এনকাউন্টারের নামে ঠাণ্ডা মাথায় খুন!
ভারতের গুজরাট রাজ্যে পুলিশের সঙ্গে 'গুলি বিনিময়ে' কলেজছাত্রী ইশরাত জাহানসহ চারজনের মৃত্যুর ঘটনা সম্পূর্ণ সাজানো। বিশেষ তদন্তদলের (এসআইটি) প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ সত্য। ২০০৪ সালের ১৫ জুন ওই ঘটনার পর থেকে পুলিশ দাবি করছিল, ইশরাতসহ নিহত চারজনই জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বার (এলইটি) সক্রিয় সদস্য ছিলেন। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হত্যা করতে চেয়েছিল তারা। ২০০২ সালের দাঙ্গার ঘটনার প্রতিশোধ নিতে এ পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
গুজরাট হাইকোর্টের গঠিত এসআইটি গত শুক্রবার আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। তাতে বলা হয়েছে, ইশরাত ও তাঁর সঙ্গীদের ঠাণ্ডা মাথায় খুন করেছে পুলিশ। ইশরাতরা এলইটির সদস্য_পুলিশের এ দাবি মিথ্যা। ঘটনার সাত বছর পর 'সত্য' উদ্ঘাটিত হওয়ায় মোদি সরকার ব্যাপক অস্বস্তির মধ্যে পড়েছে। বিরোধীরাও কঠোর সমালোচনায় সরব হয়েছে।
এসআইটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় হত্যা মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন গুজরাট হাইকোর্ট। গত সোমবার বিচারপতি জয়ন্ত পাটেল ও অভিলাষা কুমারীর সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। এর আগে মামলাটি সন্ত্রাস দমন আইনের অধীন পরিচালিত হচ্ছিল।
পুলিশের দাবি অনুযায়ী ২০০৪ সালের ১৫ জুন আহমেদাবাদের শহরতলি এলাকার কোতারপুরে পুলিশের সঙ্গে 'এনকাউন্টারে' ১৯ বছরের ইশরাতসহ চারজন মারা যান। বাকিরা হলেন জাভেদ শেখ ওরফে প্রাণেশ পিল্লাই, আমজাদ আলী রানা ও জিশান জোহর। ইশরাত মহারাষ্ট্রের নাগরিক ছিলেন। জাভেদ ছিলেন কেরালার। বাকি দুজনকে পাকিস্তানি বলে দাবি ছিল পুলিশের। তবে এখনো তাঁদের স্পষ্ট পরিচয় মেলেনি।
প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বলেছেন, হত্যার ঘটনাটি 'সম্পূর্ণ মিথ্যা'। নিহত চারজনের 'মৃত্যুর দিন, সময় ও জায়গাও' এক নয়। ১৫ জুনের আগেই তাঁদের হত্যা করা হয়েছিল। তবে পুলিশের দাবি ছিল, ঘটনার সময় ইশরাতরা চারজন একটি নীল রঙের টাটা গাড়িতে ছিলেন। গাড়ি চালাচ্ছিলেন প্রাণেশ। এসআইটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোট ২১ জন পুলিশ সদস্য এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তাঁদের মধ্যে অন্য দুটি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্য এখন জেলে।
ঘটনার পরই সুষ্ঠু বিচার চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন প্রাণেশের বাবা গোপীনাথ পিল্লাই ও ইশরাতের মা শামিমা। তাঁদের আবেদনের ভিত্তিতে ২০১০ সালে এসআইটির হাতে মামলার তদন্তভার দেন হাইকোর্ট। আদালত সোমবার বলেন, এ মামলার 'সম্পূর্ণ নতুন তদন্ত' করতে হবে। তবে তদন্তের দায়িত্ব কোন সংস্থাকে দেওয়া হবে, তা নিয়ে আবেদনকারীদের মত জানতে চাওয়া হবে।
আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় গোপীনাথ বলেন, 'আমরা প্রথম থেকেই জানি এটা ভুয়া ঘটনা। ওদের চার দিন পুলিশ হেফাজতে রেখে জেরার নামে অত্যাচার করে মেরে ফেলা হয়। মৃতদেহেও অত্যাচারের চিহ্ন ছিল।' সূত্র : পিটিআই, জিনিউজ ও আনন্দবাজার পত্রিকা।
এসআইটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় হত্যা মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন গুজরাট হাইকোর্ট। গত সোমবার বিচারপতি জয়ন্ত পাটেল ও অভিলাষা কুমারীর সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। এর আগে মামলাটি সন্ত্রাস দমন আইনের অধীন পরিচালিত হচ্ছিল।
পুলিশের দাবি অনুযায়ী ২০০৪ সালের ১৫ জুন আহমেদাবাদের শহরতলি এলাকার কোতারপুরে পুলিশের সঙ্গে 'এনকাউন্টারে' ১৯ বছরের ইশরাতসহ চারজন মারা যান। বাকিরা হলেন জাভেদ শেখ ওরফে প্রাণেশ পিল্লাই, আমজাদ আলী রানা ও জিশান জোহর। ইশরাত মহারাষ্ট্রের নাগরিক ছিলেন। জাভেদ ছিলেন কেরালার। বাকি দুজনকে পাকিস্তানি বলে দাবি ছিল পুলিশের। তবে এখনো তাঁদের স্পষ্ট পরিচয় মেলেনি।
প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বলেছেন, হত্যার ঘটনাটি 'সম্পূর্ণ মিথ্যা'। নিহত চারজনের 'মৃত্যুর দিন, সময় ও জায়গাও' এক নয়। ১৫ জুনের আগেই তাঁদের হত্যা করা হয়েছিল। তবে পুলিশের দাবি ছিল, ঘটনার সময় ইশরাতরা চারজন একটি নীল রঙের টাটা গাড়িতে ছিলেন। গাড়ি চালাচ্ছিলেন প্রাণেশ। এসআইটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোট ২১ জন পুলিশ সদস্য এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তাঁদের মধ্যে অন্য দুটি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্য এখন জেলে।
ঘটনার পরই সুষ্ঠু বিচার চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন প্রাণেশের বাবা গোপীনাথ পিল্লাই ও ইশরাতের মা শামিমা। তাঁদের আবেদনের ভিত্তিতে ২০১০ সালে এসআইটির হাতে মামলার তদন্তভার দেন হাইকোর্ট। আদালত সোমবার বলেন, এ মামলার 'সম্পূর্ণ নতুন তদন্ত' করতে হবে। তবে তদন্তের দায়িত্ব কোন সংস্থাকে দেওয়া হবে, তা নিয়ে আবেদনকারীদের মত জানতে চাওয়া হবে।
আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় গোপীনাথ বলেন, 'আমরা প্রথম থেকেই জানি এটা ভুয়া ঘটনা। ওদের চার দিন পুলিশ হেফাজতে রেখে জেরার নামে অত্যাচার করে মেরে ফেলা হয়। মৃতদেহেও অত্যাচারের চিহ্ন ছিল।' সূত্র : পিটিআই, জিনিউজ ও আনন্দবাজার পত্রিকা।
No comments