবং আমি এ ব্যাপারে পরস্পরের প্রতি কো-অপারেটিভ ছিলাম বলে তেমন কোনো অস্বস্তিবোধ হয়নি।
'দ্য ডার্টি পিকচার' ছবিতে অভিনয়ের জন্য আগামী বছর সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পাবেন, অনেকেই বলাবলি করছেন। এ সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কী?
বিদ্যা : পুরস্কারের লোভ আমার নেই_এমন কথা বলব না। তবে পুরস্কার পাওয়ার টার্গেট নিয়ে 'দ্য ডার্টি পিকচার' ছবিতে অভিনয় করিনি। এর আগেও 'পরিণীতা' বা 'ইশকিয়া' ছবিতে অভিনয়ের জন্য বহু পুরস্কার পেয়েছি। 'দ্য ডার্টি পিকচার' আমার জন্য একটি সিরিয়াস চ্যালেঞ্জ ছিল। আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে কার্পণ্য করিনি। সবাই যদি ছবিটি দেখে মুগ্ধ ও আনন্দিত হন, তাহলে আমার সব চেষ্টা ও পরিশ্রম সার্থক হবে বলে মনে করি।
'দ্য ডার্টি পিকচার'-এ আপনার আবেদনময়ী রূপ নিয়ে অনেক ধরনের কথা হচ্ছে। দর্শক আপনাকে যে রূপে দেখে এসেছে, এখানে তার সম্পূর্ণ বিপরীত এক ইমেজের চরিত্রে দর্শকদের সামনে আসছেন। এ রকম একটি চরিত্রে নিজেকে মানিয়ে নেওয়াটা আপনার জন্য কঠিন ছিল। এ ক্ষেত্রে কতটা সার্থক বলে মনে করছেন নিজেকে?
বিদ্যা বালান : আমি তো নিজেকে হানড্রেড পার্সেন্ট উজাড় করে দিয়েছিলাম। অভিনীত চরিত্রটির একদম গভীরে পেঁৗছে যেতে যা করার প্রয়োজন ছিল তার সবই করেছি। এ জন্য শরীরের ওজন বাড়িয়ে মোটা হয়েছি, প্রচণ্ড জ্বর নিয়েও শুটিং করেছি, বাথটাবের ময়লা পানিতে শরীর ডুবিয়ে অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হয়েছি, ধূমপান করেছি, অভিনীত চরিত্রটির দাবি মেটাতে খোলামেলা সাজপোশাকে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছি, বিচিত্র উত্তেজক অঙ্গভঙ্গির নাচগানের দৃশ্যে পারফর্ম করেছি। এর আগে কোনো ছবিতে অভিনয়ের জন্য আমাকে এতটা ত্যাগ স্বীকার করতে হয়নি। 'দ্য ডার্টি পিকচার' ছবিটি আমার অভিনয়জীবনেই শুধু নয়, ব্যক্তিজীবনের জন্যও বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল। এ ক্ষেত্রে আমি কতটা সার্থক হয়েছি সেটা বিচার করবেন দর্শক-সমালোচক সবাই। তবে এ ছবিতে আমার কাজ নিয়ে আমি বেশ সন্তুষ্ট ও পরিতৃপ্ত।
ছবিটির প্রমো দেখে অনেক দর্শক আপনাকে 'ফ্যান্টাসি', 'মাসালা বেবি', 'পাটাখা', 'বুম্বাট'_এ রকম বিচিত্র সম্বোধনে অভিহিত করছেন। এ ব্যাপারটা আপনার জন্য অস্বস্তিকর মনে হচ্ছে, নাকি মনে আলাদা অনুভূতি ছড়িয়ে দিচ্ছে?
বিদ্যা : আমি আসলে ব্যাপারটা ভীষণ উপভোগ করছি। ছবিটি মুক্তির আগেই প্রমো দেখে দর্শক যেভাবে উত্তেজিত হয়ে উঠেছেন, ছবিটি দেখার পর তাঁদের কী অবস্থা হবে ভেবে বেশ মজা পাচ্ছি। আমি 'দ্য ডার্টি পিকচার'-এর যে চরিত্রটি রূপায়ণ করেছি, সেটি একটি বাস্তব চরিত্র, অনেকেই তাঁকে চেনেন। এখানে বাহুল্য কিছু নেই। বাস্তব জীবনের একটি চরিত্রকে আমি সেলুলয়েডে রূপায়ণ করেছি ঠিক তার মতো করেই। যাকে দেখে দর্শক চমকে উঠছেন, তাঁরা নানাভাবে তাঁদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। এসবই ওই চরিত্রটির জন্য প্রাপ্য। আমি স্রেফ তার রূপায়ণকারী একজন অভিনেত্রী মাত্র।
এ ছবিতে আপনি এতটা সাহসী হলেন কিভাবে? আপনি তেমন সাহসী ছিলেন না এর আগে।
বিদ্যা : ওহ্, তাই বুঝি! সাহসী-দুঃসাহসী সবই হয়েছি অভিনীত চরিত্রটি যথাযথভাবে রূপায়ণের জন্য। একজন অভিনেত্রী হিসেবে চেয়েছি চরিত্রটিকে জীবন্ত করে তুলতে। এখানে কোনো কিছুতে ছাড় দেওয়ার সুযোগ ছিল না। আমাকে আবেদনময়ী ইমেজে দেখে হয়তো অনেক দর্শক চমকে উঠেছেন। এখানে অস্বাভাবিকতা কিছু নেই। প্রত্যেক নারীর মধ্যেই এই আবেদনময় রূপটা বিদ্যমান। আমরা মেয়েরা জানি, কিভাবে পুরুষদের আকৃষ্ট করতে হয়_'দ্য ডার্টি পিকচার' ছবিতে আমি আমার আবেদনময় রূপটাকে পুরোপুরিভাবে তুলে ধরেছি। বলতে দ্বিধা নেই, ব্যাপারটা বেশ উপভোগও করেছি। এ ছবির প্রযোজক একতা কাপুর ও পরিচালক মিলন লুথারিয়া আমাকে তেমন সুযোগ দিয়েছেন বলেই আমি তা করতে পেরেছি।
'দ্য ডার্টি পিকচার'কে কেউ কেউ যৌনতাসর্বস্ব ছবি বলে অভিহিত করছেন। এ সম্পর্কে আপনি কী বলেন?
বিদ্যা : আগে ছবিটি মুক্তি পাক। তারপর ছবিটি দেখে এটার ক্যাটাগরি নির্ধারণ করতে বলব সবাইকে। একজন অভিনেত্রীর জীবনের নানা চড়াই-উতরাই, ঘাত-প্রতিঘাত, দুঃখ-বেদনা, আনন্দ, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, বঞ্চনা আর একান্ত কিছু ব্যাপার ছবিটিতে তুলে ধরা হয়েছে অনেকটা সাহসীভাবে। যৌনতাকে এখানে কোনোভাবেই খারাপ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়নি। যৌনতা এসেছে বাস্তব জীবনের অনুষঙ্গ হিসেবে। এখানে যৌনতা নিয়ে বাড়াবাড়ি কিছু করা হয়নি। আজকাল বলিউডি সিনেমায় যৌনতা আরো অনেক বেশি সাহসীভাবে আসছে।
সিল্ক স্মিতার চরিত্রটি রূপায়ণ করতে গিয়ে তাঁর মতো করে নাচ-গান করা, অভিনয়, পোশাক-আশাক-সাজসজ্জায় নিজেকে তাঁর মতো করে তোলাটা বেশ কঠিন কাজ ছিল আপনার জন্য।
বিদ্যা : সিল্ক স্মিতার ছবি খুব বেশি একটা দেখিনি। অনেক আগেই তাঁর অভিনীত 'সদমা' ছবিটি দেখেছিলাম। শ্রীদেবী ও কমল হাসানের পাশাপাশি সিল্ক স্মিতার চরিত্রটিও ছিল বেশ বড়। ওখানে তাঁর অভিনয় ছিল উল্লেখ করার মতো। আসলে সিল্ক স্মিতার চরিত্রটি রূপায়ণের জন্য আমার তেমন প্রস্তুতি ছিল না। পরিচালক মিলন লুথারিয়ার একটাই নির্দেশনা ছিল, আমাকে 'বিন্দাস' হতে হবে, যে করেই হোক। সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন যে কত কঠিন কাজ, তা করতে গিয়ে টের পেয়েছি। কিভাবে কোন সূত্র ধরে এগোব, আমি কোনো ক্লুই খুঁজে পাচ্ছিলাম না শুরুতে। স্ক্রিপ্ট পাওয়ার পর তা আত্মস্থ করেছি, নিজে নিজে ঠিক করেছি কিভাবে রূপায়ণ করব তা। এখন আমার উপলব্ধি হয়েছে, পরিচালক মিলন লুথারিয়া 'বিন্দাস' বলতে কী বোঝাতে চেয়েছিলেন। সিল্ক স্মিতা ছিলেন সাহসী, আমিও তাঁর মতো হতে চেষ্টা করেছি এ ছবিতে। নিজেকে তেমনি উদার, সাহসী ও বেপরোয়াভাবে উপস্থাপন করতে গিয়ে ভেতরে ভেতরে অন্য রকম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে আমার মধ্যে।
এ ছবিতে নাসিরউদ্দিন শাহ, ইমরান হাশমি, তুষার কাপুরের মতো তিন ভিন্ন বয়সী ও ক্যাটাগরির অভিনেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করেছেন। কেমন অভিজ্ঞতা হয়েছে?
বিদ্যা : নাসিরউদ্দিন শাহ একজন সিনিয়র অভিনেতা। তাঁর সঙ্গে এর আগেও 'ইশকিয়া' ছবিতে অভিনয় করেছি। তাঁর মতো একজন দক্ষ অভিনেতার সঙ্গে আবারও কাজ করতে গিয়ে বেশ ভালো লেগেছে। ইমরান হাশমি ও তুষার কাপুরের সঙ্গে প্রথমবার অভিনয় হলেও আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করেছি। ঘনিষ্ঠ দৃশ্যগুলো চিত্রায়ণে কোনো রকম অশালীনতাকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়নি। নাসিরউদ্দিন শাহ, ইমরান হাশমি, তুষার কাপুর এবং আমি এ ব্যাপারে পরস্পরের প্রতি কো-অপারেটিভ ছিলাম বলে তেমন কোনো অস্বস্তিবোধ হয়নি।
'দ্য ডার্টি পিকচার' ছবিতে অভিনয়ের জন্য আগামী বছর সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পাবেন, অনেকেই বলাবলি করছেন। এ সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কী?
বিদ্যা : পুরস্কারের লোভ আমার নেই_এমন কথা বলব না। তবে পুরস্কার পাওয়ার টার্গেট নিয়ে 'দ্য ডার্টি পিকচার' ছবিতে অভিনয় করিনি। এর আগেও 'পরিণীতা' বা 'ইশকিয়া' ছবিতে অভিনয়ের জন্য বহু পুরস্কার পেয়েছি। 'দ্য ডার্টি পিকচার' আমার জন্য একটি সিরিয়াস চ্যালেঞ্জ ছিল। আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে কার্পণ্য করিনি। সবাই যদি ছবিটি দেখে মুগ্ধ ও আনন্দিত হন, তাহলে আমার সব চেষ্টা ও পরিশ্রম সার্থক হবে বলে মনে করি।
No comments